আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভারতে ট্রেনকাণ্ড, দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে: মোদি

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এই ঘোষণা দেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বালাসোরের বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছের তিন ট্রেনের দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। ভারতের গত ২০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৮০৩ জন।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তাদের পাশে রয়েছে সরকার। এটা বেদনাদায়ক ঘটনা। আহতদের চিকিৎসার জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এটা গুরুতর ঘটনা। এই দুর্ঘটনার প্রত্যেকটি দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদি বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের দুর্ঘটনাস্থলের কাছে অবতরণ করেন। সেখানে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বালাসোর জেলা হাসপাতালে যান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি আহতদের ও তাদের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।


আরও খবর



নবীনগরে ইভটিজিংয়ের দায়ে যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্কুলছাত্রীদের ইভটিজিং করার দায়ে মাসুম (২৪) নামে এক যুবককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাসুম বীরগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ইভটিজিং করা সময় অভিভাবকরা তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, মাসুম প্রায় সময় বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করতেন। সে এর আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতেন। মঙ্গলবার বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার সময় অভিভাবকরা তাকে আটক করে। খবর দেওয়ার পর সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। তার মোবাইলে একাধিক মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়। এসব ঘটনায় মাসুমকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ সময়ে পরিবারের লোকজনের সামনে তিনি জেল থেকে বের হয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত  থাকবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে না বাস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সর্বসাধারণের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত হলেও এর ওপর দিয়ে চলছে না বাস। কারণ হিসেবে চালকরা বলছেন, তাদের যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি স্টপেজ রয়েছে। এসব স্টপেজ থেকে যাত্রীরা ওঠেন। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়েতে এ সুযোগ নেই। তাই এর ওপর দিয়ে বাস চললে তাদের কোনো লাভ হচ্ছে না। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় বাসচালকদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

তারা বলেন, উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন রুটে গণপরিবহনগুলো চলাচল করে। বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত বিভিন্ন বাস স্টপেজে উঠানামা করে যাত্রী। আবার কোনটা খিলক্ষেত, বনানী ও মহাখালী হয়ে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ এবং গুলিস্তান যায়। মহাখালী থেকে কোনটা সাতরাস্তা হয়ে মালিবাগ, বিমানবন্দর থেকে নতুন বাজার, বাড্ডা রামপুরা হয়ে শান্তিনগর, গুলিস্তান পর্যন্ত চলাচল করে। ফলে বাস চলাচলের রুট ও যাত্রীর কথা চিন্তা করেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠছে না তারা।

বলাকা বাসের চালক শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে গেলে যাত্রী হয় না। আবার বাসে উত্তরা-বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, বিশ্বরোডের যাত্রী থাকে। এসব স্থানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী নামানোর জায়গা নাই। সে জন্য নিচ দিয়ে যাই।

রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলে চলাচল করা ৮ নম্বর বাসের চালক বলেন, একটা বাসে তো আর বিমানবন্দর-ফার্মগেটের সব যাত্রী থাকে না। বিভিন্ন স্থানের যাত্রী থাকে। ওপর দিয়ে গেলে এখন কম যাত্রী পাওয়া যাবে। এভাবে গেলে আমাদের পুষবে না।

আরও পড়ুন>> এলিভেটেডে এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বিআরটিসি

২ সেপ্টেম্বর কাওলা অংশে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

এ দূরত্বের দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং র‌্যাম্পসহ ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই অংশে মোট ১৫টি র‌্যাম্পের মধ্যে ১৩টি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু মহাখালী ও বনানী অংশ থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠার র‌্যাম্প এখনো চালু হয়নি। এ দুটি র‌্যাম্পের নির্মাণকাজ চলছে।

কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ-খিলগাঁও-কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, র‌্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের মোট ব্যয় আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। যার ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দেবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসে এক্সপ্রেসওয়ের পুরোপুরি কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ হাজার যান চলাচল করছে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। টোল আদায় হচ্ছে ২০-২৫ লাখ টাকা। নির্ধারিত টোল ফির মধ্যে রয়েছে, গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল (ভ্যাটসহ) ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের জন্য (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। আর সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) জন্য টোল ১৬০ টাকা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে পথচারী, বাইসাইকেল, থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সারাদেশে দেড় লাখ পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির (এসএসকে) আওতায় সারাদেশে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪২৭ পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৯১টি দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং সর্বমোট ১ লাখ ৫১ হাজার ৪২৭টি পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

আইপিডি চিকিৎসাসেবা: এসএসকে কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এ যাবত ৪৫ হাজার ৬৯৬ জন রোগীকে আইপিডি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাসেবা বাবদ গত জুন মাস পর্যন্ত ২১ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে এসএসকে কার্যক্রমের বেনিফিট প্যাকেজের আওতায় রোগের সংখ্যা ৭৮টি থেকে ১১০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহায়তায় ১১০টি রোগের ক্লিনিকাল স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল অনুসরণ করে মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা দেবেন।

৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়: আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। দেশের মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়।

ওষুধ রপ্তানি: বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় সব ধরনের ওষুধ রপ্তানি করা হয়। চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ২৪৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০২ টাকার ওষুধ রপ্তানি করা হয়েছে।

তামাকজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মৃত্যু: এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। তিনি বলেন, তামাক ব্যবহার, ধুমপান ও পরোক্ষ ধুমপানের কারণে বাংলাদেশে বছরে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ দেখা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিসের বাংলাদেশ ফ্যাক্টশিট ২০১৮-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

ই-সিগারেট আমাদানি নিষিদ্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ: ই-সিগারেট নামে নতুন একটি নেশাজাতীয় তামাক পণ্য বাজারে চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিশু, কিশোর-তরুণদের তামাকের নেশায় ধাবিত করতে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এ পণ্য বাজারে এনেছে। এরই মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ ৩২টির বেশি দেশে এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়েছে। আরও অনেক দেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশেও ই-সিগারেট আমাদানি নিষিদ্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিল সংশোধিত আকারে সংসদে উত্থাপনে সুপারিশ: পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিল, ২০২৩ বিল জাতীয় সংসদে পাসের উদ্দেশ্যে সংশোধিত আকারে উত্থাপনের জন্য সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ। কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাবিবুর রহমান, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এবং রুমানা আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিশ্চিতে রাজস্ব আদায় বাড়াতে তাগিদ চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের উন্নয়নব্যয় নির্বাহে স্বনির্ভরতা গড়তে রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে আয়োজিত রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে রাজস্ব আদায় করে তা দিয়ে নগরীর সড়ক উন্নয়ন থেকে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন সেবামূলক খাতে ব্যয় করা হয়। এছাড়া এই রাজস্ব দিয়ে ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫৬টা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়।

"নাগরিকদের রাজস্ব প্রদানে যাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য আপিলবোর্ড বসিয়ে নাগরিকদের রাজস্ব যৌক্তিককরণ করা হয়েছে। তবে, ধনী শ্রেণীর অনেকেই রাজস্ব ফাঁকি দিতে চান। কেউ প্রভাব খাটিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করলে তা কীভাবে আদায় করতে হবে তা জানি।"

রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, প্রভাবশালীদের কোন চাপে রাজস্ব আদায় বন্ধ করবেননা। রাজস্ব আদায় ঠেকাতে কেউ চাপ দিলে তিনি যত প্রভাবশালীই হউকনা কেন আমি তা গ্রাহ্য করবনা। আপনারা আইনের মধ্যে থেকে কাজ করলে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি আপনাদের কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাশে থেকে তা ঠেকাব। আপনারা আইন অনুসরণ করে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন।

 চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।

সভায় রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শেরপুরে কঙ্কাল চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চোরচক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে শেরপুরের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম, সোহেল রানা, গোলাম রব্বানী, বিল্লাল হোসেন, নরসিংদী জেলার সোহেল রানা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার রাসেল হাওলাদার। একইদিন বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার একটি সামাজিক কবরস্থান থেকে এবং নকলা উপজেলায় একটি সামাজিক কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। এ দুটি ঘটনায় সদর ও নকলা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকালে পুলিশ কঙ্কাল চোরচক্রের সাথে জড়িত একটি সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করে। পরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সালেহ আবু নাঈম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কঙ্কাল পরিবহনের কাজ করা ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করেন। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে সোহেল রানা, গোলাম রব্বানী ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কঙ্কাল চুরির পর সেগুলো ঢাকায় নিয়ে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও রাসেল হাওলাদারের কাছে বিক্রি করা হতো। এরপর বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, চোরচক্রের সদস্যদের মধ্যে চারজন শেরপুরের বাসিন্দা। তারা মূলত রাত ১২টার পর থেকে গভীর রাতে কবরস্থানে গিয়ে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করতো। এসব কঙ্কাল বস্তায় ভরে পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করা হতো। একেকটি কঙ্কাল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি হয় বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩