তুরস্ক-সিরিয়া
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চার হাজার
৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপের
নিচে আটকে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
উদ্ধার অভিযানের
একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারে। তালহা সিএইচ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি
পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা এক নবজাতকে হাতে
নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকর্মী। শিশুটিকে ঢাকার জন্য আরেক উদ্ধারকারী একটি চাদর
ছুড়ে দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে
শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল। নবজাতককে জীবিত উদ্ধার করা
গেছে। তবে জন্মের পরই মাকে হারিয়েছে শিশুটি।
বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত
হয়েছেন কয়েক হাজার। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রচুর মানুষকে খুঁজে পাচ্ছে।
তুরস্কে আঘাত
হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর
সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথরিন স্মলউড বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা সব সময় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে
একই জিনিস দেখতে পাই। দুর্ভাগ্যবশত শুরুর দিকে হতাহতের সংখ্যা যা থাকে, পরবর্তী সপ্তাহে
বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে তা বেড়ে যায়।’
তুরস্ক-সিরিয়া
সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই শক্তিশালী
ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, তুরস্কের নুরদাগি
এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। পরে আরও কয়েকবার শক্তিশালী
কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়।
তুরস্কের এই
ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের নানা দেশ। বিশেষজ্ঞ দল ও নানা সরঞ্জাম দিয়ে
উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশ।