আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতীয় সিনেমায় বাংলাদেশি অধরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার এ সময়ের নায়িকা অধরা খানের অভিষেক হয়েছে ভারতীয় সিনেমায়। মালয়ালম নির্মাতা কারু নাক্কারের পরিচালনায় একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। যাতে অধরার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন কলকাতার নবীন এক নায়ক। মুম্বাই থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

অধরা বলেন, বর্তমানে সিনেমাটির শুটিংয়ের কাজে ভারতে আছি। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে সিনেমাটির টানা শুটিং চলবে। এরপর প্রয়োজন পড়লে আগামী মাসে আবারও কলকাতায় যাবো। গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। তখন সেখানে দুটি গানের চিত্রায়নে অংশ নেন তারা। তবে নির্মাতা সংস্থার বারণ থাকায় সিনেমাটি নিয়ে আর বিস্তারিত তথ্য আপাতত দিতে পারছেন না।

নায়িকা আরও বলেন, প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছি। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের একটি খবর। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজটি করছি। তবে এজন্য আমাকে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ ২০২০ সালের ফ্রেুয়ারির দিকে কলকাতায় গিয়ে সিনেমাটির কথা চূড়ান্ত করি। তখন শুটিংও শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে যায়। অবশেষে কাজটি শুরু হওয়ায় ভালো লাগছে।

নিউজ ট্যাগ: অধরা খান

আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে একদিনে এলো ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) একদিনে ৩৪৮ মেট্রিকটন আলু আমদানি করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানি বৃদ্ধি পেলে দাম কমে। তাই যথেষ্ট পরিমাণ আইপি (আমদানি অনুমতি) থাকা সত্ত্বেও লোকশানের শঙ্কায় আমদানিতে তেমন আগ্রহ নেই। তবে সম্প্রতি দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হারুনুর রশিদ জানান, গত মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিন দেশের বাজারে আলুর দাম ছিল ২৫/২৬ টাকা। আর আমদানিতে খরচ পড়ত ২৪/২৫ টাকা। এতে লোকসান গুনতে হতো। তাই আমদানি বন্ধ ছিল কিন্তু এখন দেশের বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি প্রতিদিন আমদানি করছেন।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, যথেষ্ট আলু আমদানির অনুমতি থাকলেও প্রতিদিন ১/২ গাড়ি এমনকি সপ্তাহে ২/৩ গাড়ি আলু আমদানি হতো। তবে এখন আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার ১৩ টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৪৮ মেট্রিকটন আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ২৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় আমদানিকারকরা আলু কেজিতে ৩০ টাকা, হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) জাতের আলু ৩২ টাকা এবং দেশীয় আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আমদানি

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




জাবিতে ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, একই ব্যাচের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান রাফি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর ও ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক আলমগীর কবির

অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, এ ঘটনায় আল বেরুনী হল প্রাধ্যক্ষ শিকদার মোঃ জুলকারনাইনকে সভাপতি ও নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়াকে সদস্য সচিব করে করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন- প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী।

এর আগে, গত ২০ মার্চ (বুধবার) জাবিতে ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সকল মাংসের দোকান বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

টানা তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে মাংসের দাম নির্ধারণ করায় এই কর্মসূচি পালন করছে তারা। এর আগে গত সোমবার সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সরেজমিনে বুধবার সকালে শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, বর্ডার বাজার, কাউতলী বাজার ও বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। সেখানে মাংস ক্রয় করতে এসে কাঙ্ক্ষিত মাংস না পেয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাদের দাবি, আগের ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি মাংসের মূল্যে বহাল রাখার। এই দাবি পূরণ করা না হলে মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ দিকে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত গরুর মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগনের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকশান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে, তারা চামড়াসহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

মাংস ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মো. সায়েম জানান, গত তিনদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা জনগণ খুব বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। রমজান মাস হওয়ায় হুজুরদের দাওয়াত করতে হয়, মাংসেরও প্রয়োজন হয়। আমরা এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, মাংসের বাজারে অস্থিরতা ও চলমান সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এইটুকুই বলতে পারি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে বাজারে সুবিধা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর



পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১২নং বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাত ইউপি সদস্য।

সোমবার (২৫ মার্চ) জেলা প্রশাসক কার্যালয় বিঘাই ইউনিয়নের সদস্য মাঈনুল আহসান জিয়া, মো. জামাল হোসেন মিন্টু মৃধা, মো. মিজানুর রহমান, মো. জামাল হোসেন হাওলাদার, মো. কাওসার আকন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম ও মোসা. মনিরা আক্তার মিলে অনাস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলেদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল দেয়া, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বেশ কিছু প্রকল্প সম্পর্কে ইউপি সদস্যদের অবহিত না করাসহ বেশকিছু বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে আবেদনে। অভিযোগের বিষয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের উপস্থিতিতে প্রতি জেলেকে ৮০ কেজি করেই চাল বিতরণ করছেন চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার।

তবে এ বিষয় কথা হলে উপস্থিত জেলেরা বলেন, আসলে ওই সকল ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাদের ৮০ কেজির পরিবর্তে ৬০ কেজি চাল বিতরণ করতে বলেছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান বিষয়টি না মানায় তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়েই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে কতিপয় স্বার্থলোভী ইউপি সদস্য।

বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে টিসিবির মালামাল প্রকৃত কার্ড ধারিরা পেতো না কারন ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন লোকের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ছাড়িয়ে নিতো। যা তারা বাহিরে বিক্রি করত। আর এসবে বাঁধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ব্লগার নাজিম হত্যা মামলা : আট বছরেও শুরু হয়নি বিচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ। আজ থেকে আট বছর আগে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ক্লাস শেষে মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা হত্যা করেন তাকে। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ৮ বছরেও শুরু হয়নি।

চার বছর তদন্ত শেষে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। পরবর্তী সময়ে আরো সাড়ে তিন বছর কেটে গেলেও আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়নি।

এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় এ মামলার বিচার শুরু করতে পারেননি বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আশা করছেন, অতি শিগগিরই মামলার বিচার শুরু হবে এবং এ মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।

নাজিমুদ্দিনকে হত্যার পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন নিরাপত্তা জনিত কারণে কারাগারে আটক থাকা আসামিদের আদালতে না পাঠিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠান। পরে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেন।

মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বলেন, ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় কয়েক দফায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য মামলায় অভিযোগ গঠনে শুনানি হচ্ছে না। আশা করছি, আগামী তারিখে আসামিদের আদালতে হাজির করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। পরে দ্রুত সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। বিচার দ্রুত শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ব্লগে লেখালেখি করার কারণে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নাজিম উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা ও সামরিক শাখার প্রধান সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার পরিকল্পনায় নাজিম উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মনের নেতৃত্বে একটি টিম নাজিম উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার অবস্থান রেকি করে। মো. শেখ আব্দুল্লাহ এ হত্যার ভিডিও ধারনের জন্য এবং হত্যাকারীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটেনর পর পালাতে সহযোগিতার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর জিয়াকে জানানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য থাকলেও আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় না। যেকারণে এ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি আটকে রয়েছে। আদালতের উচিত মামলাটি ত্বরান্বিত করা। অনেক দিন তো হয়ে গেছে। আসামিরাও হয়রানির শিকার হচ্ছে। বাদীপক্ষও বিচার দেখার অপেক্ষায় আছে।


আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪