আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার (২৬ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বব বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

কোথায় কোন সংকেত

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ দেশ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ০৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।


আরও খবর



বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বজ্রপাতে দেশের ৬ জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দিনের বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নওগাঁয় তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন, নাটোরে দুজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, দিনাজপুরে একজন, সন্দ্বীপে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় দুই কৃষক ও একজন নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বজ্রপাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও বদলগাছীতে বজ্রপাতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মান্দা উপজেলার শামসুল আলম (৩৪) ভোলাম গ্রামের ফইমদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ও পত্নীতলা উপজেলার উপজেলার পাটিচড়া ইউনিয়নের নাগরগোলা গ্রামের বিশা মণ্ডলের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (৫০) ও গাহন গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী মনিকা (৩৫)।

আহতরা হলেন, বদলগাছীর গাবনা গ্রামের অবির উদ্দিন ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন ফকির (৫৫) ও আমিন আলী ফকিরের ছেলে আব্দুল খালেক ফকির (৩৫)।

নিহতের বাবা ফইমুদ্দিন জানান, তার ছেলে শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের একটি মাঠে ধানের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।

পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে কৃষক খাদেমুল ইসলাম মাঠ থেকে ধান বহন করে বাড়ির উঠানে এসে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যান। অন্য স্থানে গৃহবধূ মনিকা বাড়ির সামনে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, বদলগাছীতে শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে আহত দুই ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্যে মাঠে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এমতাবস্থায়, ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে তারা গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।

তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলায় শিশুসহ দুজন ও ভোলাহাটে একজন মারা যান। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টির সময় আম কুড়াতে গিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা মহল্লার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিন পাঁকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮) টিউবওয়েলের পানি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

ভোলাহাট থানার ওসি সুমন কুমার বলেন, ভোলাহাট উপজেলার আন্দিপুরের ইসলাম আলীর মেয়ে আমেনা খাতুন (১০) বাড়ির পাশের আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়, পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর ও নলডাঙ্গায় উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের সাদ্দাক আলীর স্ত্রী আবেরা বেগম (৪০) ও নলডাঙ্গা উপজেলার পীরগাছার কোমরপুর শাহ পাড়ার লুৎফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০)।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান, দুপুরে আবেরা বেগম বৃষ্টির সময় হাঁস আনতে মাঠে যান। এ সময় তিনি বজ্রপাতে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, পীরগাছা শাহ পাড়া এলাকায় বারনই নদীতে জাল ফেলে কামরুল ইসলাম মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান।

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে লিপি আকতার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার রনশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিপি রনশিয়া গ্রামের ফিরোজ জামানের স্ত্রী।

জাবরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, দুপুরে ঝড়-বৃষ্টি আসছে দেখে লিপি আক্তার বাড়ির পাশে শুকাতে দেওয়া ভুট্টা গাছ তুলতে যান। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আলম। তিনি বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বজ্রপাতে মো. রাফি (১৪) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রাফি সন্দ্বীপের গাছুয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাদিয়ার গো মধ্যের বাড়ির মো. জামালউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতের সময় রাফি অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে চরের মাঠে ফুটবল খেলছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাছুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহেল মেম্বার।

তিনি বলেন, নিহত রাফি স্থানীয় খান সাহেব নুরানী হাফেজীয়া মাদরাসার হিফজুল কোরআন বিভাগের ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছেলেকে হারিয়ে রাফির বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে জুয়েল নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের লালঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল মিয়া (১৯) নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের দামাইল সরকারপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় আফতাবগঞ্জ সরকারী কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল হক এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার আফতাবগঞ্জ-লালঘাট পাকা সড়কের দামাইল সরকারপাড়া নামক স্থানে সড়কের উপর ধান-ভূট্টা শুকাতে দেয়। আকাশ মেঘলা হলে এইসব উঠানোর সময় হঠাৎ বজ্রপাতে জুয়েল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় জুয়েল মিয়া।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: শাহীনের বাসা থেকে দুটি গাড়ি জব্দ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের দুটি গাড়ি জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এর মধ্যে একটি সাদা রঙের প্রাডো মডেলের গাড়ি ও অন্যটি মাইক্রোবাস।

রাজধানীর গুলশানে শাহীনের ভাড়া বাসার গ্যারেজ থেকে সম্প্রতি গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এলে গাড়ি দুটি ব্যবহার করতেন শাহীন।

গত শনিবার বিকেলে ডিবির একটি দল গুলশানে আক্তারুজ্জামানের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। পরে বাসার নিচতলার গ্যারেজে থাকা আক্তারুজ্জামানের সাদা রঙের প্রাডো গাড়ি জব্দ করা হয়। একই গ্যারেজ থেকে আরেকটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে। আরেক আসামি কসাই নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান ও কাজী কামাল ওরফে গ্যাস বাবু। এর মধ্যে প্রথম তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি ও মো. জামাল হোসেন।


আরও খবর



রাফায় বিস্ফোরণে নিহত ৮ ইসরায়েলি সেনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। গত প্রায় দুমাস আগে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এই প্রথম সেখানে একসঙ্গে এতজন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুসারে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাফার তেল আল-সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের একটি সামরিক সাঁজোয়া গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। নিহত ওই আট সেনা ওই গাড়িতে ছিলেন। সাঁজোয়া গাড়িটির কোনো যাত্রী আর বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

এদিকে হামাস দাবি করেছে, তেল আল সুলতানের যেখানে সাঁজোয়া যানটি বিস্ফোরিত হয়েছে, সেখানে মাটির নিচে মাইন পাতা ছিল। বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই মাইনের প্রভাবেই। শুক্র-শনিবারের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন ১৯ জন ফিলিস্তিনিও।

রাফার সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে। গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই সীমান্ত শহরে জড়ো হন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এ কারণে গত এপ্রিলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যখন রাফায় অভিযান শুরু করতে চান বলে ঘোষণা দেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল।

তবে সেই আপত্তি উপেক্ষা করে রাফায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। কারণ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, এ শহরটিতে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে তেল আল সুলতান এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, সেখানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে যে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাকে আরও জটিল করতে পারে এই ৮ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু।

কারণ গাজা অভিযান নিয়ে ইসরায়েলে দ্বিধা-বিভক্তি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন সভার অন্যতম সদস্য এবং সাবেক সেনা অধিনায়ক জেনারেল বেনি গান্টজ। তার অভিযোগ, গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপের ফলাফল যদিও বলছে যে হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করতে গত আট মাস ধরে যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন রয়েছে সাধারণ ইসরায়েলিদের। তবে গত কয়েক মাস ধরে প্রতি সপ্তাহের শনিবার ইসরায়েলের প্রধান শহর তেল আবিবে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের ফেরত আনতে অনতিবিলম্বে গোষ্ঠীটির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে ইসরায়েলের সরকারকে।

তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করেই জিম্মিদের উদ্ধার করতে হবে এবং এই মুহূর্তে এই অভিযান থামানোর কোনো সুযোগ নেই।


আরও খবর



বাজেটের প্রভাব নেই নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। বাজেট পেশ হলেও অন্য বছরের মতো প্রস্তাবিত বাজেটের পর নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মাছ-মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক পণ্য আগের কেনা রয়েছে তাই বাজেটের প্রভাব বুঝতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকা ঘুরে নিত্যপণ্যের বাজারের এই চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রমজান মাস থেকেই মূলত দ্রব্যমূল্যের বাজার ঊর্ধ্বগতির দিকে। তাছাড়া বাজেট ঘোষণার আগেই অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এজন্য ঘোষণার পর পণ্যের দাম বাড়ার আর কিছু থাকে না। তারপরও কিছু জিনিসে এর প্রভাব পড়তে পারে, যা হয়তো আগামী সপ্তাহের বাজারে দেখা যাবে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মতো এই দিনেও বাজার অনেকটা উত্তপ্ত। প্রায় অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। বাজারে কিছু সবজি আছে যেগুলো মানভেদে বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০ টাকার মধ্যে।

বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সামছুল হক বলেন, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৮০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা ছিল ৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, যা ছিল ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৮০ টাকা। এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, যা গতকালও বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা ছিল ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৮০ থেকে ৬০ টাকা।

তিনি বলেন, টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দামটা দিন দিন বাড়ছে। আজকের বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ টাকা করে।

বাজেটের প্রভাব বিষয়ে এই বিক্রেতা বলেন, বাজার আগের মতোই আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজেট হলেও আজকের বাজারে কোনো প্রভাব নেই। সবজির দাম তো এমনিতেই তুলনামূলক বেশি, এখানে আর কী দাম বাড়বে। তারপরও হয়তো আগামী সপ্তাহের বাজারে আসল চিত্র বোঝা যাবে।

বাজার করতে আসা মওদুদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল বাজেট হয়েছে দেখলাম, যদিও বাজেটের সাথে আমাদের মতো শ্রেণিপেশার মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ধরনের বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু থাকে না। বাজেট কম হোক বা বেশি হোক, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কখনোই কমবে না বরং উল্টো বাড়তেই থাকবে। যেকারণে বাজেটকেন্দ্রিক খুব বেশি একটা আগ্রহ নেই।

জসিম উদ্দিন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায় তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে। বাজারে সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কোনো সংকট নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা আসলে যাবো কোথায়? এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। দেশের ইতিহাসের ৫৪তম বাজেট এটি। এর আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এজন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ২৭টি প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ২৭ পণ্য।


আরও খবর



দেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, তাদেরকে নিয়েই চলব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদেরকে নিয়েই চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

রবিবার (২ জুন) গণভবনে আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত। সারা দিন কান্নাকাটি করত। ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতি এখন মুছে গেছে। মানুষের সামনে সঠিক ইতিহাস উঠে এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সবাই সেটা জানতেন; কিন্তু স্বাধীনতার কথা মুখে বলা বারণ ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ। আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে স্বামীর কর্মস্থল ইতালি যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ভিসা পেতাম না। তারপর করাচি গিয়ে ভিসা করে যেতে হতো। এখান থেকে কোথাও যাওয়া যেত না। সবকিছুই হতো করাচিকেন্দ্রিক।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেয়া যায় না।’

নিজে নিজের কাজ করায় কোনো লজ্জা নেই মন্তব্য করে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, করোনার সময় আমি আর রেহানা নিজেরাই ঘর মোছা, কাপড় কাচা, রান্নাসহ সব কাজ নিজেরা করেছি। কাজ করতে কখনও লজ্জাবোধ করি না।’


আরও খবর