আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের লাল তালিকাভুক্ত করছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা ভারতকে ভ্রমণের ‘লাল তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করার কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডের

এবার ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের লাল তালিকাভুক্ত করছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের একটি ধরন ১০৩ জনের দেহে খুঁজে পাওয়ার পর যুক্তরাজ্য এ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সোমবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ভারতকে ভ্রমণ নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা ভারতকে ভ্রমণের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা অথবা যুক্তরাজ্যের নাগরিক নন এমন ব্যক্তি, যিনি গত ১০ দিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন, তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা বা যুক্তরাজ্যের নাগরিক, যারা গত ১০ দিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের যুক্তরাজ্য প্রবেশের পর ১০ দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়োরেন্টাইনের নিয়ম পালন করতে হবে।

আগামী শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা (০৩:০০ জিএসটি) থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানান হ্যানকক।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে ভ্রমণের লাল তালিকাভুক্ত করেছিল যুক্তরাজ্য।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে সুপার বোর্ড কারখানায় আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পারটেক্স বোর্ড তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট।

রবিবার (২৪ মার্চ) বেলা ১টা ১১মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গজারিয়ার জামালদি এলাকায় অবস্থিত কারখানাটি আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১টা ২২ মিনিটে। একে একে ১০ ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

তালহা বিন জসিম আরও জানান, সুপার বোর্ড নামের কারখানাটি সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে কারখানাটিতে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত করতে পারননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



মা হওয়ার খবরে মুখ খুললেন পরিণীতি চোপড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিশাল আয়োজনে রাজকীয় ধারায় বিয়ে হয় বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাঘব চাড্ডার। বিয়ের বছর না গড়াতেই গুঞ্জন রটে পরিণীতি মা হতে চলেছেন। এবার অভিনেত্রী নিজেই মুখ খুললেন ঘটনাটি নিয়ে।

মা হওয়ার খবর রটলে অভিনেত্রী বারবার এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবু যেন বিষয়টি নিয়ে বাতাস দিয়ে যাচ্ছেন নেটিজেনরা। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করে এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান।

এসব বিষয় নিয়ে জল ঘোলা হলে, অভিনেত্রী তার ফেসবুকে লিখেছেন, কাফতান ড্রেস মানেই গর্ভবতী! ওভারসাইজড টি-শার্ট মানেই গর্ভবতী।

বেবিবাম্প লুকানোর জন্যই তিনি ঢিলেঢালা পোশাক পরছেন। এই গুজবে বিরক্ত হয়েই তিনি ভিডিওটি পোস্ট করেছেন এবং জামাকাপড় সম্পর্কে তার পছন্দের কথা সবাইকে জানিয়েছেন।

গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে পরিণীতির বিয়ে হয়। বছর না গড়াতেই এমন খবর ভেসে বেড়ালে তিনি চুপচাপই ছিলেন কিন্তু বিষয়টি চরমে উঠে গেলে তিনি তার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ -এ মা হতে চলেছেন অনেক অভিনেত্রী। এর মধ্যে রণবীর সিং ও দীপিকা পাডুকোন জানিয়ে দিয়েছেন তাদের সন্তান আসার কথা। তাছাড়া অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমও মা হতে চলেছেন বলে জানা গেছে। 

নিউজ ট্যাগ: পরিণীতি চোপড়া

আরও খবর



মর্গ থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার টাকাও নেই ইকবালের পরিবারের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ষাটোর্ধ্ব মা সুফিয়া বেগম এখন নির্বাক। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শ্রমিক ইকবাল হোসেনের মৃত্যুতে শুধু কাঁদছেন আর বুক চাপড়াচ্ছেন মা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঘটনাটি জানার পর থেকেই কোনো দানাপানি মুখে নেননি তিনি। ছেলে যে আর ফিরবে না এটা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। কথা ছিল ঈদের ছুটিতে ছেলে বাড়িতে আসবে। সেই আসা আসবেই। কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।

সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন নির্মাণের জন্য সড়কে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি তেলবোঝাই লরি। এ সময় তেল বোঝাই লরিটিতে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাশে এবং পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের লেবার ইকবাল হোসেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

নিহত ইকবালের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। বর্তমানের ইকবালের নিথর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

হতদরিদ্র পরিবারের ইকবাল বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রামে দীর্ঘদিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বছর খানেক আগে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পাড়ি দেন রাজধানী ঢাকার সাভারে। সেখানে বিভিন্ন পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী মঞ্জুয়ারাও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।

১০ দিন আগে পাঁচ বছর বয়সী ইকবালের ছোট মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চৌগাছায় আসেন মা সুফিয়া বেগম। কথা ছিল ঈদের দুইদিন আগে ছুটি নিয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে নিয়ে গ্রামে আসবেন। কিন্তু ঈদের ছুটিতে নয়, জীবনের মতো ছুটি নিয়ে ফিরছে ইকবালের নিথর দেহ।

ইকবালের মা সুফিয়া বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই কষ্ট করেছে। অনেক দেনাদায়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই বছর খানিক আগে তার উপার্জনের ভ্যানটা বিক্রি করে সবাইরে নিয়ে ঢাকায় গেছিল। সেখানে একটা বস্তিতে বাসা ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে থাকছিলাম। আমিও সেখানে থাকি। ঈদে আমাদের সবার গ্রামে আসার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের সময় গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই ইকবালের ছোট মেয়েডারে নিয়ে আমি ১০ দিন আগে গ্রামে এসেছি। ঈদের দুইদিন আগে ইকবাল তার বউ মেয়েরে নিয়ে গ্রামে আসার কথা ছিল।

ইকবালের ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বলেন, ও আল্লাহ আমরা ইকবালরে কই নিয়ে গেলা। ইকবালের বদলে আমারে নিতে পারতা। এখন আমাদের কী হবে। তার বউ বাচ্চাদের কী হবে। এই তোমার বিচার?

মঙ্গলবার বিকেলে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনের মাতম চলছে। তাদের কান্নায় প্রতিবেশী ও উপস্থিত কেউই কান্না ধরে রাখতে পারছিলেন না। সবাই তার ছোট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাকে ঘিরেই নানা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইকবালের প্রতিবেশী স্বজনেরা।

ইকবালের প্রতিবেশী স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আরিফুজ্জান বলেন, ইকবালরা দুই ভাইবোন। তার একটা বোন, বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পরিবারে ইকবালই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দেনার কারণে সপরিবারে ঢাকায় গেছিলেন। কিন্তু তার সেই দেনা পরিশোধ হওয়ার আগেই মৃত্যু হলো। এখন তার পরিবারের কী হবে?

তিনি জানান, ইকবালের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চৌগাছায় আসবে। তার মরদেহ আসার প্রেক্ষিতে জানাজার সময় চূড়ান্ত হবে। তবে এত টাকা খরচ করে ইকবালের মরদেহ গ্রামে আনার সক্ষমতাও নেই তার পরিবারের।

স্থানীয় সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, পরিবারটি নিঃসন্দেহে অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল ইকবাল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়লো। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকবো। স্থানীয় বিত্তবান মানুষদের ইকবালের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।


আরও খবর



টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং বাদিবন্যা পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গল কাটতে ও গরু চরাতে গিয়ে তারা অপহৃত হন।

অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নূর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনায়া (২৪), রৈক্ষং এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (৩৩) এবং একই এলাকার আকবরের ছেলে ফজল কাদের (৪৫)।

অপহরণ হওয়া শাকিলের বাবা লেদু মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে শাকিল গরু চরাতে যায় হোয়াইক্যং বাদিবন্যা পাহাড়ে। দুপুরে অপহরণকারী আমাকে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি গরিব মানুষ মাটি কেটে সংসার চালাই। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। আমার ভাই ফরিদ আলমও অপহরণের শিকার। প্রশাসনের কাছে ভাই ও ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাই। 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, তিনি মুক্তিপণ দাবি করার বিষয়টি জানেন না।

এর আগে ২১ মার্চ ভোরে হ্নীলার পানখালীর পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন পাঁচ কৃষক। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা। ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসাছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করা হয়। তবে এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

জানা যায়, গত এক বছরে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে ১০৩ জনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা।

নিউজ ট্যাগ: টেকনাফ

আরও খবর



কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাংলাদেশি জন্মসনদ!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দেশের জন্ম ও মৃত্যুসনদ সার্ভারে পাওয়া গেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাংলাদেশি জন্মসনদ! সেখানে দেখা যাচ্ছে, আবেদনকারীর নাম জাস্টিন ট্রুডো। তিনি আবেদন করেছেন বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের জন্য। সেই জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে পাবনা থেকে।

এ বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, ওই লোকের আসল নাম ছিল আজিজুল। সেটাকে বদলে করা হয়েছে জাস্টিন ট্রুডো। মানুষের কাছে যেকোনো ক্ষমতা দিলে তার অপব্যবহার হতে পারে। এটাকেও সেভাবেই দেখছেন তিনি।

এরইমধ্যে পাওয়া গেছে পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে করা আরও কিছু অবৈধ জন্মসনদ। জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ জন্মসনদ করে দেন ওই ইউনিয়নের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন।

টাকার বিনিময়ে আবেদনের পর নিজেই সব অ্যাপ্রুভ করিয়ে দেন। জাস্টিন ট্রুডোর নামে আবেদনটি হয়েছিল এভাবেই।

এ বিষয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লার কাছে জানতে চাওয়া হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্মসনদ আপনার ইউনিয়ন থেকে সম্পন্ন হয়েছে। এর জন্য আপনার কি গর্ববোধ হচ্ছে? তিনি বলেন, আমার কাছে এটি লজ্জার বিষয়। কারণ, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, তার নিবন্ধন হয়েছে আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। এটা আমার জন্য খুবই লজ্জার।

বৈধভাবে জন্মসনদের সংশোধন করানোর সময় নানা ঝক্কিতে পড়েন মানুষ। উল্টোদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নামেও এক রাতে করা যায় জন্মসনদ। তাহলে কতটা সুরক্ষিত দেশের এই নিবন্ধন সার্ভার?

ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, আমরা এখন বুঝতে পারলাম। যেহেতু আমরা সার্ভার নিয়ে কাজ করি, সুতরাং কে কয়টায় কাজ করেছে, তা ধরা পড়েছে আমাদের কাছে। এখন আমরা অ্যাকশন নেব।


আরও খবর