আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ভারতকে স্তব্ধ করে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ শিরোপা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের মাটিতে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো অজিরা। ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতলো অজিরা।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম রোববার পরিণত হয়েছিল নীলের মহাসমুদ্রে। নিজ দেশে এক যুগ পর বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরবেন রোহিত শর্মারা, এমন স্বপ্নেই বিভোর ছিলেন লক্ষাধিক ভারতীয় সমর্থক। সেই কক্ষপথেই ছিলোও দলটি। কিন্তু পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন। দুজনেই ধীরে ধীরে ভারতের কাছ থেকে ম্যাচটাকে নিয়ে গেলেন অনেকটা দূরে। শেষ পর্যন্ত তারাই হয়ে গেলেন ব্যবধান। অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল জিতল ৬ উইকেটের ব্যবধানে।       

ফাইনালে প্রত্যাশিত ব্যাটিং হয়নি ভারতের। পুরো বিশ্বকাপে এদিনই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল ভারতের মিডলঅর্ডার। সেবারেই চ্যালেঞ্জ নিতে ব্যর্থ হলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা। পুরো ম্যাচে টানা বাউন্ডারি খরায় ভুগেছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। দুই দফা মিলিয়ে টানা ৩৫ ওভার বাউন্ডারির দেখা পাননি ভারতের মিডল অর্ডার। স্বাভাবিকভাবেই রানটা মনমতো হয়নি তাদের।

কিন্তু ২৪১ রানের লক্ষ্যে বোলিং যেমন হওয়া দরকার ছিল, ঠিক তেমনই বল করেছে ভারতের বোলাররা। জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মদ শামিকে শুরুতে সামাল দিতেই পারেনি অজি ব্যাটিং লাইনআপ। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আর স্টিভেন স্মিথ তিনজনেই পরাস্ত হয়েছেন দূর্বল ফুটওয়ার্ক আর নিজেদের ভুলে। কিন্তু ম্যাচে ভারতের সুখ টিকেছে ওই পর্যন্তই। ট্রাভিস হেড এরপর ভারতের মাথার ব্যাথা বাড়িয়েছেন আর মার্নাস ল্যাবুশেন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে যেন ম্যাচটাকেই ছিনিয়ে নিলেন তারা।

অথচ শুরতেই ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন শামি। দ্বিতীয় ওভারেই বিরাট কোহলিকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই পেসার। দলীয় ১৬ রানেই প্রথম উইকেটের পতন। ভরসা ছিল মিচেল মার্শের উপর। দূর্বল ফুটওয়ার্কের মাশুল দিয়েছেন তিনিও। বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে কেএল রাহুলের হাতে আটকা পড়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।

স্টিভেন স্মিথ আউট হয়েছেন নিজের আর আম্পায়ারের মিলিত ভুলে। বলের ইম্প্যাক্ট ছিল স্ট্যাম্পের বাইরে। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলেছেন। খানিক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা স্মিথও আর রিভিউ নেননি। হাঁটা দিয়েছেন প্যাভিলিয়নের দিকে। এটাই যেন পুরো ম্যাচে ভারতের শেষ উৎসব। এরপর ক্রিজে থাকা হেড আর ল্যাবুশেন কেবল যন্ত্রণাই বাড়িয়েছেন ম্যান ইন গ্রিনদের। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে গ্যালারীতে নেমেছে শ্মশানের নীরবতা।

পুরো ম্যাচে আর একবারই সুযোগ পেয়েছিল ভারত। বুমরাহর বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ফিরিয়ে দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউতে দেখা গেল আম্পায়ার্স কল। হতাশায় মুখ ঢাকতে বাধ্য হলেন পুরো দল।

লম্বা এই জুটির পথে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। ৯৫ বলে স্পর্শ করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। আর ৯৯ বলে ধৈর্য্যশীল এক ইনিংস খেলে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ল্যাবুশেন। ম্যাচটা অবশ্য শেষ করা হয়নি ট্রাভিস হেডের। দলের জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে এর আগেই খেলে ফেলেছেন ১৩৭ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস। আর তাতেই ২০১৯ সালে হারিয়ে ফেলা বিশ্বকাপটা আজ আবারও ফিরছে অস্ট্রেলিয়াতে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে শাপলা বেঁচে জীবিকা নির্বাহ

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিলজুড়ে শুষ্ক মৌসুমে আবাদ হয় ধান ও নানা ধরনের সবজি। আর যেখানে পানি থাকে সেখানে মেলে মাছ। তবে মানুষগুলো বিপদে পড়েন বর্ষা মৌসুমে। পুরো বিল পানির নিচে থাকায় বেকার হয়ে পড়ে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো। বর্ষার থৈ-থৈ পানিতে জন্মানো শাপলায় মনোহারী হয়ে ওঠে পুরো বিল। এই শাপলাই এখন হয়ে উঠেছে কর্মহীনদের জীবিকার অবলম্বন। বিলের শাপলা তুলে তা বিক্রি করে চলছে কয়েকটি পরিবার। স্থানীয় হাটের পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রাইকারি ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে এ শাপলা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে তলিয়ে যাওয়া চক ও বিভিন্ন বিল ঘুরে দেখা যায়, কৃষি জমি,খাল-বিলগুলোয়ও শাপলা জন্মে থাকে। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা তুলতে প্রতিদিন ভোর থেকেই বিলে নেমে পড়েন কিশোর-তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও। ছোট ছোট ডিঙি ও কোষা নৌকায় বিলজুড়ে ছুটে বেড়ান তারা।বিভিন্ন গ্রামের চক ও বিলে ব্যস্ত থাকেন শাপলা তুলতে। দুপুর ও বিকেল বেলায় নৌকাভর্তি শাপলা নিয়ে ফেরেন তারা। এর পর বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পাইকাররা সেখান থেকে কিনে ট্রাক ও পিকআপে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যান। সবজি হিসেবে শাপলার জুড়ি মেলা ভার। শুধু বর্ষায় মেলে বলে চাহিদাও থাকে বেশি। রঘুনাথপুর বিলের শাপলার কদর বেশি।

স্থানীয়রা জানান, কোনো পুঁজির প্রয়োজন না হওয়ায় বর্ষাকালে বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ এ কাজে যুক্ত হন। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। শাপলা সংগ্রহকারীরা নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমিতে ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা তুলতে থাকেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অনেক শাপলা হয়ে থাকে। শাপলা বিক্রি করে একজন ব্যক্তি দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করতে পারে ।

কয়েকজন শাপলা সংগ্রহকারী জানান, এ সময়ে একেকজন কমপক্ষে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মোঠা শাপলা সংগ্রহ করতে পারে। পাইকারেরা আবার এসব শাপলা সংগ্রহকারীর কাছ থেকে কিনে একত্র করেন। দিন শেষে একেক জন ব্যক্তি সংগৃহীত শাপলা বিক্রি করে সাতশো থেকে একহাজার টাকা আয় করে থাকেন।

উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বিল থেকে শাপলা সংগ্রহকারী মোঃ জসিম বলেন, শুকনাকালে ইট বালুর ট্রাকে কাজ করে সংসার চালান আর বর্ষাকালে আমাদের চারপাশে পানি থাকে। কোথাও কোনো কাজ থাকে না। বেকার বসে থাকেতে হয়। তাই এই সময় বসে না থেকে বিল থেকে আমি আর আমার ভাই দুই জন মিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শাপলা তুলে মোঠা বেধে বাইপাইল বাজারে পাইকার বিক্রি করি, প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করি , গাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বাদে আমরা দুজনেই ভাগ করে নেই, আর সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাই।

একই গ্রামের দিনমজুর মো. মিরাজ বলেন, বর্ষায় একদম বেকার হয়ে পড়েন। তবে শাপলা তুলে সংসার চালানোর পাশাপাশি কিছু সঞ্চয়ও করতে পারছেন। প্রতিদিন তিনি ৭০০ থেকে হাজার টাকা রোজগার করেন।

পাইকার আয়নাল হক জানান, স্থানীয়দের কাছে শাপলা কিনে তিনি পিকআপে করে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন। প্রতি আঁটি শাপলা কেনেন খুচরা ১৪ থেকে ১৬ টাকায় আর ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন ২০ থেকে ২৫ টাকায় । 

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে মৌসুমে শাপলা উৎপাদন হয়ে থাকে। এসময় বেকার ও নিম্ন আয়ের মানুষ শাপলা বেচা কেনার সঙ্গে জড়িত। শাপলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, শাপলায় প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকে। এছাড়াও শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ পাওয়া যায় শাপলা থেকে। শাপলা তরকারি হিসাবেও খুবই মজাদার।


আরও খবর



সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক হয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গুলশান থেকে আটক করা হয় বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। পরে তিনি শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি জুলাই ২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।

গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফও করেছিলেন তিনি। সবশেষ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগষ্ট সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। 


আরও খবর
সাবেক এমপি জর্জ ৩ দিনের রিমান্ডে

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুমিল্লায় বন্যায় চারজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

সরকারি হিসেবে কুমিল্লার ১৪টি উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখ। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৬০ হাজার মানুষ। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলা। এদিকে বন্যায় এ পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে চারজনের।

কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানির উচ্চতা কমলেও বাড়ছে বাঁধ ভাঙনে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা। সালদা নদীর ভাঙনেও বাড়ছে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা। এ পর্যন্ত বন্যায় প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে চারজনের। তলিয়ে গেছে ৬০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ।

এদিকে, নৌযান সংকট হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। পানিবন্দি মানুষের ত্রাণের জন্য বাড়ছে হাহাকার। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতেও বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের সংকট রয়েছে। কুমিল্লা জেলায় ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা কবলিত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, ফেনীতে বানের পানি নামলেও নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি নতুন করে দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে জেলার ৬ উপজেলায়। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার কিছু এলাকায় আবারও বেড়েছে পানি। সবমিলিয়ে ১১ জেলায় এখনো পানিবন্দি ১০ লাখের বেশি পরিবার।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ফেনী-কুমিল্লাসহ এসব এলাকার সব নদীর পানি কমছে। তবে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় এসব এলাকার পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি।

এ অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে আগামী তিন দিন বৃষ্টি কমে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



২ দিন বন্ধের পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদে মিলাদুন-নবী ও সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে দুই দিন সরকারি ছুটি শেষে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য চালু হয়েছে। বন্দরে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।

আজ বুধবার সকাল থেকে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক দুই দেশের বন্দরে প্রবেশ করেছে।

বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার ছিল ঈদে মিলাদুন-নবীর সরকারি ছুটি ও মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পূজার ছুটি। এ দুই দিন আমদানি-রপ্তানি ছিল বন্ধ। তবে আজ সকাল থেকেই চালু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। দুই দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করছেন বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।

বেনাপোল শুল্কভবনের কাস্টমস চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, আমদানি-রপ্তানি সচল হওয়ায় বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। বাড়ছে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ। জোর গতিতে চলছে কার্যক্রম।

নিউজ ট্যাগ: বেনাপোল

আরও খবর



বিসিবি থেকে পদত্যাগ করলেন সুজন

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সুজন। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

সুজনের সময় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জিতেছে যুবাদের দলটি। এছাড়াও জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।


আরও খবর