ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ
জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (৩
আগস্ট) দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে মারা যান তিনি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হলো।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই বিএনপির দেশব্যাপী
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে
বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। ভোলা সদর উপজেলার কালীনাথ রায় বাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশটি
অনুষ্ঠিত হয়। সমবেশ শেষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুলিশ
বেষ্টনী দিয়ে মিছিল অবরুদ্ধ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
বেষ্টনী ভেঙে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। বেধে যায় সংঘর্ষ।
এসময় ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। পুলিশও পাল্টা অ্যাকশনে
যায়। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। প্রাণ হারায়
আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী।
ওই সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে
আলম গুরুতর আহত হন। ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল এবং ওই দিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া
হয়। তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ দুপুরে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম রাজধানীর
একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।