আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

ভাসানচরে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সামনে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ সোমবার সেখানে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল সোমবার নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য গিয়েছিল। খবর বিবিসির।

তারা সেখানে পৌঁছানোর পর পরই রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করে। পরে একপর্যায়ে কিছু ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গিয়েছিল।

দলটিতে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তারা ছিলেন। এই প্রথমবার ইউএনএইচসিআরের কোনো প্রতিনিধিদল ভাসানচরে গেছে। দলটিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নামার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের একটি দল মিছিল করে হেলিকপ্টারটির দিকে এগোতে শুরু করে।

সে সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ভাসানচরে ওয়্যার হাউস নামে একটি ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইটপাটকেল দিয়ে ভবনটির কিছু জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। সে সময় পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভাসানচরে বাস করছেন এ রকম কয়েকজন রোহিঙ্গা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের যে প্রতিনিধিদলটি ভাসানচরে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গারা কথা বলতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু ভাসানচরে অবস্থানরত প্রায় ১৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গার মধ্যে থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে 'ফোকাল পয়েন্ট' হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাদেরই কথা বলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল।

রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের অনেকেই যে আর থাকতে চান না, সেখানে তাদের নানাবিধ অসুবিধার পুরো চিত্র ফোকাল পয়েন্টের সদস্যরা তুলে ধরেন না; কারণ তারা নিয়োগপ্রাপ্ত।

এ কারণে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে তাদের আসল অবস্থা কী, সেই বার্তা পৌঁছবে না এমন আশঙ্কা থেকে তারা চেয়েছিলেন শুধু ফোকাল পয়েন্ট নয়, অন্যদেরও কথা বলতে দেওয়া হোক। কথা বলার সুযোগ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

একটি অংশ ভাঙচুর করার পর ওখানে অবস্থানরত বাকি রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখন ভাসানচরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে কয়েক দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে স্থানান্তর করা হয়। তারা নিজেদের ইচ্ছাতেই সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে।

তবে রোহিঙ্গারা অভিযোগ করছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি তাদের দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সব পূরণ করা হয়নি। তাদের মাসিক ভাতা, প্রতিটি পরিবারকে গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, যা সবাইকে দেওয়া হয়নি বলে রোহিঙ্গারা দাবি করছেন।

সেখানে শিশুদের পড়াশোনার জন্য কোনো স্কুল তৈরি করা হয়নি। তাদের প্রতি মাসের খাওয়ার যে রসদ দেওয়া হয়, তা ন্যূনতম কিছু সামগ্রী বলে অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গারা।

তাদের কক্সবাজারে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন। কিন্তু শুধু চরেই তাদের অবস্থান করতে হয়।

এ ছাড়া খারাপ আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মধ্যেই। ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। খুব নিচু চরটিতে প্রায়শই পানি প্রবেশ করে, যা ঠেকানোর জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তার একটি ভেঙে গেছে বলেও জানা গেছে। এখন রোহিঙ্গারা আশঙ্কা করছেন যে, সামনে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হলে, কোনো সাইক্লোন শুরু হলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে।

এসব আশঙ্কা ও সুযোগ-সুবিধার অভাবে রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে ফিরে যেতে চান। ইতোমধ্যে ভাসানচর থেকে কিছু রোহিঙ্গার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।


নিউজ ট্যাগ: ভাসানচর

আরও খবর



ঢাকাসহ ৩ বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ তিন বিভাগে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ: বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা: লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

তৃতীয় দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



এক রাতে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

একে একে ৮০টির বেশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এসব ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন এসব এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করে।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফের কারিগরি ত্রুটির মুখে পড়েছে মেটার মালিকাধীন ফেসবুক। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ফেসবুকে নিজের বা বন্ধুর প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে নো পোস্ট অ্যাভেইলেবল। অনেক ব্যবহারকারী এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তবে, জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিছুই জানাচ্ছে না।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) বিভিন্ন ব্যবহারকারী এই অভিযোগের কথা জানান। ওয়েবসাইট ও পরিষেবার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারী অনলাইন মাধ্যম ডাউন ডিটেক্টরে এমন সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫শ ব্যবহারকারী রিপোর্ট করেছেন।

তারা বলেছেন, সকাল থেকে ফেসবুক প্রোফাইলে কোন পোস্ট দেখা যাচ্ছে না। আমাদের সব পোস্ট কি ফেসবুক মুছে ফেলেছে? ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকের সার্ভারে কারিগরি সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। সাময়িক এই সমস্যা কিছু সময়ের মধ্যেই সমাধান হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গেল মার্চে হঠাৎ করেই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে লগইন নিয়ে বিভ্রাট দেখা যায়। তখন মেসেঞ্জার ব্যবহারেও সমস্যা হয়। দেখা যায়, গত ৫ মার্চ রাত ৯টার পর থেকে ফেসবুকে লগইন করা যাচ্ছিলো না। এমনকি যারা ফেসবুকে লগইন করা অবস্থায় ছিলেন তারাও লগআউট হয়ে যান।


আরও খবর



কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর