বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের
(বিপিএল) চলতি আসরে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ নেতৃত্ব পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে অবস্থান
করছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এর পরও রহস্যজনকভাবে তাকে
অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে অলরাউন্ডার নাঈম ইসলামের কাঁধে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফ্রাঞ্চাইজির
কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের এ সিদ্ধান্তে
অপমানিত হয়েছেন মিরাজ। ক্ষোভে বিপিএলে খেলাই
ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে বুঝিয়ে ফেরালে এ ম্যাচে মাঠে নামেন
মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে অভিমানে অধিনায়কত্ব নেননি।
আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মিরাজ।
তবে ক্ষোভ তো তুষের আগুনের
মতো হৃদয়ে জ্বলছেই মিরাজের। তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে চট্টগ্রামের চিফ
অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম জড়িত বলে দাবি করেছেন এ স্পিন-অলরাউন্ডার।
সাংবাদিকদের কাছে মিরাজের
দাবি, ইয়াসিরই কালপ্রিট। তার প্ররোচনাতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজমেন্ট।
এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইয়াসির
আলম জানিয়েছিলেন, দেশে ফেরা দলের কোচ পল নিক্সনের কথাতেই মিরাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মিরাজ
যেন চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারেন, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেন কোচ।
কিন্তু গোটা তথ্যকেই মিথা
বলে দাবি করেছেন মিরাজ। গণমাধ্যমকর্মীদের বললেন
মিরাজ, আপনার প্রয়োজনে কোচ নিক্সনকে ফোন দেন,
কোচের সাথে আমার ৩০ মিনিট কথা হয়েছে। কোচ আমাকে বলেছে ইয়াসিরের পুরো বিবৃতি মিথ্যা।
সবচেয়ে বড় কালপ্রিট তো সে, বড় কালপ্রিট ইয়াসির। মালিকপক্ষকে কেবল ব্যবহার করা হচ্ছে।
উনাকে যেভাবে বলা হচ্ছে উনি সেভাবে করছে। টিমে
ইয়াসির থাকলে আমি খেলব না। মিরাজের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে আগ্রহী নন
বলে জানালেন ইয়াসির।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের
চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির বললেন, এটা নিয়ে আলাপ আমরা এখন না করি, কারণ এটি কোনো সমস্যা
না। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাব। মিরাজ টপ ক্রিকেটার বাংলাদেশের। আমরা চাই না তার
ব্যাপারে নেগেটিভ কিছু না ছড়াতে। আমি যদি ওটা বলি তা হলে নেগেটিভ হয়ে যাবে।