আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভারতে করোনায় একদিনে ৪ হাজারের বেশি মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতে প্রতিদিনই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর মারা গেছেন ৪ হাজার ৯০ জন।

এ নিয়ে ভারতে করোনায় মোট দুই লাখ ৭০হাজার মানুষের মৃত্যু হলো। আর দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫ জন।

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৮২২ জন মানুষ। আগের কয়েক দিনের তুলনায় সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এর আগে ৬ মে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ জন। ১০ দিনের ব্যবধানে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা নিন্মমুখী।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন ও কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতে সবচেয়ে বড় পরিসরে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে অনেক রাজ্যে টিকা নিয়ে সংকট দেখা দেয়। ফলে টিকাদান কর্মসূচি ধীর গতিতে চলতে শুরু করে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুসারে, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের অবস্থান। তাদের হিসাব মতে, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমিত হয়েছে ১৬ কোটি ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৩০ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১৪ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ জন।

ভারতে এত সংক্রমণের জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। এছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠান, ধর্মীয় উৎসব ও খেলাধুলার আয়োজনকে দায়ী করা হচ্ছে। অক্সিজেন, জরুরি ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার অভাবসহ নানা গুরুতর সংকটে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারেএমন আশঙ্কার কথা বিজ্ঞানীরা আগে জানালেও তাতে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।

ভারতে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। তারপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতের করোনা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা জরুরি চিকিৎসা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বিদেশি সহায়তা ভারতে পৌঁছাচ্ছে।

 


আরও খবর



সব বাধা ডিঙিয়ে আল-আকসায় তারাবিতে ফিলিস্তিনিদের ঢল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি। কারণ ইসরাইলি সেনারা বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে বাইরে। কোনো কারণ ছাড়া গুলি করছে। এতে প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন। এত নির্যাতনের পর তারা দমে যায়নি। বরং যেটুকু শক্তি আছে তার সঙ্গে সাহসকে সঙ্গি করে স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ আবার মিলল আল-আকসা মসজিদে তারাবির জামায়াতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের মধ্যমে।

জানা যায়, রমজানের প্রথম দিন পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

সোমবার (১১ মার্চ) ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে নামাজ আদায় করেন তারা। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ না পেয়ে বাইরে জামাতে সালাত আদায় করেন অনেকে। ওয়াফার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওয়াফাকে জানিয়েছে, অনেক যুবককে মসজিদে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে, রোববার (১০ মার্চ) রমজানের প্রথম তারাবি পড়তে গেলে ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। এমনকি লাঠিচার্জ আর ধরপাকড়ও চালায়। তৈরি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা।

গত মাসে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের রমজানের শুরুতে আল আকসায় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। মসজিদ কম্পাউন্ডে নতুন করে কড়াকড়ির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এলাকাটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে। প্রাচীনকালে দুটি ইহুদি মন্দিরের স্থান এখানে ছিল বলে দাবি তাদের।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে আল আকসার নিয়ন্ত্রণ হারায় মুসলমানরা। জায়গাটি দখল করে ইসরায়েল। এর আগে, এটি জর্ডানের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বর্তমানে আকসা কমপ্লেক্স ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মসজিদ পরিচালিত হয় জর্ডান-ফিলিস্তিনের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে।

বর্তমানে এ মসজিদে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা থাকে ইহুদি দখলদার সেনা। ইসরায়েলের মুসলিম বাসিন্দা এবং পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা মসজিদুল আকসায় প্রবেশ ও নামাজ আদায় করতে পারেন। যদিও গাজার অধিবাসীদের জন্য বিধিনিষেধ অনেক বেশি কঠোর।


আরও খবর



বাউফলে তিন শিশুকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে অনুমতি ছাড়া একটি দোকানের ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম নিয়ে খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের মৃধার বাজারে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারের দোকান থেকে স্থানীয় তিন শিশু ইমাম হোসেন (৭), আবদুল্লাহ (৯) ও ফাহিম (১০) আইসক্রিম খায়। এ সময় ব্যবসায়ী আনোয়ার দোকানে ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে শিশুদের আইসক্রিম খেতে দেখে রেগে যান আনোয়ার হাওলাদার। পরে দোকান থেকে শিকল এনে ওই তিন শিশুকে বেঁধে রাখেন। সন্ধ্যার পর তিনি শিশুদের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অভিভাবকরা খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মুহুর্তেই এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ব্যবসায়ী গা ঢাকা দেন। ভোররাতে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদারকে আটক করে।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. সাইদুর রহমান বলেন, শিশুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করলেন জাপানের মেয়র

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যৌন হয়রানির ৯৯টি অভিযোগ উঠার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের মধ্যাঞ্চলের গিফু এলাকার এক শহরের মেয়র হিদিও কোজিমা। তবে তার বিরুদ্ধে আসা সবগুলো অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন। আর পদত্যাগের ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে কেঁদে ফেলেন মেয়র।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, মেয়র হিদিও কোজিমার বিরুদ্ধে তারই এক সহকর্মীর বুক এবং নিতম্ব স্পর্শ করাসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। পরে একটি সরকারি তদন্তে এসবের প্রমাণও পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতে ৭৪ বছর বয়সী মেয়র বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সামনে এসে চোখের পানি মুছতে মুছতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, এর একদিন পরেই তিনি পদত্যাগ করবেন। কারণ তার ভাই তাকে তিরস্কার করেছেন!

একটি স্বাধীন কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের বিস্তারিত উঠে এলেও কিছু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়র। নারী কর্মীদের জড়িয়ে ধরার ঘটনা অন্য কর্মীরা নিজ চোখে দেখেছেনএমন কিছু অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, আমি এসব করিনি। আমার অঙ্গভঙ্গিগুলো হয়তো তাদের কাছে আলিঙ্গনের মতো মনে হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। আমি চাই তারা আরও সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুক।

সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকেতে কোজিমা বলেন, তিনি পুরো প্রতিবেদন পড়েননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার হাত ফরসা এবং মসৃণএই বলে তিনি নারী কর্মীদের তার হাত স্পর্শ করতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া ট্রাউজার গুটিয়ে পা দেখাতেন এবং স্পর্শ করতে বলতেন। এদিকে তদন্ত কমিটি কোজিমার পৌরসভার ১৯৩ জন কর্মচারীর মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে। যাদের ১৬১ জনের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৮ শতাংশ নারী বলেছেন, মেয়র এমন কিছু করেছেন যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর ছিল।


আরও খবর



বাড়ি ছাড়তে হবে সালাম মুর্শেদীকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়তে হবে বলে রায় দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশান২ নম্বরে অবস্থিত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ নিয়ে করা রিটের ওপর রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে বাড়ি ছাড়তে হবে। দুদক থেকে আমরা যে কমপ্লায়েন্টসগুলো দিয়েছি, তার ভিত্তিতে আমরা মামলা দায়ের করেছি। যে তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে ছিল, তাতে সালাম মুর্শেদীকে আসামি করার মতো যথেষ্ট ছিল না। এখন সালাম মুর্শেদী হোক আর যেই হোক, তদন্ত কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।


আরও খবর



নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই বড়। নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। এজন্য সরকারি উচ্চপদে নারীদের ‍সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।’

শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা আমি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’

এসময় শেখ হাসিনা তার মায়ের বিচক্ষণতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা রাজনীতি করতেন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। এ সময় তার কাজগুলো গোপানে আমার মা করতেন। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাও আমার মাকে ধরতে পারেনি। আমার মা নিজের পোশাক পরিবর্তন করে গোপনে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করতেন, পরামর্শ দিতেন- সে বিষয়টি ধরতে পারেনি। এতোটাই দক্ষ-বিচক্ষণ ছিলেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওই সময়ের প্রতিটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু কোথাও আমার মায়ের বিষয়টি নেই। তবে আগরতলা মামলা যখন দেয়া হয় তখন তারা মাকে টার্গেট করে, বুঝতে পারে। গ্রেফতার করার একটা শঙ্কা তৈরি হয়।’


আরও খবর