আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ভোটে এগিয়ে কঙ্গনা, জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনা পুরোদমে চলছে। এই বছর নির্বাচনে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। অভিনেত্রী হিসেবে বলিউডকে যেমন মাতিয়েছেন, তেমনই কি রাজনীতিতেও নেত্রী হিসেবেও পাকাপাকি জায়গা তৈরি করতে পারবেন কঙ্গনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রথম ৩০ মিনিট পোস্টাল ব্যালট গণনা থেকেই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে এগিয়ে ছিল কঙ্গনা।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন এ অভিনেত্রী। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন।

বিজেপির টিকিটে প্রথমবার ভোটে লড়ে সংসদ হওয়ার পথে তিনি। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গণনা অনুসারে, মান্ডি থেকে কঙ্গনা ৩০২৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নির্বাচনে জিতলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। সমস্ত সময়টাই রাজনীতির জন্য ব্যয় করবেন। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলেরই মেয়ে কঙ্গনা রানাউত।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় কারার জন্য বার বার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় তাকে। প্রচারে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কঙ্গনাকে এখনও রাজনীতিতে নবিশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

গত ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মান্ডিতে পদ্ম ছাপ ফেলেছিল। বিজেপির রাম স্বরূপ শর্মা দু বছরই মান্ডি আসন থেকে নির্বাচনে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর ২০২১ সালে উপ-নির্বাচন হলে ক্ষমতাচ্যুত হয় গেরুয়া শিবির। বিক্রমাদিত্য-র মা প্রতিভা সিং উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন।

২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে কঙ্গনা ডেবিউ করেন বলিউডে। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।


আরও খবর



বেনজীরের ‘কালো টাকা’ সাদা হবে কি না, জানালেন এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ১৫ শতাংশ কর দিলে তার অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করেন, সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ক্ষেত্রে তিনি ১৫ শতাংশ কর দিলে তার অবৈধ সম্পদ বৈধ হয়ে যাবে কিনা?

জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটা তো ফৌজদারি প্রক্রিয়া বা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে। এ ধরনের প্রক্রিয়ায় কীভাবে বৈধ হয়ে যাবে। এটা তো আইনি প্রক্রিয়া।

অপ্রদর্শিত আয় বা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল বৈধ ব্যবসায়ীরা বেশি বেকায়দায় আছেন, অডিটজনিত কারণে তারা তাদের কিছু অ্যাসেট দেখাতে পারছেন না। সে জন্য আমরা প্রস্তাবটা করেছি।

বেনজীর আহমেদের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, সাবেক কর্মকর্তা নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেছেন, উনার বিচার হবে না এটা কেউ বলেননি। দুদক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তার বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ না করে তাকে জেলে বা ফাঁসি দেব বিষয়টি এমন নয়, কারণ উনি তো এ দেশের মানুষ। বেনজীর বিদেশে আছেন, দুদকের কাছে সময় চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



বর্ষায় রান্নাঘরের যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম যদিও কমেনি তেমন, তবে বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। তেমনই খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের কিছু বিষয়েও। এসময় ফ্লু, অন্ত্রের সমস্যা এবং জ্বর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রজনন স্থল হয়ে ওঠে। এসময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো রান্নাঘর। ক্রমাগত রান্না এবং পানির প্রবাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। যা অনেক সময় খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, আপনার রান্নাঘরকে সতেজ এবং নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রান্নাঘরের চিমনি এবং এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কার করুন: উচ্চ তাপে রান্না করলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা রান্নাঘরে আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। তবে বর্ষাকালে এমন পরিবেশ বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি কাজে আসে। বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।

এয়ার টাইট বয়াম ব্যবহার করুন: বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, এবং সেইসঙ্গে আপনার খাবারের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধিকে আরও উন্নত করতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিরাময় মসলা হাতের কাছে রাখুন: বাঙালির রান্নাঘর হলো বিভিন্ন ধরনের মসশলার ভান্ডার। সেগুলো রান্না ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো আদা ইত্যাদি মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে। তাই এ ধরনের মসলা হাতের নাগালেই রাখুন।

সিঙ্ক পাইপ পরিষ্কার করুন: আপনার রান্নাঘরের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘর এবং সেখানে থাকা খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণ করুন: মৌসুমি খাবারের গুরুত্ব আমাদের অজানা নয়। মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বর্ষাকালীন ফল এবং শাক-সবজি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করুন এবং সেই অনুযায়ী খাবার কিনুন।

নিউজ ট্যাগ: রান্নাঘর

আরও খবর



কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে দুই বাংলাদেশি নিখোঁজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে নিখোঁজ হয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। কাকতালীয় হলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে নিখোঁজের দুটি ঘটনাই ঘটেছে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকার মার্কুইস স্ট্রিট অঞ্চলে। ঘটনাটি কাকতালীয় হলেও রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

মা-বাবার সঙ্গে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসেন পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ১৯ জুন রাতেই হঠাৎ হোটেল থেকে দেলোয়ার উধাও হয়ে যান। এরপর ২০ জুন দিবাগত রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কুইস স্ট্রিটের প্যারামাউন্ট হোটেলে।

এ ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে দেলোয়ারের পরিবার। এ বিষয়ে দেলোয়ারের বোন কামরুন্নাহার অমি জানান, আমার ভাই নার্ভের সমস্যায় আক্রান্ত। সে কিছুক্ষণ পরপরই সবকিছু ভুলে যায়। সহজেই কোনো কিছু মনে রাখতে পারে না। যে কারণে আমরা গত ১৯ জুন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।

তিনি বলেন, ১৯ জুন রাতে আমি ও আমার স্বামী হোটেলের এক রুমে ছিলাম। পাশের রুমে ভাইকে নিয়ে বাবা-মা ছিলেন। রাত ১১টায় আমার বাবা-মা দেখতে পান হোটেলের রুমের দরজা খোলা। ঘরের মধ্যে ভাই নেই। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের নিচে আসি। সেই রাতেই পথে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। সেই রাতে না পেয়ে পরের দিন পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি।

কামরুন্নাহার অমি বলেন, ১৯ জুন রাতেই হোটেল সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় দেলোয়ার রাত ১১টা ২৭ মিনিটে হোটেল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। খুব চিন্তায় আছি। ভাইকে সাত ঘণ্টা অন্তর অন্তর ওষুধ খেতে হয়। না হলে ভাইয়ের কথা আটকে যায় খাবারও গিলতে পারে না। কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। যদিও পার্কস্ট্রিট থানার পাশাপাশি পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজার থানাও আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।

একইভাবে গত ২৪ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হন রাজশাহীর রাজপাড়া লক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম শিহাব (২৪)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। মা-বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন শিহাব। তার নামে লালবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি হয়েছে, তবে এখনও তাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিহাবের পরিবার উঠেছিলেন মার্কুইস স্ট্রিট সংলগ্ন কলিং স্ট্রিটের শামীমা হোটেলে।

শিহাবের বাবা শফিকুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে জানান, ২২ মে চিকিৎসার কারণে কলকাতায় এসেছিলাম। ২৪ মে ছেলে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলাম। স্থানীয় সিসি টিভি ফুটেজেও দেখতে পাই ছেলে হোটেল থেকে একা বের হয়ে রাস্তার দিকে যাচ্ছে। এরপর কিছু জানি না। প্রায় একমাস হয়ে গেল। আর পারছি না। ছেলেকে নিয়েই দেশে ফিরতে চাই।

যদিও দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷ তবে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের পক্ষে জানানো হয়েছে, তারা সব ঘটনাই পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রেখে চলছে।


আরও খবর



সংসদ সদস্য হবার পেছনে নিরাপদ খাদ্যের বড় ভূমিকা আছে: ফেরদৌস

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছর মেয়াদে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে এক বছরের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, গত দশ পনেরো বছর ধরে আমি চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছুর সাথে সম্পৃক্ত হতে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। আমার মনে হয়, সংসদ সদস্য হবার পেছনে নিরাপদ খাদ্যের একটা বড় ভূমিকা আছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যক্রমকে সম্প্রসারণ ও জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমদের সাথে এক বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কর্তৃপক্ষ। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদৌস বলেন, নিরাপদ খাদ্যের সাথে যখন সংযুক্ত হলাম, এরপর থেকে মাঠে-ঘাটে, জন-প্রান্তরে, মানুষের সাথে মেশার যে ব্যাপারটা ছিলো, সেটা কিন্তু এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, যারা ভেজাল দেয়, তারা একদিনে শুধরাবার না। এটা দীর্ঘদিনের অনুশীলনের বিষয়। তাই নিরাপদ খাদ্যের কাজটা আরো নিষ্ঠার সাথে সুন্দরভাবে করতে হবে। তিনি আরো সরবভাবে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা না করে অন্যান্য বিভাগে ও জেলাসমূহেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বিকেল তিনটায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকে সাথে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যেহেতু তিনি (ফেরদৌস) এখন নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত আছেন, তাই আমরা চাইবো তিনি যেনো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, এ চুক্তির ফলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি দেশের জনসাধারণের কাছে আরো উজ্জ্বল হবে।

উল্লেখ্য যে, গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেরদৌস আহমেদ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য পূনরায় তাঁকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সম্পৃক্ত করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।


আরও খবর



টেকনাফে প্রবল বৃষ্টিতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ৪টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়াও হারাংখালী এলাকা অতিবৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, মাটির ঘর সব ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দেওয়া হবে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।


আরও খবর