আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা

যে ৫ কারণে আপনার পাইলস হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পেটের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। বিশেষ করে পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে তার জীবনটা হঠাৎই কঠিন হয়ে যায়। পছন্দের কোনো খাবার খেতে তখন ভয় লাগে, এমনকী ভয় লাগে মলত্যাগ করতে গেলেও। পাইলস মূলত দেখা দেয় আমাদেরই কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে। সেসব অভ্যাস বাদ দিতে পারলে পাইলস থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস হওয়ার ৫ কারণ সম্পর্কে-

কোষ্ঠকাঠিন্য: এমন অনেকেই আছেন যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। মলত্যাগে সমস্যা হলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। মল শক্ত হলে ভেতরের মাংসপেশী ফুলে যেতে থাকে। এরপর ছিঁড়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় পাইলস। তাই এমন সব খাবার খেতে হবে যা মল নরম রাখে। শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করতে হবে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। ফলে কমবে পাইলসের ভয়ও।

অযথা চাপ দিয়ে মলত্যাগের অভ্যাস: অনেকই আছেন যারা মলত্যাগের চাপ না এলেও জোর করে চাপ দিয়ে মলত্যাগ করেন। এটি মোটেও ভালো কোনো অভ্যাস নয়। কারণ এই অভ্যাসের ফলে চাপ পড়ে মলদ্বারের ভেতরে। সেখান থেকেই বাড়ে জটিলতা। তাই মলত্যাগের সময় স্বাভাবিক থাকুন। অযথা চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপনার কোনো ভুল অভ্যাস যেন পাইলসের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

লিভারের দিকে খেয়াল রাখুন: বর্তমানে লিভারের অসুখে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বেশিরভাগ মানুষই নিজের যত্নের প্রতি উদাসীন। ফ্যাটি লিভার থেকে সেই সমস্যা গড়াচ্ছে লিভার সিরোসিসের দিকে। লিভার সিরোসিসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে পাইলসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই এ ধরনের লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিন।

ফাস্টফুড কিংবা জাঙ্কফুড: দ্রুত ক্ষুধা মেটাতে বেশিরভাগ মানুষ এখন ঝুঁকছেন জাঙ্কফুডের দিকে। এ ধরনের খাবারে থাকে অতিরিক্ত তেল-মসলা। সেইসঙ্গে ক্যালোরিরও থাকে অনেক বেশি। এ ধরনের খাবারে কোনো পুষ্টি উপাদান থাকে না বললেই চলে। ফাইবারও থাকে খুবই কম। যে কারণে মল শক্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন এ ধরনের খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেবেই। সেখান থেকে হবে পাইলস। তাই শুরু থেকেই সচেতন হোন। তাই ক্ষুধা পেলেই বাইরের খাবার নয়। ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান।

রেডমিট: সব মাংসেরই নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে রেডমিট স্বাস্থ্যের জন্য কিছু অপকারিতাও যোগ করতে পারে। এর ফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত রেডমিট খেলে পেটের নানা সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই পাইলস থেকে বাঁচতে রেডমিট খাওয়া কমিয়ে আনুন।

নিউজ ট্যাগ: পাইলস

আরও খবর



গরম বেড়ে শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজও দেশের ৫ বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাঙ্গামাটিতে। বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

যেসব জেলায় হতে পারে শিলাবৃষ্টি

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




রমজানে মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করল সৌদি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আসন্ন রমজানের মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে। দ্য নিউ আরবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো শরয়ি আইন বা ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে নয়, মসজিদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইফতারি পণ্য নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে গত সপ্তাহে ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ইফতারির পর অনেক নোংরা হয়ে যায় পরিবেশ। সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ার মতো উপক্রম থাকে না অনেক সময়। তাই মসজিদের উন্মুক্ত স্থানে ইফতার করতে হবে। তবে ইফতারির জন্য অস্থায়ী কোনো রুম বা তাঁবু স্থাপন করা যাবে না মসজিদের আশপাশেও। পাশাপাশি রোজাদারদের জন্য ইফতারি কিনতে ইমাম বা মুয়াজ্জিনের কাছ থেকে কোনো অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না। 

আরও পড়ুন>> কমলো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেউ চাইলে মক্কা এবং মদিনায় ইফতারি নিতে পারবে। এ জন্য নির্ধারিত পোর্টালে আবেদনের মাধ্যমে আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে পারে। তারই সুযোগ মিলবে মসজিদে ইফতারি নেওয়ার।

এর আগে জানানো হয়, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদের ভেতর কোনো ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার বা ছবি না তোলার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মসজিদের ভেতর ক্যামেরা স্থাপন করে অনলাইনসহ কোনো ধরনের মিডিয়ায় তা সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

আগামী ১০ মার্চ রাতে মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে আরব আমিরাতভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ওইদিন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম। সেই হিসেবে ১১ মার্চ চাঁদ দেখা গেলে ১২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে।


আরও খবর



পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন যেসব কারণে কমে যায়, চিকিৎসা কী?

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রিয়জনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর ইচ্ছে হলেও অনেকেরেই যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোনো কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী- তা অনেকেই জানেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে টেস্টোস্টেরন ঘাটতি বলা হয়।

টেস্টোস্টেরন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায়। এ কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়। এই হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন,বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।

অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের টুইন্সবার্গ ফ্যামিলি হেলথ এন্ড সার্জারি সেন্টারের এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট কেভিন এম প্যান্টালোন বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে। তবে পুরুষের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি থাকে। যার কারণে পুরুষের প্রজনন কার্যক্রম বিকাশ লাভ করে ও যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের এর ফলে হাড় এবং মাংস পেশীর গঠন প্রভাবিত হয়। ছেলেদের হাড় ও মাংসপেশীর ঘনত্ব বাড়ে, রক্তে লোহিত কণিকার উৎপাদন বাড়ে, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়ে তা ভারী হয়, মুখে দাড়ি হয়, শরীরের অন্যান্য অংশ লোম বাড়ে, যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে। একই সাথে যৌন ক্রিয়া এবং প্রজনন সক্ষমতা জাগ্রত হয়।

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ১৭ বছর বয়সে এবং পরবর্তী দুই বা তিন দশক এর মাত্রা বেশিই থাকে। গড়ে একজন স্বাস্থ্যবান পুরুষ দিনে ছয় মিলিগ্রামের মতো টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।

হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক পুরুষদের মধ্যে বিভিন্ন মাত্রায় টেস্টোস্টেরন থাকার কথা জানা যায়। প্রতি ডেসিলিটারে ২৭০ থেকে শুরু করে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত টেস্টোস্টেরন থাকতে পারে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় টেস্টোস্টেরেনের মাত্রা উঠানামা করে। সকাল আটটায় এই হরমোনের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি থাকে। আর সবচেয়ে কম থাকে রাত ৯টায়।

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে: যৌন তাড়না কমে যাওয়া,যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা,যৌন মিলনে অক্ষমতা,অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া,শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া ও বন্ধ্যাত্ব। এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোন ধরনের ক্ষতি হলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি দেখা দেয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে স্বাভাবিক কারণ হচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা এর আশেপাশে সময়ে যদি কারো মামস হয়ে থাকে তাহলে তার মামস অরক্রাইটিস হয়। এটি গলার পাশাপাশি অণ্ডকোষকেও আক্রান্ত করে। এর ফলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার পথ তৈরি হয়। কারণ টেস্টোস্টেরন উৎপাদিত হয় এখান থেকেই। তবে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা এটা খেয়াল করে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে হলে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় এক থেকে দেড় ডিগ্রি কম রাখতে হয়। কারণ অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

ফলে অতিরিক্ত গরম জায়গায় বাস করলে, কাজ করলে, বাসের ইঞ্জিনের উপর বসে থাকলে শারীরিক তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে যা এই হরমোনের ক্ষতি করে। পরিবেশে কিছু ক্ষতিকর উপাদানের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতিকে প্রশমিত করতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ যাদের বেশি বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

আঘাতজনিত কারণ বা দুর্ঘটনার কারণে যদি কারো অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, জীনগত সমস্যা থাকে, তাহলে এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। কারো যদি জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না থাকে বা সেটি যদি পরিপূর্ণ গঠিত না থাকে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকে, যৌন সংক্রমণজনিত রোগ থাকে, কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ থাকে, বা টিউমার থাকে তাহলেও টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

এছাড়া মস্তিষ্কে আঘাত পেলে, লিভার সিরোসিস, কিডনির সংক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ঘুমে সমস্যা বা স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ সেবন করলেও এই হরমোনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।

যেভাবে প্রতিরোধ সম্ভব: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোনো চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হলো-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা,অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা।

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

চিকিৎসা কী ? টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর কোনো একক চিকিৎসা নেই। এই হরমোন ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

তাই এ ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। কারণ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




স্থানীয়দের সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন মেস ও মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা চালায় তারা। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।

এর আগে ইফতারে পচা-বাসি খাবার পরিবেশন করছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে অবস্থিত একটি হোটেল। রবিবার (১৭ মার্চ) অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের প্রতিবাদ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ওই হোটেলের কর্মচারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং রাতে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

এরপর রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিলে পাল্টা ধাওয়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় হোটেলের থাইগ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দফায় দফায় চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ হামলায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ফের হামলা চালায় ও কয়েক দফা উক্ত হোটেল ভাঙচুর করে। পড়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ বলেন, হোটেল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি দেখার দায়িত্ব আমার। আমরা নিজেরা যাতে নিজেদের হাতে আইন না তুলে নেই। এই ধরনের ইস্যুতে আমার নিজের মনিটরিং থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় জনগণের সকলকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ সবাই উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।


আরও খবর



ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকা নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক প্রয়াত অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

কুমিল্লা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এএনএম জোবায়ের তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা দাবি করে বলেন, আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের (হুমকি) উপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার।

আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস (বিচার) পাবো না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট করায় আমি তার প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে নারীজাতীয় গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনো আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে।

আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায় সেটা কুমিল্লার কারো সৎ সাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে ৭ বার প্রক্টর অফিসে ডাকায় নিয়ে ".... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) তুই এই ছেলেরে থাপড়াবি বলসস কেনো? তোরে যদি এখন আমার জুতা দিয়ে মারতে মারতে তোর ছাল তুলি তোরে এখন কে বাঁচাবে?

আফসোস এই লোক নাকি ঢাবির খুব প্রমিনেন্ট ছাত্রনেতা ছিলো। একবার জেল খেটেও সে এখন জগন্নাথের প্রক্টর। সো ওর পলিটিক্যাল আর নষ্টামির হাত অনেক লম্বা না হলেও এতো কুকীর্তির পরও এভাবে বহাল তবিয়তো থাকে না এমন পোস্টে। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সো কিনা আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিলো না। আমি উপাচার্য সাদোকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম। 

আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার উপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয় নাই মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল যে আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তাও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলাম বলেন, গত দেড় বছর আগে অবন্তিকা ফেসবুকের ফেইক আইডি খুলে কয়েকজনকে বাজে কমেন্ট করার অভিযোগে তারা কোতোয়ালি থানায় জিডি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবন্তিকা প্রক্টর অফিসে এলে তাদের মাঝে মিউচুয়াল করে দেন তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল। পরবর্তীতে আমি একই জেলার হওয়া আমার কাছে অবন্তিকা ও তার মা জিডি তোলার বিষয়ে এলে আমি তাতে অপারগতা প্রকাশ করি। জিডি ওঠাতে পারে একমাত্র প্রক্টর। আমি তাদের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে আর কখনো আসেনি।

তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কখনো ওই মেয়ের সঙ্গে একা কথা বলিনি। তাকে যতবার ডাকা হয়েছে সর্বদা প্রক্টর অফিসেই সকলের সামনে ডাকা হয়েছে। আর ওখানে বসে এসব ভাষায় গালি দেব এটা কেমন কথা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য। উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি প্রদানের মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনগত প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর