আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়তি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা রংপুরে চালের বাজার অস্থির। গত ১০ দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। মাছ-মাংস, শাক-সবজির সঙ্গে চালের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হতে না হতেই চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অটো রাইস মিলের মালিকদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এদিকে ক্রেতারা দ্রুত চালের দাম কমাতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতিবছর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকে। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে আমন ধানের কাটা-মাড়াই শেষ হয়েছে। ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা থাকলেও নির্বাচনের আগে বাড়তে শুরু করে চালের দাম।

রংপুর সিটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুটি স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনের আগে এর দাম ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। বিআর-২৮ চাল বর্তমানে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৫০ থেকে ৫১ টাকা। জিরাশাইল বা মিনিকেট চাল ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা।

রেলস্টেশন এলাকার রিকশাচালক সেলিম মিয়া বলেন, চাইল-ডাইল, সউগ কিছুরে দাম বাড়তোছে। রিকশা চালায়া যা পাই তা রিকশার মালিককে জমা দেমো নাকি খরচ করি খামো। এর ওপর যে শীত পড়ছে! মানুষ বাহিরে বের হয় কম। আয়-ইনকাম কমি গেইচে। কিন্তু খাওয়া তো কমে নাই হামার। কী যে করো, দিশা পাইতোছো না।

আনছারী মোড়ের শাকিল হোসেন বলেন, নিত্যপণ্য আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দ্রুত যদি এটি নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে গরিব মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। আমরা চাই তিনবেলা যেন শান্তিমতো ডাল-ভাত খেতে পারি। সরকার আমাদের এটি নিশ্চিত করুক।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হলেও এর প্রভাব পড়েনি বাজারে। হাতে গোনা কিছু অটো রাইস মিল ও মজুদদার সিন্ডিকেট ধান-চাল মজুদ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিলগেট থেকে কেনা দামেই চাল বাজারে বিক্রি করছেন। চাল উৎপাদনে শীর্ষে থাকা উত্তরের জেলাগুলোতে চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা।

মাহিগঞ্জ এলাকার আড়তদার ফারুক হোসেন বলেন, চালের এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। ছোট ছোট হাসকিং মিলগুলো এখন আর চলে না। বড় অটো রাইস মিলের মালিকরা কম দামে ধান কিনে মজুদ করে নানা অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় কৃষক ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে রেখে দিয়েছে। তারা বাজারে ধান বিক্রি করছে না। ফলে চালের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।

রংপুর সিটি বাজারের চাল ব্যবসায়ী শুভ কুমার বলেন, নির্বাচনের আগে থেকে চালের দাম বাড়ছে। গত ১০ দিনে প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। ফলে চাল বিক্রিও কমে গেছে। এ ছাড়া রংপুরে শীতের কারণে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে ধান শুকাতে না পারায় চাল করতে পারছে না মিলমালিকরা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

রংপুর চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির জন্য অটো রাইস মিলগুলো দায়ী। অটো রাইস মিলমালিকরা আগে থেকে ধানের মজুদ গড়ে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে অটো রাইস মিলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ছোট ছোট ব্যবসায়ী অসহায় হয়ে পড়েছে।

রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার মনিটর করছে; অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে।


আরও খবর



অন্যকে বাঁচাতে জীবন দেওয়া নাজিউল ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অপরিচিত এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেওয়া সেই কলেজছাত্র তার মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া যুবকের নাম জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮)।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরর মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে সন্তানসহ দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ রাজিয়া বেগমেকে বাঁচাতে গিয়ে নাজিউলের মৃত্যু হয়।

জোবায়ের রহমান নাজিউল গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও জেবা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। জোবায়ের রহমান নাজিউলের এমন ত্যাগে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর হয়ে পড়ছেন।

নাজিউলের মা জেবা বেগম অচেনা মানুষ দেখেই চিৎকার করে আহজারী করছেন। আর বলছেন, আমার কলিজার টুকরাকে এনে দাও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছেলে। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কার কাছে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের এই ত্যাগে মৃত রাজিয়া বেগমের কোলে থাকা শিশুটি বেঁচে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অনেকেই এই তাকে মানবিক কিশোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত ও কর্মহীন। মোবাইল ফোনে প্রেম করে সুনামগঞ্জের রাজিয়াকে বিয়ে করে আনোয়ার। পেশা হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। আবার কিছু সময় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে কাজ না করে আনোয়ার হোসেন প্রায়ই বাড়িতে বসে থাকতেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। শিশু সন্তানের খাবার ঠিকমতো দিতে পারত না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। 

ঘটনার আগের রাতে স্বামীকে কাজ করতে বলায় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার রাজিয়া বেগম সকালে তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা যান। ওই গৃহবধূর কোলে থাকা ওই শিশু আবির হোসেনসহ তিনজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত গৃহবধূ ও কলেজছাত্র জোবায়েরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পথে তারা মারা যান। তবে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখভাল করছেন।

স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত রাজিয়া শিশু সন্তানের গায়ে হাত তুলত। এ নিয়ে ঘটনার আগের রাতে তাকে গালিগালাজ করি। এরপর রাতেই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের সহপাঠী জিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জোবায়ের রহমান নাজিউল নিজের জীবন দিয়ে যে কাজটি করেছে তা ভোলার মতো না। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও তরতাজা জীবন দুটো বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে হলো।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম রুহুল আমিন জানান, দেড় বছরে শিশু আবির হোসেন মাথায় ও পেটে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশু আবির হোসেন শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সদর খানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



নববর্ষ ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীতে যাতায়াত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক নির্দেশনাও দিয়েছে ডিএমপি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগের মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রবিবার ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

সম্ভাব্য ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হলো:

বাংলামোটর ক্রসিং, মিন্টোরোড ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, কদমফোয়ারা ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ক্রসিং, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং এবং কাঁটাবন ক্রসিং।

যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা:

মিরপুর-ফার্মগেট থেকে শাহবাগ অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন বাংলামোটর-মগবাজার ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার-হাইকোর্ট থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন কদম ফোয়ারা-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। জিরো পয়েন্ট-কদম ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি থেকে গুলিস্থান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল-ইউবিএল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।

নববর্ষের দিনে উপযুক্ত এলাকা অথবা রোডগুলো পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য নগরবাসীকে ডিএমপির পক্ষ থকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক, রফিকুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান এবং ফজিলাতুন নেসা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় পরিচিতি পর্ব। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সম্প্রতি সমাপ্ত অধিবেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বিবরণ, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সর্বশেষ হালনাগাদ অবস্থা এবং গৃহীত প্রকল্পগুলোর বিবরণ উপস্থাপন এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১১টি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৫ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে এবং দুটি স্থগিত রয়েছে মর্মে জানানো হয়। বাস্তবায়নাধীন ও প্রক্রিয়াধীন প্রতিশ্রুতিগুলোর বিপরীতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রমগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়।

দেশের বিভিন্ন শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহিত প্রকল্পের কাজের গুণগতমান ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ ও মতামত দেওয়ার জন্য বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) জোর সুপারিশ করা হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত সচিব, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর প্রধান, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে সংবাদপত্রেও মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আলোচনা চলছে।

নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে একদিনের ব্যবধানে পহেলা বৈশাখ পড়েছে। তাই মাঝে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সাধারণত সংবাদপত্র কর্মচারীরা সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ছুটি ভোগ করেন। সেই হিসেবে এবার ঈদে সরকারি ছুটি ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। তবে, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে সরকারি ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। সেটি হলে ৯ এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে ১২ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ১৩ এপ্রিল সংবাদপত্রে অফিস খোলা থাকলেও ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। এ অবস্থায় নোয়াব যদি ১৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে তাহলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সংবাদকর্মীরা।

এদিকে, এবার সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন ঈদে ছুটি পেতে পারেন। অর্থাৎ সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি।

এ ছাড়া ঈদের আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি পেলে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন পাবেন। এরমধ্য ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।


আরও খবর



অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়।

নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪