শ্রীলংকার ২০ বছর বয়সী তরুণ স্পিনার ডুনিথ
ওয়েল্লালাগের বলে কুপোকাত ভারত। ক্রিকেট বিশ্বের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে রীতিমতো
ধসিয়ে দিয়েছেন লংকান তরুণ। ডুনিথের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন ভারতের
প্রথম সারির ৫ তারকা ব্যাটসম্যান।
দুনিথের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে একের পর
এক সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় তারকা ওপেনার শুভমান গিল, সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি, বর্তমান
অধিনায়ক রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়া।
আউট হওয়ার আগে রোহিত শর্মা ৪৯ বলে ৭টি
চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করেন। ২৫ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ১৯ রানে ফেরেন শুভমান
গিল। ১২ বলে ৩ রানে ফেরেন আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ বলে ১২২ রানের অনবদ্য
ইনিংস খেলা বিরাট কোহলি।
জিতলেই ফাইনালে এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে
মঙ্গলবার কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করে ভারত।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই
ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ১১.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৮০ রান জমা করেন তারা।
এরপর তরুণ স্পিনার ডুনিথ ওয়েল্লালাগের
বলে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকেটে দলের
হাল ধরেন লোকেশ রাহুল ও ইশান কিশান।
এই জুটিতে তারা ৮৯ বলে ৬৩ রান যোগ করেন।
এই জুটিরও বিচ্ছেদ ঘটান ডুনিথ। তার বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লোকেশ রাহুল।
আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৬ বলে
১১১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা রাহুল এদিন ফেরেন ৪৪ বলে দুই চারে ৩৯ রান করে। তার বিদায়ে
৩০ ওভারে ১৫৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত।
দলীয় ১৭০ রানে চারিথা আসালঙ্কার স্পিনে
বিভ্রান্ত হন ইশান কিশান। তিনি ৬১ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ৩৩ রানে ফেরেন। ১৮ বলে ৫
রান করা হার্দিক পান্ডিয়াকেও আউট করেন ডুনিথ।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম ম্যাচে ১০ ওভারে
এক মেডেনসহ ৪০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন ডুনিথ ওয়েল্লালাগে। ওয়ানডেতে এটাই তার সেরা
বোলিং ফিগার।