আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
ইসরায়েলি সেনারা এবার রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নেতানিয়াহু বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

ইয়াবা ও গাঁজায় আসক্ত ছিলেন স্পিডবোটের সেই চালক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মাদারীপুর থেকে দেলোয়ার হোসাইন

মাদারীপুরের শিবচরে দুর্ঘটনার শিকার সেই অবৈধ স্পিডবোটটির চালক মো. শাহ আলম (৩৮) ইয়াবা ও গাঁজায় আসক্ত ছিলেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করা ডোপ টেস্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই চালককে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডোপ টেস্টের বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ডোপ টেস্টে স্পিডবোট চালকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি এমফিটামিন (ইয়াবা) ও মারিজুয়ানা (গাঁজা) সেবনে আসক্ত। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২৬ জন যাত্রী। এতে আহত হন স্পিডবোটের চালকসহ পাঁচজন। দুর্ঘটনার পরে অবৈধ স্পিডবোটের চালক মো. শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে প্রশাসনের নির্দেশনায় ওই চালকের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে আহত ওই চালককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে ওই চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডোপ টেস্টের কিট মাদারীপুরে না থাকায় ঢাকা থেকে কিট সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

তিনি আরও বলেন, স্পিডবোটচালকদের লাইসেন্স দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে। এমনকি নিয়মিত তাঁদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। যাঁরা মাদকাসক্ত হবেন বা ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসবেন, তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্পিডবোটের চালক শাহ আলম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভাতা ঈদগাহপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করে গাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করেন শাহ আলম। প্রায় ১৮ বছর আগে শিমুলিয়ায় আসেন কাজের সন্ধানে। পরে যোগ দেন স্পিডবোট চালক হিসেবে। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁদের দুই সন্তান থাকে নানার বাড়িতে। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় শাহ আলম ভ্রাম্যমাণ বসবাস করতেন। নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা এখানে তাঁর নেই।

শাহ আলমের বিষয় জানতে চাইলে তাঁর বাবা আবুল কালাম মুঠোফোনে বলেন, শাহ আলম তাঁদের টাকা দিতেন না। ঠিকমতো কাজ করতেন না। ইচ্ছা হলে কাজে যেতেন, না হলে যেতেন না। সংসার করেছেন ১৪ বছর। পরে বউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে একাই ছিলেন। নিজের স্পিডবোট ছিল না। মাসিক বেতনে চাকরি করতেন। নিজের মতো থাকতেন। কাজ ছাড়া আর কী করতেন, তা জানাতেন না।

সেদিনের স্পিডবোট দুর্ঘটনায় স্বামী সন্তানকে হারালেও প্রাণে বেঁচে যান আদুরী বেগম। তিনি চালককে মাদকাসক্ত উল্লেখ করে বলেছিলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে স্পিডবোট ছাড়েন চালক। যাত্রার শুরু দিকেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এলোমেলোভাবে স্পিডবোট চালাচ্ছিলেন তিনি। শুরুতে একবার স্পিডবোট চালকের ভুলে উল্টে যাচ্ছিল। চালকের কারণেই তিনি স্বামী-সন্তান হারিয়েছেন।

এদিকে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর ওই দিন রাতে মালিক, ইজারাদারসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করে নৌ পুলিশ। ঘটনার চার দিন কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক আল বলেন, মামলা হওয়ার পরে আমরা অভিযুক্তদের বাড়িতে রেইড দিই। কিন্তু আসামিরা কেউ বাড়িতে নেই। তাঁদের ধরতে পিআইবি, র‌্যাব, নৌ পুলিশসহ একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।

কর্মকর্তা আরোও জানান, দুর্ঘটনার শিকার ওই চালক ঢাকা মেডিকেলে পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় কথাও বলতে পারছেন না তিনি।


আরও খবর



দেশের দীর্ঘতম রেলপথে চালু হলো ট্রেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অবশেষে পূরণ হলো লালমনিরহাট জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। বুড়িমারী থেকে ঢাকা রেলপথে দিবারাত্রী আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে করে জেলার মানুষের নিরাপদ ভ্রমণ ও ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হলো।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোতাহার হোসেন।

লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় কমার্শিয়াল ম্যানেজার (ডিসিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বুড়িমারী-ঢাকা পথ ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম রেলওয়ে পথ।

ট্রেনটি যাত্রা শুরু করায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন হলো।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকার পথে ১১টি স্টেশনে থামবে। আর ঢাকা থেকে বুড়িমারীতে ফেরার পথে ১২টি স্টেশনে থামবে। বুড়িমারী স্টেশনে পূর্ণাঙ্গ সুবিধা না থাকায় শাটল ট্রেনে করে লালমনিরহাটে এসে বুড়িমারী এক্সপ্রেসে ঢাকায় যাত্রা করতে হবে। বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটে শাটল ট্রেনে যাওয়া-আসা করা যাবে।

শাটল ট্রেন বুড়িমারী স্টেশন থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায়। বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আর ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিম ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‌বুড়িমারী রেলস্টেশনে ওয়াস পিড ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে চলাচলা করবে।’

পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত বুড়িমারী রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে চলাচলের দাবি করছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি মতিয়ার রহমান, রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, লালমনিহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।


আরও খবর



দাঁত ও পেটের দাগ দেখে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করল পরিবার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সবশেষ মিনহাজ উদ্দিন (২৬) নামের এক যুবকের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (০২ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হলো। মিনহাজ রাজধানীর বেসরকারি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন। বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেন তিনি।

পরিচয় নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শনিবার মিনহাজের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তবে এর আগেই শুক্রবারই তার পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে।

এদিকে, অন্য একটি পরিবার মিনহাজের মৃতদেহকে তাদের সন্তানের মৃতদেহ বলে দাবি করে বসেন। এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।

রমনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবারই মিনহাজের পরিবার মৃতদেহের হাতে ঘড়ি, সামনের একটি বাঁকা দাঁত ও পেটে পুরাতন একটি অপারেশনের দাগ দেখে এটি তাদের ছেলে মিনহাজের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে। তবে অন্য একটি পরিবারও সেটি তাদের পরিবারের সদস্যের মৃতদেহ হিসেবে দাবি করায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে শনিবার মর্গে মিনহাজসহ তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মিনহাজের মৃতদেহ দাবি করা অন্য পরিবারটি পরবর্তীতে মর্গে বলেছেন, এটা তাদের মৃতদেহ না। তাদেরটা অন্য একটি হতে পারে। এরপর মিনহাজের পরিবারকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মিনহাজের মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তাদের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে। বর্তমানে সবুজবাগ বাসাবো খেলারমাঠ এলাকায় থাকতেন মিনহাজ। কারওয়ান বাজার এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মিনহাজ ছিল ছোট।

তিনি বলেন, মিনহাজ হাতে যেই ঘড়ি ব্যবহার করেন, মৃতদেহের হাতেও সেই ঘড়িটি দেখতে পেয়েছি। এছাড়া ছোটবেলায় তার পেটে একটি অপারেশন হয়েছিল সেই দাগও দেখা গেছে। মিনহাজের সামনের অংশের একটি দাঁত বাঁকা ছিল, এসব দেখেই নিশ্চিত হয়েছি এটি মিনহাজের মৃতদেহ।

আমিনুল ইসলাম খান জানান, ঘটনার দিন বন্ধুদের সাথে বেইলি রোডের ওই ভবনে তৃতীয় তলায় খানাজ রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন মিনহাজ। ঘটনার কয়েক মিনিট আগেও সেই বন্ধু মিনহাজকে নিয়ে একটি সেলফি তুলেছিলেন। আগুন লাগার পর সেই বন্ধু বেরিয়ে আসতে পারলেও অন্ধকারে ও আটকে পড়া অনেক মানুষের ভিড়ে আটকে পড়েন মিনহাজ। সেখানেই পুড়ে মারা যান তিনি।


আরও খবর



রাজধানীতে তিন দিনে ১১শ হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৮৭২

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ অভিযানে ৩ দিনে রেস্তারাঁ মালিক ও কর্মচারীসহ ৮৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে ২০টি মামলা। গত ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার হোটেল-রেঁস্তোরা, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও কেমিক্যাল গোডাউনে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩ দিনে ১১শর বেশি হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযানে যায় পুলিশ।

বুধবার (৬ মার্চ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি। তিনি জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি ২৭৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪৭ জনকে। ওইদিন ২০৪টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে ৫টি মামলা।

দ্বিতীয় দিন ৪ ফেব্রুয়ারি ৪৫৫টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ১০৪টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান এবং ৩টি কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৭০ জনকে। ওইদিন ২০৪টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে ৫টি মামলা।

তৃতীয় দিন ৫ ফেব্রুয়ারি ৪০২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ, ১০৩টি ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখার দোকান এবং ৫টি কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২৮ জনকে। ওইদিন ১৯২টি প্রসিকিউশনে দায়ের করা হয়েছে ১০টি মামলা।

সব মিলিয়ে ৩দিনে অভিযান চালিয়ে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৭২ জনকে। একইসঙ্গে ৮৮৭টি প্রসিকিউশনে ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা কারিকুলামে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এটি আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।

গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।


আরও খবর



পুরোনো সম্পর্ককে আঁকড়ে ধরলেন ঐশ্বরিয়া

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে ঐশ্বরিয়া রায়কে নতুনভাবে ফিরতে দেখে স্বস্তি পেলেন তার অনুরাগীরা। পুরোনো সম্পর্ক যে আজও এভাবে আঁকড়ে ধরে আছেন অভিনেত্রী, তা বুঝতে পেরে খুশি সবাই। এক প্রসাধনী সংস্থার বহু পুরোনো মুখ তিনি। সেই শ্যাম্পু-কালার ব্র্যান্ডে মাঝে দেখা গিয়েছিল নতুন মুখকে। সম্প্রতি আবারও সেখানে যুক্ত হলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ঐশ্বরিয়া দিলেন এক বার্তাও।

তিনি বলেন, না, কোনো আপস নয়। সেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে তাকে বলতে শোনা যায়, আমি আজকের নারী। যে অল্পেতে সন্তুষ্ট নয়। আমি আপসে বিশ্বাসী নই। এগিয়ে চলাই আমার কাছে উল্লেখযোগ্য। তাই চুলের ক্ষেত্রেও বা কেন এত ব্যতিক্রম হবে? তাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে অবাক তার অনুরাগীরা।

সবাই বলছেন, অ্যাশকে যেন চেনাই যাচ্ছে না। হুট করে যেন বয়স খানিক কমে গিয়েছে তার।

গত কয়েক মাস ধরেই বলিপাড়ায় ঐশ্বরিয়া রায় ও অভিষেক বচ্চনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন তুঙ্গে। এ বিষয়ে তাদের কেউ মুখ না খোলায় আরও জোরালো হয়েছে গুঞ্জন। সম্প্রতি আম্বানির ছেলের প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদেরকে একসঙ্গে দেখে খানিক স্বস্তি পেলেও নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউই।

বচ্চন পরিবার যদিও বরাবরই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিজেদের মধ্যেই রাখতে চান। তাই এ নিয়ে জনসমক্ষে কেউই মুখ খোলেননি। তবে অনুরাগীদের অনুরোধ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি ঝামেলাও হয়, তাও যেন অতি দ্রুত মিটে যায়। আবারও যেন কাছাকাছি আসেন তারা।


আরও খবর