এখনও কাটেনি ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেই এবার ওড়িশাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে আরও একটি ট্রেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ওডিশার বারগড় জেলায় লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনের একাধিক কামরা। রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েছে পাঁচটি বগি। নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এই ঘটনায়।
জানা গেছে, সোমবার সকালে ওডিশার বারগড় জেলায় মেন্ধাপলি স্টেশনে লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ির পাঁচটি বগি। চুনাপাথর বোঝাই মালগাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যাত্রীবাহী ট্রেন না হওয়ায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় পুলিশ। কীভাবে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চুনাপাথর বোঝাই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়িটি একটি সংকীর্ণ রুট দিয়ে খনি এলাকা থেকে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির পথে যাচ্ছিল। বারগড় জেলায় মেন্ধাপলি স্টেশনের কাছে একটি লাইনচ্যুত হয়। তবে এই রেললাইন ভারতীয় রেলের আওতায় পড়ে না। বেসরকারি সিমেন্ট সংস্থার তরফে এই নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব। যেহেতু এই সংকীর্ণ রেললাইন, রোলিং স্টক, ইঞ্জিন, ওয়াগন এবং ট্রেন ট্র্যাক পুরোটাই সিমেন্ট সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে ভারতীয় রেলের কোনও ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসাছাত্রকে গুলি করে খুন
জানা গেছে, ওডিশার বারগড় জেলায় দুঙরি চুনাপাথরের খনি এবং এসিসি সিমেন্ট প্ল্যান্টের মাঝে রয়েছে এই সংকীর্ণ রেললাইন।
এদিকে শুক্রবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এখনও আতঙ্ক কাটেনি বালেশ্বরে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৫১ ঘণ্টা পর পর ওডিশা বাহানাগা স্টেশনে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রবিবার রাত ১২টা নাগাদ ওই স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে তিনটি মালগাড়ি চালানো হয়। সোমবারও মোট সাতটি ট্রেনের ট্রায়াল চলবে এই লাইনে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে মঙ্গলবার রাত কিংবা বুধবার সকালের মধ্যে।
কার্যত মৃত্যুপুরীর রূপ নিয়েছে বালেশ্বর। ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায়। আহত হাজারেরও বেশি। বালেশ্বরের স্কুলে এখনও পড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে লাশ। সেগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।