গাজীপুরে কালিয়াকৈরে রবিবার সন্ধ্যায় ভুল চিকিৎসায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালটি ঘেরাও রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। নিহত হল- কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার পাটোয়ারী পাড়ার গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে আরিফা আক্তার (১৩)। সে উপজেলার সিনাবহ খন্দকার পাড়া মডেল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফা দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মায়ের সাথে কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ খন্দকারপাড়া নওশের আলী বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। সকালে ওই স্কুলছাত্রীর মাথা ও পেট ব্যাথা হলে তাকে উপজেলার সফিপুর তানহা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ সেবন, ইনজেকশন ও সালাইন দেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হুসনে আমিন দুলন। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে অতিদ্রুত ইসিজি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত অন্যত্র রেফার্ড
করে। কিন্তু বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ওই হাসপাতালটি ঘেরাও
করে রাখেন। এসময় ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর দাবী করে ওই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ
করতে থাকে জনতা। পরে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় মৌচাক
ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্দ জনতাকে তাড়িয়ে দেন।
নিহত স্কুলছাত্রীর
দুলাভাই হিমেল হোসেন জানান, সামান্য মাথা ব্যাথা নিয়ে আমার শ্যালিকাকে ওই হাসপাতালে
নিয়ে যাই। হাসপাতালের লোকজন বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওষুধ ও সালাইন পুশ করে।
হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ওই তানহা হেলথ
কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজার মোস্তফা হোসেন জানান, রোগীটা দুর্বল অবস্থায় ভর্তি করা
হয়েছিল। এ জন্য সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ওষুধ ও স্যালাইন করা হয়। এক পর্যায়ে রোগীটি আরো
বেশি অসুস্থ হলে তিনি মারা যান।
কালিয়াকৈর থানাধীন
মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে
পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।