আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ভারতের উপহার ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স বেনাপোলে পৌঁছেছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স (লাইফ সাপোর্টসহ) উপহার দিচ্ছে ভারত সরকার। এই উপহারের দ্বিতীয় চালানে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দিয়ে আজ শনিবার সকালে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

অ্যাম্বুলেন্সগুলো আজ শনিবারই (৭ আগস্ট) বেনাপোল কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরকালে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স এখন ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলো সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পর্যায়ক্রমে পৌঁছাবে বলে জানান ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, অ্যাম্বুলেন্সগুলো কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই উপহার বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ জনগণের সহায়তার জন্য ভারতের অব্যাহত ও দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

এর আগে ভারত সরকারের উপহারের প্রথম অ্যাম্বুলেন্সটি (একটি) দেশে পৌঁছায় চলতি বছরের ২১ মার্চ। উপহার হিসেবে আসা এসব অ্যাম্বুলেন্সে ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ কার্ডিয়াক রোগী বহনের সুযোগ থাকছে এতে।

বেনাপোল বন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স আজ শনিবার সকালে প্রবেশ করে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের নামে অ্যাম্বুলেন্সগুলো উত্তরা মোটরর্স নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে।

কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজই অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবে বলে জানান তিনি। 



আরও খবর



ছাত্রলীগের বাইরে নিয়োগ বাতিল: চবি রেজিস্ট্রারকে নেতার হুমকি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়া অন্য সবার নিয়োগ বাতিল করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রারকে হুমকি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতেই রেজিস্ট্রার কক্ষে উচ্চ বাচ্য করে তাকে শাসিয়েছেন চবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

বুধবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এর আগে রেজিস্ট্রার কক্ষে চাকরিতে যোগদান করতে আসা ইয়াহিয়া টিপু নামে এক যুবককে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাকে ৫৫০ টাকা দৈনিক মজুরির শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে যান সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

ছাত্রলীগ কর্মীদের বাইরে সব নিয়োগ ক্যান্সেল করতে রেজিস্ট্রারকে প্রথমে শাসাতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম। তিনি রেজিস্ট্রারের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলতে থাকেন, এখনও পিছনে বসে আছে ও। ও ছাত্রলীগ করে না। তবুও ওরে চাকরি দিয়েছেন। ওর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ খাইছে ভিসি ম্যাম।

এ বিষয়ে জানতে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এরপর শাসাতে থাকেন একই গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোরশেদুল আলম রিফাত। এসময় তিনি রেজিস্ট্রারকে বলতে থাকেন, ছাত্রলীগের বাইরের এগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগ কর্মী না। ছাত্রলীগের বাইরের নিয়োগ ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলারে নিয়োগ দিলে সমস্যা নাই। ছাত্রলীগের বাইরে যেগুলা, ওইগুলা ক্যান্সেল। ছাত্রলীগের পোলাপাইনের চাকরি নেওয়ার অধিকার আছে। বাইরের পোলাপাইনের কী অধিকার! ছাত্রলীগের বাইরে সব ক্যান্সেল।

তার সঙ্গে এসময় উপস্থিত সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রেজিস্ট্রারকে শাসাতে থাকেন। আর ভিসিকে এসব নিয়োগের ব্যাপারে বলার জন্য তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রারকে বুঝাতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সুমন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলী।

এসময় রেজিস্ট্রার অফিসে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ, মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন, আব্দুল মান্নান ও শঙ্কর বড়ুয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এক নূর আহমদ বলেন, আমার অফিসে এসে তারা এরকম আচরণ করেছে। এটা আমার জন্য অপমানজনক! আমি তো তাদের নিয়োগ দিতে পারব না। নিয়োগ দেবেন ভিসি। তবুও তারা আমার এখানে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। আমি ভিসি মহোদয় ও প্রক্টর এই বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি। প্রয়োজনে প্রক্টরকে লিখিত অভিযোগ দিব।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রেজিস্ট্রার মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছেন। দেখি আমরা কী করতে পারি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।’


আরও খবর



এবার ধানমন্ডির কেয়ারি ক্রিসেন্ট সিলগালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ভবনটি থেকে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল ভবনটিতে অভিযান চালানোর পর তা সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে, এই ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটির সব রেস্টুরেন্ট।

ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। নোটিশে লেখা ছিল, সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকবে। শুধু দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>> ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

পরে সেখানে অভিযান শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযান শেষ হওয়ার পর ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

অভিযানের সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে ওপরের দিকের সব রেস্টুরেন্ট তালা লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



দাঁত ও পেটের দাগ দেখে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করল পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সবশেষ মিনহাজ উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলো। মিনহাজ রাজধানীর বেসরকারি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন। বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেন তিনি।

পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার মিনহাজের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তবে এর আগেই শুক্রবারই তার পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে।

এদিকে, অন্য একটি পরিবার মিনহাজের মৃতদেহকে তাদের সন্তানের মৃতদেহ বলে দাবি করে বসেন। এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

রমনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবারই মিনহাজের পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে। তবে অন্য একটি পরিবারও সেটি তাদের পরিবারের সদস্যের মৃতদেহ হিসেবে দাবি করায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শনিবার মর্গে মিনহাজসহ তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মিনহাজের মৃতদেহ দাবি করা অন্য পরিবারটি পরবর্তীতে মর্গে বলেছেন, এটা তাদের মৃতদেহ না। তাদেরটা অন্য একটি হতে পারে। এরপর মিনহাজের পরিবারকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে। বর্তমানে সবুজবাগ বাসাবো খেলারমাঠ এলাকায় থাকতেন মিনহাজ। কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মিনহাজ ছিল ছোট।

তিনি বলেন, মিনহাজ হাতে যেই ঘড়ি ব্যবহার করেন, মৃতদেহের হাতেও সেই ঘড়িটি দেখতে পেয়েছি। এছাড়া ছোটবেলায় তার পেটে একটি অপারেশন হয়েছিল সেই দাগও দেখা গেছে। মিনহাজের সামনের অংশের একটি দাঁত বাঁকা ছিল, এসব দেখেই নিশ্চিত হয়েছি এটি মিনহাজের মৃতদেহ।

আমিনুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার দিন বন্ধুদের সাথে বেইলি রোডের ওই ভবনে তৃতীয় তলায় খানাজ রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন মিনহাজ। ঘটনার কয়েক মিনিট আগেও সেই বন্ধু মিনহাজকে নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিলেন। আগুন লাগার পর সেই বন্ধু বেরিয়ে আসতে পারলেও অন্ধকারে ও আটকে পড়া অনেক মানুষের ভিড়ে আটকে পড়েন মিনহাজ। সেখানেই পুড়ে মারা যান তিনি।


আরও খবর



স্থল ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পূর্বের সরকার ব্যর্থ হলেও স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সফল হয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।’

সোমবার (০৪ মার্চ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলেক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ড পিলখানায় আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বিজিবিকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয়েছে।’ এসময় বিজিবি সদস্যদের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭জন অফিসারসহ ৭৪জন জীবন হারায়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজন হারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি।’

তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। যাতে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বিজিবি বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে আমরা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাসসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি এটাই আমার প্রত্যাশা।’

শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবিকে বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। বিজিবি হবে স্মার্ট বাহিনী। তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বাহিনীর সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।


আরও খবর



যে ফ্লাইটের পাইলট থেকে কেবিন ক্রু সবাই নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগের মাধ্যমে শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থকে সৌদি আরবের দাম্মামের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বিমানের এমন একটি বিশেষ ফ্লাইট। যার পাইলট থেকে শুরু করে কেবিন ক্রুর সবাই নারী। বিজি ৩৪৯ নম্বর এই ফ্লাইটের পাইলট হিসেবে আছেন বিমানের সিনিয়র ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম।

এ ছাড়া ফ্লাইটের গ্রাউন্ড স্টাফ, ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, ককপিট ক্রু হিসেবে যারা ছিলেন, তারাও সবাই নারী।

বিমান কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানকে একটি আধুনিক এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংস্থার পুরুষ ও নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমানভাবে কাজ করে চলছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সংস্থার নারীকর্মীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিমানের এমডি ও সিইও  শফিউল আজিমের নির্দেশনায় প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের।

জানা গেছে, বর্তমানে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ), প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (গ্রাহকসেবা) পদে আছেন নারীরা। নারী পাইলট আছেন ১৫ জন। নারী কেবিন ক্রুর সংখ্যা ৩৪৫ জন। এ ছাড়া গ্রাউন্ড স্টাফ, প্রকৌশলী, প্রকৌশল ইনস্ট্রাক্টরসহ বিমানের সব শাখায় নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিমানের ব্যবস্থাপক জনসংযোগ আল মাসুদ খান বলেন, আমাদের পাইলট, কেবিন ক্রু, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমাজের অন্য সব নারীদের অনুপ্রেরণা জোগান।


আরও খবর