আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মহাভারতের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা আমরা অল্প বিস্তর সবাই জানি এবং পড়েছি। এই শ্রীকৃষ্ণ হলেন শ্রী বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তিনি হিন্দু সমাজে পূজিত হন। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তাঁর জম্ম যেই দিনটি আজও প্রতি বছর জম্মাষ্টমী হিসেবে পূজিত হয়।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বাণী, যথার্থ সাহসী তথা বীরের কথা বলে যারা শুধুমাত্র জয়ের চিন্তা করে, তাদের ভুল শুধরাতে নিজের অপমান বোধ হয় না বরং তাতে তারা সঠিক শিক্ষা পাওয়ার আনন্দ খুঁজে পান। সেই সময়ের জন্য হেরে গেলেও বারবারের জন্য উঠে দাঁড়াতে শিখে যায়।

জীবন না ভবিষ্যতে আছে আর না আছে অতীতে, জীবন তো কেবল এই মুহূর্তে আছে; অর্থাৎ এই মুহূর্তের অনুভব করাকেই জীবন বলে।

যে সব ইচ্ছাকে ত্যাগ করে দেয় এবং আমিআমার এই লালসাপূর্ণ ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যায়। সেই একমাত্র প্রকৃত শান্তিলাভ করে।

অনেকে মনে করে থাকেন যে সংসারে কাজর্কম ত্যাগ করাই হল সন্ন্যাস। কাজ মাত্রকইে তারা বন্ধন বা দুঃখরে কারণ মনে করনে, তাই সকল রকম কাজই পরিত্যাজ্য মনে করনে । কিন্তু তারা ভুল করেন, কর্ম ত্যাগ করা নয়, র্কমফলের লোভকে ত্যাগ করাই হল আসল ত্যাগ বা সন্ন্যাস।

নরকের তিনটে দরজা হয়- কামনা, ক্রোধ এবং লোভ।

যখন কোনো ব্যক্তি তার লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করে ফেলে, তখন তার জীবনের সব দুঃখ ঘুঁচে যায় এবং জীবনে নতুন আনন্দ ও খুশি ভরে ওঠে।

যার কাছে সুখ, দুঃখ, মান ও অপমান সবই সমান, সেই একমাত্র সিদ্ধপুরুষ।

দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর-বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।

যেকোনো ব্যক্তি যা চায় জীবনে সেটাই হতে পারে, যদি সে বিশ্বাসের সাথে সেই বিষয়ের উপর চিন্তা করে।

কর্ম করে যাও কিন্তু ফলের চিন্তা করো না।

অহংভাবই মানুষের মধ্যে বিভিন্নতা সৃষ্টি করে। অহংভাবের অভাব থাকলে পরমাত্মার সাথে বিভিন্নতার কোনো আর কারণই থাকেনা।

যেটা ঘটতে চলেছে সেটা ঘটবেই, যা ঘটবে না তা কখনোই ঘটবে না এরকম নিশ্চয়তাপূর্ণ মনোভাব যার মধ্যে আছে; তাকে দুশ্চিন্তা কখনোই কষ্ট দিতে পারেনা।

বাহ্যিক বস্তুর ত্যাগকে বাস্তবে ত্যাগ বলেনা, আন্তরিক ত্যাগই হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগ। আমাদের কামনা, মমতা, আসক্তিই হচ্ছে বন্ধনযুক্ত কিন্তু সংসার তা নয়।

আত্মার জন্ম নেই , না কখনো মৃত্যু হয়। শরীর নষ্ট হয়ে গেলেও , আত্মা নষ্ট হয় না।

খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে , যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিল ,পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে । আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন , সেটাই তোমার দুঃখের কারণ।

যখনই সত্যের সাথে অসত্যের লড়াই হয় তখন সত্য একা দাঁড়ায় অসত্যের বাহিনী হয় বিশাল, কারণ তার পেছনে মূর্খ, লোভী, স্বার্থপর ও বিশ্বাসঘাতকেরা থাকে।

হে অর্জুন , যবে যবে এই সংসারে ধর্মের অনিষ্ট হয় , এই সংসারে অধর্ম বৃদ্ধি পায় , তখন তখন ধর্মের রক্ষার জন্য এই পৃথিবীতে আমি আবার ঘুরে আসি।

যে ব্যক্তি পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ , রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে , সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে।

যে ব্যক্তি পঞ্চ-কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ , রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে , সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে।

সজ্জন ব্যক্তি আরো ভালো চরিত্রের সজ্জন ব্যক্তির সাথে, নীচ ব্যক্তি আরো নীচ চরিত্রের ব্যক্তির সাথেই থাকতে চায় । স্বভাব দ্বারা জন্ম যার যেমন প্রকৃতি হয়, সে তার সেই প্রকৃতিকে কখনোই ছাড়েনা।

যদি কোন ঘটনার মানুষ ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয়। আর জে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী। 


তোমার কি চলে গেছে ,

যে কারণে তুমি কাঁদছো ?

তুমি কি নিয়ে এসেছিলে ,

যা তুমি হারিয়ে ফেলেছো ?

তুমি কি সৃষ্টি করেছিলে ,

যা নষ্ট হয়ে গেছে ?

তুমি আসার সময় কিছু নিয়ে আসো নি ,

যা নিয়েছো এখান থেকে নিয়েছো

যা দিয়েছো এখান থেকে দিয়েছো।

যে প্রাণী লোভ , মায়া , ক্রোধ , অশান্তি , ঈর্ষা , থেকে মুক্তি আমি তার মধ্যে বিরাজ করি ।

হে অর্জুন , আমিই অতীত , আমিই বর্তমান , আমিই ভবিষ্যৎ , আমি সর্ব প্রাণীর মধ্যে বিরাজ করি ,যে প্রাণী আমাকে মন দিয়ে স্মরণ করে , আমি সর্বদা তাদের পাশে থাকি ।

শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যেভাবে আচরণ করেন , সাধারণ মানুষেরা তার অনুকরণ করে। তিনি যা প্রমাণ বলে স্বীকার করেন , সমগ্র পৃথিবী তারেই অনুসরণ করে।

সর্বদা সন্দেহ করে যাওয়া মানুষের প্রসন্নতা পাওয়া, না এই জীবনে সম্ভব আর না অন্য জীবনে।

উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে পারে।

শুধুমাত্র মনই মানুষের মিত্র কিংবা শত্রু হয়ে থাকে।

এই সংসার প্রতিটা মূহুর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, আর পরিবর্তনশীল বস্তু সর্বদা অসত্যই হয়।

সময় কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়।

যে বিষয় টি তোমার হাতে নেই , সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।

অগ্নি যেমন ধুম দ্বারা আবৃত থাকে, দর্পণ যেমন ময়লা দ্বারা আবৃত থাকে, অথবা গর্ভ যেমন জরায়ুর দ্বারা আবৃত থাকে ,তেমনি জীবাত্মা বিভিন্ন মাত্রায় এই কামের দ্বারা আবৃত থাকে।

 


আরও খবর



ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ‘প্রস্তুত’ ইউরোপের ৩ দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তত রয়েছে ইউরোপের ৩ দেশ। স্পেন, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তৃতীয় দেশটি হচ্ছে নরওয়ে। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নিজেরা প্রস্তুত বলে জানায় আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে। সূত্র: আল জাজিরা

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডাবলিনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের সঙ্গে বৈঠকের পর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শীঘ্রই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়, তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, স্পেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ারও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তার দেশও অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

সানচেজ বলেন, ইচ্ছুক দেশগুলো তাদের ঘোষণা দেবে যখন পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে এবং তারা নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার সমর্থন করবে।

এর আগে ইউরোপের দেশ মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানিয়েছিল, তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মাল্টা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয় তারা।


আরও খবর



যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত। নারী-শিশু-সব বয়সী মানুষ এর শিকার হয়ে জীবন দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) সম্মেলনের ৮০তম সেশনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যারা এখনো বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন যুদ্ধের কারণে, তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ও মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিলো মানবিক প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু তারাই বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে একান্ত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




রাজনীতি ছাড়ার কারণ জানালেন মিমি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গতবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু প্রার্থী নয়, জয়ীও হয়েছিলেন। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি এ বছর তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না। তার জায়গায় এবার যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মিমি। এখন তার ধ্যান, জ্ঞান সব কিছুই অভিনয়। ক্যারিয়ারে আবারও ভালো করে মন দিতে চান। আর তার মাঝেই রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে এটা কী বলে বসলেন তিনি!

একটি পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, 'পিস অব মাইন্ড ফিরে পেয়েছি।' কিন্তু কেন এমনটা মনে করেন মিমি সেটা খোলাসা করলেন না।

টালিউডের স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা গ্রুপ আছে, যারা ঠিক করে কারা ভালো আর কারা খারাপ। বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে খুল্লামখুল্লা কথা হয়। করণ জোহর যদি ঠিক করেন তিনি কোনো স্টার কিডকে লঞ্চ করবেন তা হলে করেই ছাড়বেন। কিন্তু এখানে মিষ্টির ছুরি সব। কিছুই খোলাখুলি হয় না। সবাই পেছনে নিন্দা করে। একে ওকে বলে যে কাকে ছবিতে নেবে আর কাকে নয়।

মিমিকে আগামীতে আলাপ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীকে। থাকবেন স্বস্তিকা দত্ত, কিঞ্জল নন্দা, দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, তন্বী লাহা রায়। আগামী ২৬ এপ্রিল বড় পর্দায় আসছে আলাপ।

নিউজ ট্যাগ: মিমি চক্রবর্তী

আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর