আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

যাকে নমিনেশন দেবো, তার জন্য কাজ করতে হবে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নৌকা মার্কায় আমরা যাকেই নমিনেশন দিই, ভালো-মন্দ, কানা-খোড়া যা-ই হোক, আপনাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।

রবিবার (৬ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার সমাপনীর বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে হাত ‍তুলে প্রতিশ্রুতি করার আহ্বান জানালে সবাই হাত তোলেন।

তিনি দলের ‍তৃণমূল নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থেকে মানুষের হৃদয় জয় ও তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনের নির্দেশ দেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকে জনমত সৃষ্টি করে আবারও যেন বিজয়ের পতাকা নিয়ে এই গণভবনে আসবেন, সেই দাওয়াত দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনারা মানুষের কাছে গেলে, সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে, ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিলে, অবশ্যই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। নৌকায় ভোট দেবে। নৌকায় ভোট দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর্থ- সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা পেয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলে হয়েছে। সেটা মানুষকে বলতে হবে। বলে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। এটাই হবে সব থেকে বড় কাজ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আওয়ামী  লীগ সভাপতি বলেন, এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে আমাদের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া। সেই কথাটা মাথায় রেখে আমাদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ, আমরা যখন নমিনেশন দেবো, অবশ্যই আমাদের মাথায় এটাও থাকবে যে, কাকে নমিনেশন দিলে ওই সিটটা আমরা ফিরে পাবো। সেখানে অনেক এসএমএস পাঠালে, আর কারও গীবত গাইলেই যে আমরা সে কথা শুনবো, তা কিন্তু আমি শুনবো না। স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, ওই কথা আমি শুনবো না। কারণ, আমার নিজের হিসাব-নিকাশ আছে। আজকে ৪২ বছর আপনাদের সঙ্গে প্রতিটি এলাকায় ঘুরেছি। কাজেই আমার একটা ধারণা আছে। আমার দলেরও আছে। আমরা সার্ভে করি। রিপোর্ট নিই। কার অবস্থান কতটা? সেটা বুঝে কিন্তু আমরা নমিনেশন দিই।

দলের নমিনেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া তুলে ধরে মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় আমি খবর পাই, মাঝে মাঝে ম্যাসেজও পাই যে, এক এলাকায় আমাদের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অথবা নেতার বিরুদ্ধে আমাদেরই লোকটা নানা অপপ্রচার চালায়। আমি তাকে লিখলাম, ওপর দিকে থুথু ফেললে নিজের গালেও পড়ে। যাকে খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে সে খাটো হলে দলই খাটো হবে। আর নৌকার ভোট কমবে।

কাজেই একজনকে খাটো করে যদি কেউ নমিনেশন চায়, সে তো বড় হতে পারবে না। সে ভোটে জিততেও পারবে না। কারণ মানুষের মন থেকেই তো মুছে যাবে। আর  এত কাজ যে আমরা করলাম, সেটা থাকবে না। সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। নমিনেশন আমরা যখন দেই, আমাদের নমিনেশনের কতগুলো নিয়ম আছে। আমি কিন্তু ঘরে বসে থাকি না। সারাদিন যেমন দেশ গড়ার কাজ করি, সংগঠনের কাজও বসে করি। কোথায় কার কী অবস্থা আমরা ৬ মাস পর পর সার্ভে করি। আমাদের এমপিদের অবস্থা বা আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবস্থা, তাদের কী কাজকর্ম, তার কিন্তু হিসাব নেওয়ার চেষ্টা করি।

দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করেন, এমনটি জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নমিনেশন চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ কেউ মনে করেন, আওয়ামী লীগ তো নমিনেশন দিলো না। একটা সিট না পেলে কী হবে? আরও বাকি সিট তো পাবো। ক্ষমতায় তো যাবো। তো এটাকে আমরা হারাই। হারিয়ে নিজেদের ক্ষমতাটা দেখাই। আর  ওটা দেখাতে গিয়ে যে, পুরোটাই হেরে যাবেন আর তারপর? ২০০১ সালে হেরে যাওয়ার পর বিএনপির যে অত্যাচার-নির্যাতন, সেটা কি মনে আছে কারও? না ভুলে গেছেন সবাই। আমরা আবার যদি ক্ষমতায় আসতে না পারি, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে কি নির্যাতন হবে? আর বাংলাদেশটার কী দশা হবে? এরা তো লুটে খাবে। ২০০১-২০০৬ সালের মতো লুটে খাবে তারা। এরা তো লুটেরা। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে এখন সেই টাকা ব্যয় করে। এখন লন্ডনে বসে আছে খালেদা জিয়ার ছেলে। যত রকমের অপকর্ম করে গেছে।

দলের নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচন। এ ব্যাপারে এখন থেকে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের একমাত্র শক্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। আওয়ামী লীগ বা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কোনোদিন কারও কাছে মাথা নত করেননি। নিজের জীবনকে কবুল করে তিনি এই দেশের মানুষের মুক্তি এনে দিয়েছেন। আমরা তাঁরই আদর্শের অনুসারী। আমরা কারও কাছে মাথা বিকাই না। মাথা নত করি না। আওয়ামী লীগ এদেশ স্বাধীন করেছে। আজকে যতটুকু উন্নতি হয়েছে আওয়ামী লীগ আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশটার যেভাবে পরিবর্তন এনেছি, আমার মনে হয় এটা একটি অসাধ্য সাধন। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে দেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে। মানুষের আর্থিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন হয়েছে বলে এটা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। জানি আমাদের বিরুদ্ধে অনেক রকম অপপ্রাচার চালানো হয়। অপপ্রচার চালায় কারা? যাদের জন্ম হচ্ছে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। যারা ভোট চুরির মধ্য দিয়ে। আর তাদের মুখে যখন বড় বড় কথা শুনি, তা অবাকই লাগে। তারা নাকি অনেক কিছু করবে। ক্ষমতায় তো ছিল। শুধু লুটপাট করেছে। মান্ডিলন্ডারিং করেছে। বিদেশে অর্থপাচার করেছে। নিজেদের ভাগ্য তারা করেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য তারা গড়েনি।

শেখ হসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া এ দেশের মানুষের পাশে আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগের সময়ে দেশের মানুষের ভাগ্য গড়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ইলেকশনকে সামনে রেখে আমরা যে উন্নয়নটা করেছি। যতটুকু করেছি প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সেই কথাটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। সেটা প্রচার করতে হবে।

আমরা যে ভাতা দিচ্ছি, স্বল্পমূল্যে খাবার দিচ্ছি, এর উপকারভোগীদের কাছে যেতে হবে। প্রত্যেক এলাকার ভোটার লিস্ট ধরে ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে যে, আওয়ামী লীগ কী কী উন্নয়ন এ পর্যন্ত করেছে। ভবিষ্যতে কী করবে। আমরা অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি, সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্য সবাইকে তৎপর হতে হবে।

দলের নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যেটা করেছি সেটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যতক্ষণ বসে একে অপরের গীবত গাইবেন, একে অপরকে খাটো করবেন এই সময়টা নষ্ট না করে জনগণের জন্য কী কী কাজ করেছি, সেটা জনগণকে বলেন। তাদের মাথায় ঢুকান যে, আওয়ামী লীগ আছে বলেই এটা পাচ্ছেন, না থাকলে পাবেন না। সব লুটেপুটে খাবে।

বিএনপির ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মনে করে অগ্নিসংন্ত্রাস করলে, পুড়িয়ে মানুষ মারলে, আওয়ামী লীগ পড়ে যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এত কাঁচা নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের শিকড় প্রথিত এই মাটিতে। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি মানুষের থেকে উঠে এসেছে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের ‍হুমকি দিলো ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের উৎখাত করবে। কী করতে পেরেছে? কিছু পেরেছে? পারেনি। কেন পারেনি? কারণ, মানুষের সমর্থন পায়নি। কিন্তু খালেদা জিয়া ভোট চুরি করলে, আমরা তাকে উৎখাত করেছি। চোরের মায়ের বড় গলা। এখন ওরা একটু বেশি বড় বড় কথা বলে। জনগণের সমর্থন তাদের নেই, পাবেও না। হাতে টাকা আছে। টাকা ছড়াক। কিছু লোক আছে। সবাই তো আওয়ামী লীগ সমর্থন করবে না। সেগুলো এক হয়।  এখানে জামায়াত আর বিএনপি হলো জোট। আর বাকি কিছু খুচরা পার্টি। তারা (ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো) শুধু লাফাচ্ছে। আর আন্দোলন করে তাদের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের একমাত্র শক্তি জনগণ। ওরা যত অপপ্রচার করবে, তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণকে বলতে হবে আওয়ামী লীগ ছাড়া এভাবে কেউ দেয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন সুষম উন্নয়ন সারা বাংলাদেশ ব্যাপী। কোন এলাকায় ভোট পেয়েছি, কোন এলাকায় পাইনি, সেটা বিবেচনায় নেইনি। বিবেচনায় নিয়েছি একটা, তা হলো বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি ছিল বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অবরোধ কর্মসূচি, অনেক কিছু তারা করেছে। কিন্তু জনগণের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা ও শক্তিশালী সংগঠন আছে বলেই তারা কোনও ক্ষতি করতে পারি। বরং তারাই ধীরে ধীরে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা, শাস্তি হয়।  বিএনপির লোকেরা কোট-কাচারিও মানতে চায় না। কোর্ট ভাঙচুর করে। মাস্তানি করে। এটা তো তাদের অভ্যাস। কোর্টের দোষ কী? চুরি করার সময় মনে ছিল না? তো চোরকে চোর বলবে না কী বলবে? তারা তো ভাঙচুর সন্ত্রাসী কাজই জানে। এখন থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিয়ে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সদস্য সংগ্রহ দেখি কেউ করেন, কেউ করেন না। কেন করেন না আমি জানি না। সদস্য সংগ্রহ করা, সংগঠন তৈরি করা আজকে আমরা অনেককে বক্তব্য দিতে দেইনি।

বর্ধিত সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৪৩ জন নেতাকে বক্তব্যের  সুযোগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নতুনদের থেকে বক্তব্য শুনতে চেয়েছি। কষ্ট করে এসেছেন। যেসব বক্তব্য এসেছে তা অত্যন্ত গঠনমূলক। সেই জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। যাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারিনি, ভবিষ্যতে যখন ডাকবো তখন এবার যারা দিয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের দেবো। যারা সময় মতো কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের কিন্তু বক্তৃতা করতে দেইনি। দেবো না। যারা সংগঠন করে আসবেন, তারাই সুযোগ পাবেন। এভাবেই আমরা আস্তে আস্তে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো।


আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর



এডিপির সঙ্গে ৭১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

Loan 4440- BAN: Climate-Resilient Integrated Southwest Project for Water Resources Management'  শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

নিউজ ট্যাগ: এডিবি বাপাউবো

আরও খবর



জাকের পার্টি ছেড়ে বিএনপির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বহিষ্কার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া অংশ নেন। তিনি এক সময় জাকের পার্টির নেতা ছিলেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান তাকে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সদস্য পদ দেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এ কারণেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাকের পার্টির প্রার্থী হয়ে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বহিষ্কারের চিঠিতে রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বহিষ্কারের বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এম জাহাঙ্গীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এখনো পর্যন্ত কোনো নোটিশ বা চিঠি পাইনি। তবে আমি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে যাবো।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হাইকমান্ড থেকে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার কড়া নির্দেশ রয়েছে। তাই এ নিয়ম যে মানবে না তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমন্ডি ওগোল্লা নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় তিনি ছাড়াও নিহত হয়েছেন আরো ৯ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিট নাগাদ এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি রাজধানী নাইরোবির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে সেনাপ্রধান ফ্রান্সিসের সঙ্গে ১১ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত অন্য নয়জন হলেন- ব্রিগেডিয়ার সোয়াল সাইদি, কর্নেল ডানকান কিটানি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভিড সাওয়ে, মেজর জর্জ বেনসন মাগোন্ডু, ক্যাপ্টেন সোরা মোহাম্মদ, ক্যাপ্টেন হিলারি লিটালি, এসএনআর সার্জেন্ট জন কিনুয়া মুরেথি, সার্জেন্ট ক্লিফন্স ওমন্ডি এবং সার্জেন্ট রোজ ন্যাভিরা।

তবে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

দেশের জন্য এমন ঘটনা খুবই দুঃখের এমনটা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কেনিয়ার বিমান বাহিনী থেকে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে আজ শুক্রবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করবে কেনিয়া। এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখবে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি।


আরও খবর



হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিনদিনের (১২-১৪ মে) বিশেষ সেবা কার্যক্রম উপলক্ষে শনিবার (১১ মে) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সিএজি কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। এরই মধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রণয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজির সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরাতন পদ্ধতি বদলে দিয়ে এরই মধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয়, প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহণকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রয়েছে।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কোনো পেনশন পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা আমরা চালু করেছি। রোববার (১২ মে) থেকে আমরা ৩ দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু করছি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এসময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদপ্তর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৫০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১২৫টি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭১৫ জন। অভিযোগ জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯৯৬টি। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেন ২৮ হাজার ৭১২ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৯ হাজার ৮৯০টি।

এ হিসাবে শেষ চার অর্থবছরে সিএজির ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ৫১ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪০ হাজার ১০২টি।


আরও খবর