আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভোজ্যতেলের স্বনির্ভরতায় চমক থাকছে বাজেটে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি করতে হয়। অথচ রাইস ব্র্যান অয়েল কিংবা সরিষার তেলের উৎপাদন বাড়াতে পারলে এ নির্ভরতা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। সে লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে পরিশোধিত ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ লাখ ৭৬ হাজার টন। যার কাঁচামাল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। ভোজ্যতেল উৎপাদনে আমদানি করা সয়াবিন ও পামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ টন। যথাযথ উদ্যোগ ও সরকারের বিশেষ নজর থাকলে স্থানীয়ভাবে চাহিদার প্রায় ৩৬ শতাংশ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, বিভিন্ন রাইস ব্র্যান অয়েলের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় তিন লাখ টন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় প্রায় দুই লাখ টন সরিষার তেল। এগুলো পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসে।

 সাম্প্রতিক সময়ে ভোজ্যতেল নিয়ে বড় সংকটের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বাড়তি দামে বিক্রির পাশাপাশি একপর্যায়ে বাজার থেকে পণ্যটি উধাও হয়ে যায়। ভোজ্যতেল পেতে ক্রেতাদের দোকান থেকে দোকানে ছুটতে হয়। বাধ্য হয়ে মাঠে নামে প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখন মজুত করা ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হচ্ছে। মূলত অধিক মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক এ কাজ করছেন। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোজ্যতেল উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এজন্য বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাইস ব্র্যান অয়েল কিংবা সরিষার তেলের উৎপাদন বাড়াতে থাকছে বিশেষ নজর। এছাড়া ভালো মানের বীজ সরবরাহ কিংবা মাঠপর্যায়ের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ারও চিন্তাভাবনা থাকছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বাজেট-সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে ভোজ্যতেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায়ই অস্থিতিশীল হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব। ফলে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার বিকল্প নেই।

 পুরোপুরি না হলেও আপাতত নির্ভরতা কমিয়ে অন্তত ৫০ শতাংশ দেশীয় উৎস থেকে ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ কারণে আগামী বাজেটে সরিষা চাষ ও রাইস ব্র্যান অয়েলের কাঁচামাল ধানের তুষ বা কুঁড়া সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা আসতে পারে বাজেটে। এছাড়া উৎপাদন বাড়াতে গবেষণা, মানসম্মত বীজ সরবরাহ ও উৎপাদনে বিশেষ প্রণোদনা বা ভর্তুকির জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে। যাতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে খুচরাপর্যায়ে দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখা যায়। পাশাপাশি ভোক্তাদের এসব তেলের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহমূলক প্রচারণারও ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ছাপ থাকবে আসছে বাজেটে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। যেখানে দুই লাখ টন উৎপাদন হয় স্থানীয়ভাবে। বাকি ১৮ লাখ টন সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানি হয় ভোজ্যতেল হিসেবে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসে পাম অয়েল। যার ৮০ শতাংশের জোগান দেয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দেয়। বাংলাদেশে অয়েল সিড হিসেবে সরিষা, গ্রাউন্ডনাট, তিল, সয়াবিন ও সানফ্লাওয়ারের চাষ হয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে পরিশোধিত ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট উৎপাদনের ক্ষমতা ৫০ লাখ ৭৬ হাজার টন। যার কাঁচামাল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। আমদানি করা সয়াবিন ও পামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ টন। যার প্রায় ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

এছাড়া বিভিন্ন রাইস ব্র্যান অয়েল কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় তিন লাখ টন। স্থানীয়ভাবে প্রায় দুই লাখ টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয়। যা পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরবরাহ হয়। সাধারণত ছয় থেকে সাড়ে ছয় কেজি ধনের কুঁড়া থেকে এক কেজি রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদিত হয়। ধান থেকে চাল তৈরি করলে সাত থেকে আট শতাংশ কুঁড়া পাওয়া যায়।

ট্যারিফ কমিশনের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আড়াই লাখ টন রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন সক্ষমতার ১৫টি কারখানা স্থাপিত হয়। এ পরিমাণ তেল উৎপাদনের জন্য ১৩ লাখ টন রাইস ব্র্যান (ধানের কুঁড়া) দরকার। দেশের ভেতরে কুঁড়া উৎপাদন হয় প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায়। অথচ কোম্পানিগুলো প্রায় সাড়ে চার লাখ টন কুঁড়ার সরবরাহ পায়। যে কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন থেকে সরে এসেছে। কারণ হিসেবে খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থান ছাড়া অটো রাইস মিল নেই। ফলে এখনও অর্ধেকের বেশি ধান ভাঙানো হয় স্থানীয়পর্যায়ে। সেখান থেকে যথাযথ কুঁড়া সংগ্রহ করা যায় না, গেলেও মানসম্মত হয় না। এছাড়া কুঁড়ার বড় একটি অংশ এখন পোল্ট্রি ফার্ম ও মাছের খাবার তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে কাঁচামালের সংকট থেকেই যাচ্ছে। বিপুল উৎসাহ নিয়ে চালের কুঁড়া থেকে রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু দেড় দশকেও সয়াবিন ও পাম অয়েলের জায়গা দখল করতে পারেনি এ ভোজ্যতেল। স্থানীয় বাজারে জায়গা করতে না পেরে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি বাজার ধরার চেষ্টা করছে।

এনবিআর ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ এর এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ১১ হাজার টন রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হয়েছে। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ এর এপ্রিল পর্যন্ত এক লাখ ২৪ হাজার টন রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানি হয়েছে। খাত-সংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশে যে পরিমাণ কুঁড়া উৎপাদন হয় তার সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে পারলে উৎপাদন সক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণ আমদানিনির্ভর। ফলে বিশ্ববাজারের কাছে আমরা জিম্মি বলতে পারেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাজেটে এমন সব পরিকল্পনা থাকা উচিত যাতে দেশীয় উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন। যেমন- উন্নত মানের বীজ সরবরাহ কিংবা বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা। এছাড়া গবেষণায় জোর দেওয়া যেতে পারে। রাইস ব্র্যান অয়েলের কাঁচামাল সম্পূর্ণ দেশীয়। তবে দেশীয় হলেও এর উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। ফলে বাজারে এর দাম সয়াবিনের তুলনায় বেশ বাড়তি। এ কারণে রাইস ব্র্যান অয়েল এখনো জনপ্রিয়তা পায়নি। দাম বেশি হওয়ায় অনেক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান তা রপ্তানির দিকে ঝুঁকছে। এ তেলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে সরকার উদ্যোগ নিতে পারে। এ বিষয়ে গবেষণারও প্রয়োজন আছে।

 অন্যদিকে, ভোক্তারও কিছু দায়িত্ব আছে। তাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সরিষার তেলের ব্যবহার মানুষ কমিয়ে দিয়েছে। এক সময় বাদাম তেলের প্রচুর ব্যবহার ছিল কিন্তু এখন মানুষ খায় না। তাই ভোক্তাকেও দেশীয় তেল ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি প্রচারণার পাশাপাশি বাজেটে বাড়তি কিছু উদ্যোগ নিলে রাইস ব্রান অয়েলের জনপ্রিয়তা বাড়বে মনে করেন ক্যাব সভাপতি।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ফের ২০ বিলিয়নের নিচে নামল রিজার্ভ

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সোমবার রাতে সারাদেশ ১ মিনিট ‘ব্ল‍্যাক আউট’ থাকবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওইদিন রাত ১১টা থেকে রাত ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল‍্যাক আউট’ পালন করা হবে। শনিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহতম একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ।

গণহত্যা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




চাঁদাবাজির তুলনায় অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা আসা পর্যন্ত কী পরিমাণ চাঁদা দেওয়া লাগে, আর সেই পণ্য কারওয়ান বাজার থেকে অন্য বাজারে নেওয়ার পর কী পরিমাণ দাম বাড়ে সবকিছুই আমরা অনুসন্ধান করেছি।’

শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন সাইবার সিকিউরিটি’ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি করছে। অধিক মুনাফার চিন্তা থেকেই এর প্রভাব বেশি পড়ে।’

তিনি আরও বলেন, যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিক মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের স্পেশাল ড্রাইভ চলছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, ভবিষ্যতে সব মহাসড়ক ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।‘

যারা অতি মুনফার লোভে দামবৃদ্ধি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়াও ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন ফোর্স এখানে কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে যখনই আসে তখনই তারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




গাজা উপত্যকায় হিরোশিমা–নাগাসাকির মতো বোমা ফেলার আহ্বান মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে সেখানে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো বোমা ফেলার’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের কংগ্রেস সদস্য টিম ওয়ালবার্গ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা–নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে জাপানের আত্মসমর্পণ ত্বরান্বিত হয়। চূড়ান্ত জয় পায় মার্কিন জোট।

মিশিগানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য টিম ওয়ালবার্গ। গত ২৫ মার্চ নিজের নির্বাচনী এলাকার একটি টাউন হলে ভোটারদের সামনে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

জাপানের শহর দুটিতে মার্কিন বাহিনীর পরমাণু বোমা ফেলার প্রসঙ্গ টেনে টিম গাজায় একই পন্থা অবলম্বনের কথা বলেন। সেই সঙ্গে গাজায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।

টিমের ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য টিমের চেহারা দেখা না গেলেও তাকে কথা বলতে শোনা যায়।

ওই আয়োজনে গাজাবাসীকে মানবিক সহায়তা দিতে মার্কিন প্রশাসনের ডলার খরচ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। টিম বলেন, আমার মনে হয়, গাজাবাসীর জন্য আমাদের একটি অর্থও খরচ করা উচিত হবে না।’

মার্কিন এই আইনপ্রণেতা আরও বলেন, নাগাসাকি আর হিরোশিমার মতো করা দরকার। তাহলে দ্রুত এটি (যুদ্ধ) শেষ হবে।’

ওই বক্তব্যের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দিয়েছে টিম ওয়ালবার্গের দফতর। এতে দেখা গেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে অবিলম্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রুখে দিতেও একই যুক্তি দেখিয়েছিলেন এই রাজনীতিক।


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গোজাহাজ ডুবি, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
খুলনা প্রতিনিধি

Image

খুলনার রূপসা নদীতে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সার বোঝাই একটি কার্গোজাহাজ ডুবে গেছে। এতে কার্গোজাহাজের ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কার্গোজাহাজের মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গোজাহাজটি রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এতে দ্রুত কার্গোজাহাজটি ডুবে যায়। কার্গোজাহাজে থাকা ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। কার্গোর বাবুর্চি কালাম ও গ্রিজার শাকায়েত নিখোঁজ হয়।

তিনি আরও জানান, এমভি থ্রি লাইট-১ নামের কার্গোজাহাজে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ১ হাজার ১৪০ টন টিএসপি সার বোঝাই করে নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, রূপসা থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের পৃথক তিনটি টিম নৌযান নিয়ে রূপসা নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ডুবে যাওয়া কার্গোজাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ২ জনের সন্ধান মেলেনি।

রূপসা নৌ-পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম শেখ জানান, তারা ডুবে যাওয়া জাহাজটি শনাক্ত এবং নিখোঁজ ২ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।


আরও খবর



বলিভিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ১৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বলিভিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মিনিবাস ও ট্রাক্টর-ট্রেইলারের সংঘর্ষে শিশু-নারীসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ওরুরো ও পোটোসির সংযোগকারী একটি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ওরুরোর পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা পরিচালক জুলিও লারিয়া স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, পোটোসি থেকে লবণ পরিবহনকারী ট্রাক্টর-ট্রেইলারের চালক সম্ভবত ক্লান্তির কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ঘটনাস্থলে একটি দীর্ঘ ব্রেকিংয়ের চিহ্ন আছে। অর্থাৎ তিনি চেষ্টা করেও আর তার লেনে ফিরে আসতে পারেননি। ফলে মিনিবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে।’

লারিয়া জানান, ওরুরো ও পোটোসির মধ্যবর্তী সীমান্ত প্রস্থানের শহর ভিচুলোমায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মিনিবাসের একজন যাত্রী ও ট্রেলারে থাকা অন্য একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি গাড়িচালকদের অনুরূপ ট্র্যাজেডি রোধে গতির সীমা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গতির কারণে এ মহাসড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।’


আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪