তাঁরই ছবি। তুমুল সাফল্যের পর তৈরি হয়েছে সিক্যুয়েল।
অথচ তাতেই জায়গা হয়নি খোদ নায়ক অক্ষয় কুমারের। ‘ভুলভুলাইয়া ২’-এ
কেন বাদ দেওয়া হল বলিউডের ‘খিলাড়ি’কে? তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ-অনুযোগ ছিল ভক্তদের। ছবি
মুক্তির পরে অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক অনীশ বাজমি।
সিক্যুয়েল ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে আসার পরে অনীশ বলেন,
এই সব ছোটখাটো বিষয়ের তুলনায় অক্ষয় এখন অনেক বড়। ওকে নেওয়া যেত না। ‘ভুলভুলাইয়া ২’-তে অক্ষয় থাকল কি থাকল না, তা ওর কাছে নিতান্তই ছোট একটা ব্যাপার।
ও এখন পছন্দমতো প্রস্তাব পাচ্ছে পরপর, তাতে অভিনয়ও করছে নিয়মিত। আমাদের ছবির প্রস্তাব
ওর কাছে গেলেও নিশ্চয়ই তাতে অভিনয় করত। আমার সঙ্গে ওর যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক। পরেও নিশ্চয়ই
আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করব।
তবে এখানেই গন্ধটা কেমন যেন সন্দেহজনক ঠেকছে অনুরাগীদের।
অনীশের কথা যে খানিক বেসুরে বাজছে! অক্ষয়ের সঙ্গে কোনও রকম ঝামেলা বা টানাপড়েনের কারণে
কি তাঁকে সিক্যুয়েলে নিলেন না অনীশ? নাকি ছবির নায়ক হতে অনেক বেশি টাকা পারিশ্রমিক
হেঁকে বসেছিলেন ‘খিলাড়ি’, যার জন্য বাদ দিতে হল তাঁকে? নাকি অন্য কোনও কারণে
বনিবনা হয়নি? কোনও প্রশ্নেরই জবাব অবশ্য মেলেনি।
২০০৭ সালে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমার, বিদ্যা বালন অভিনীত
‘ভুলভুলাইয়া’। ছবিতে তাঁদের পাশাপাশি ছিলেন রাজপাল যাদব, অমিশা পটেল, পরেশ রাওয়াল-রাও।
বক্স অফিসে হইচই ফেলার পাশাপাশি বিদ্যার প্রেতাত্মা-চরিত্র ‘মঞ্জুলিকা’ এবং তার কণ্ঠে ‘আমি
যে তোমার’ মুখে মুখে ফিরেছিল দর্শকের। সেই ছবিরই সিক্যুয়েল
হিসেবে প্রথম থেকে চর্চায় ‘ভুলভুলাইয়া
২’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কার্তিক আরিয়ান এবং
কিয়ারা আডবাণী।