আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভাসমান সবজি চাষে সফল মালেক মাস্টার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে অধিক ফলন পাওয়ার প্রচেষ্টা বহুদিনের। কিন্তু গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাউমান টালাবহ এলাকায় বিলের অংশটুকু নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বছরের প্রায় সময়ই জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকে। ইচ্ছে থাকলেও উপজেলার এ অঞ্চলের সব জমিতে বছরের পুরো সময় সবজি চাষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। উপজেলার এ অঞ্চলে বেশিরভাগ জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় বছরের ছয় মাস এ অঞ্চলের জমিতে পানি জমা থাকে। তাই বছরে একবারই তারা জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন। বাকি সময় পানি জমে থাকার কারণে জমি থাকে অনাবাদি। বদ্ধ পানিতে আগাছা ও কচুরিপানায় ভরে যায় জমি।

তবে এই এলাকারই সন্তান মালেক মাস্টার নতুন এক পদ্ধতি ব্যবহার করে এসব জলামগ্ন অনাবাদি ও পতিত জমিতে ভাসমান (ধাপ) পদ্ধতিতে বেডে সবজি চাষ করে সফলতার অপার সম্ভাবনা দেখিয়েছেন এলাকার সকল মানুষকে। মালেক মাস্টার পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি ভাউবান টালবাহ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট সময় থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি তার কৃষি কাজে ব্যাপক জোক ছিল, তাই তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজে বাকি সময় ব্যয় করে থাকেন। তার ফসলের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখে এলাকার অনেকেই ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন।

প্রথম পর্যায়ে তাদের এই কাজকে অনেকেই ভালো চোখে না দেখলেও পরে স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের কারণে এলাকার অনেকেই এখন মালেক মাস্টারের দেখাদেখি ধাপের ওপর সবজি চাষ করছেন।

কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার ছাড়াই জৈব সার ব্যবহার করে এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন ও সবজি চাষ ক্রমান্বয়ে গোটা দেশের কৃষক ও কৃষি গবেষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের নিম্নাঞ্চলের যেসব এলাকার জমি বেশিরভাগ সময় পানিতে ডুবে থাকে তারা এ পদ্ধতিতে শাক-সবজির চারা উৎপাদন ও বাণিজ্যিক চাষাবাদ করে সফলতা অর্জন করতে পারে। ভাসমান বেডে শীত ও বর্ষাকালীন শাক-সবজি চাষ করা সম্ভব। এতে খরচ কম। রোগ-বালাই, পোকা-মাকড়ের উপদ্রবও কম। কীটনাশক ও সার তেমন একটা দিতে হয় না।

বেড তৈরির পদ্ধতিঃ

কচুরিপানা আটকে স্তর স্তর করে ৫ ফুট উচু, প্রস্থ সারে ৪ ফুট ও ৪০ থেকে ৪৫ ফুট দৈর্ঘের একটি ধাপ তৈরি করা হয়। চারজন লোক দুদিনে একটি ধাপ তৈরি করতে পারেন। তবে অনেক সময় ধাপের দৈর্ঘ্য জমি অনুযায়ী কম-বেশী হতে পারে। ধাপ তৈরির কয়েকদিন পর যখন ধাপটি নরম হয় তখন তার উপর দৌল্লা’ বসানো হয়। টোপাপানা দুলালি লতা দিয়ে পেচিয়ে ছোট বল আকৃতিতে তৈরি করা হয় দৌল্লা। দলা দলা করে এগুলো বানানো হয় বলেই এগুলোকে স্থানীয় ভাবে ট্যামা বা দৌলা বলা হয়। বলের মাঝ খানে অংকুরোদগম বীজ বসিয়ে ছায়াতে রাখা হয় তা। বীজ ভিজিয়ে রাখলে ৫ থেকে ৭ দিনে অংকুরোদগম হয়। পাতা বের হওয়ার পর দৌল্লাগুলো ধাপের উপর রাখা হয়। একটি বেডে তিন থেকে চারবার চাষ করা যায়। ভাসমান সবজি চাষের একেকটি বেড এক মৌসুমের জন্য করা হয়। সবজি চাষ শেষ হলে ওই পচা ধাপ বোরো চাষের আগে জমিতে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করেন। ২০ মিটার লম্বা ২ থেকে আড়াই মিটার প্রস্থ একটি বেড তৈরি করতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। এক মৌসুমে একেক বেড থেকে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়।

ভাসমান বেড়ে যেসব ফসল উৎপাদন সম্ভবঃ

পানির ওপর ভাসমান বেডে প্রায় সব ধরনের সবজি চাষ করা সম্ভব। তবে উপজেলার ভাউমান টালাবহ এলাকায় সরে জমিনে দেখা গেছে, শসা, কাঁকরোল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, বেগুন, লালশাক, পালংশাকসহ নানা প্রকার সবজি চাষের সমারোহ। বিলের পানি ছাড়াও এই পদ্ধতিতে বাড়ির পাশে জলাশয়ে সবজি চাষ করা সম্ভব।

ভাসমান পদ্ধতির সবজি চাষী মালেক মাস্টার বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট থেকেই কৃষি কাজের প্রতি আমার জোক ছিল। আমাদের এলাকায় এসব জমিতে বেশির ভাগ সময় পানি থাকে বলে আমি ইউটিউব দেখে এভাবে সবজি চাষ সম্পর্কে জানি। তারপর প্রথমে ২৫ শতাংশ জমির উপর পাইলট প্রকল্প হিসাবে দশটি বেড করে লাউ সহ আরো কয়েক প্রকার সবজি চাষ করেছিলাম। প্রথম প্রকল্প থেকেই আমি প্রায় ৫০০ টি লাউ তুলেছিলাম। এতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও যে খরচ হয়েছে তার কয়েকগুন লাভ পেয়েছি। প্রথমে আমি চিন্তাও করতে পারিনি যে এতো পরিমান সবজি পাবো। আমার এই সবজির ফলন দেখে প্রতিদিন এর দৃশ্য দেখতে অনেক লোক এখানে জড়ো হতো।

ভাসমান পদ্ধতির সবজি চাষী মালেক মাস্টারের চাচা বলেন, প্রথমে আমার ভাতিজা মালেক আমাকে ইউটিউবে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষের বিষয়টি দেখায়। পরে আমি তাকে এভাবে সবজি চাষ করতে উৎসাহিত করি। তাকে বলি যে, অন্য মানুষ এভাবে সবজি চাষ করতে পারলে তুমিও পারবে। ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ দেখে  আমাদের এলাকায় প্রথমে অনেকেই হাসাহাসি করত কিন্তু এখন এর সফলতা দেখে অন্যরাও এভাবে চাষ শুরু করেছে।

মালেক মাস্টারের পাশাপাশি ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আমি ইউটিউব দেখে এই পদ্ধতিতে ভাসমান সবজি চাষের বিষয়টি পেয়েছি। এ বছর এখন একটি বেডে নিজের জন্য চারা লাগিয়েছি আরেকটি বেড প্রস্তুত আছে আরো কিছু সবজির চারা লাগাব।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমরা দেখেছি এবার মালেক মাষ্টারের বেডের উপর অনেক লাউ হয়েছিল। সরকারি সহযোগিতা পেলে এই পদ্ধতিতে আরো অনেক ফসল পাওয়া সম্ভব।

কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাসমান বেড তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বীজ, ফেরোমন ফাঁদ ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়। এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক সবজি দেখাশুনা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। পরবর্তিতে উপজেলার আরো অনেকেই এই বিষয়ে আগ্রহ হলে প্রতেককেই কৃষি অফিস থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বিষমুক্ত সবুজ সবজিতে পরিপূর্ণ দেখে কৃষক পরিবার ও আমরা কৃষিবিভাগ আনন্দিত। আশা করছি আগামীতে কালিয়াকৈর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় আরো ব্যাপক সংখ্যক ভাসমান বেডে সবজি চাষ করবেন কৃষকরা।


আরও খবর



পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিল ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আটককৃত পাঁচ ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। প্রায় এক মাস ইরানের কাছে বন্দি ছিলেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরায়েলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।

বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্যে থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।


আরও খবর



হজের ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী আগামী ৭ মে পর্যন্ত হজ ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এসময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য আমারা আবেদন করেছিলাম। সময় বেড়েছে। কিন্তু আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি।

আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ৮ মে চলতি বছরের হজে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



হামাস চাইলে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের।

বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।

গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় মাদারীপুরের শিবচর স্টেশন থেকে ট্রেন দুটির উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। আগামীকাল রবিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন দুটি চলাচল করবে।

গতকাল শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা ননস্টপ চন্দনা কমিউটার সার্ভিস রাজবাড়ী স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায়। ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। এরপর এই ট্রেনটি ভাঙ্গা কমিউটার নামে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। আর ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ৯টায়।

ফিরতি যাত্রায় ভাঙ্গা কমিউটার ঢাকার কমলাপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। ভাঙ্গায় গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৮টায়। এরপর এই ট্রেনটি চন্দনা কমিউটার নামে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাবে রাত ৮টা ১০ মিনিটে।

আর রাজবাড়ী স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। ট্রেনটিতে ৫২৮টি শোভন শ্রেণির আসন আছে।

গত ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (পশ্চিম) পক্ষ থেকে সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়ালের সই করা চিঠিতে বলা হয়, ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে এক জোড়া এবং অপারেশনাল সুবিধার্থে একই রেক দ্বারা রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করার জন্য মতামত পেশ করা হলো।

একই রেক দিয়ে পরিচালিত হলেও এই ট্রেন দুটির নাম হবে আলাদা। এর মধ্যে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ১২১ ও ১২৪ নম্বর ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ভাঙ্গা এক্সপ্রেস। আর ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ১২২ ও ১২৩ নম্বর ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে চন্দনা এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, চন্দনা ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৪টি প্রথম, ৪৪টি শোভন চেয়ার ও ৪২৪টি শোভন শ্রেণির আসন ব্যবস্থা থাকবে। উভয় পথে ভাঙ্গা জংশন, শিবচর, পদ্মা ও মাওয়া স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণা হয় শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে। ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এতে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে সভাপতি মিশা সওদাগর মোট ভোট পান ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ডিপজল পান ২২৫ ভোট। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ আক্তার (২০৯)। সহ-সভাপতি পদে ২৩১ ও ২৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয় মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডি এ তায়েব। এছাড়াও সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান ২৩৭, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী ২৫৫, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো ২৯৬, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর ২৪৫, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ২৩৫ এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল ২৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয় ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০)।


আরও খবর