আজঃ শনিবার ১১ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে গ্রামে কেউ জুতা পরে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এই যুগে এসে এটা ভাবতে অবাক লাগলেও ভারতের একটি গ্রামের সব বাসিন্দা আসলেই খালি পায়ে থাকে, তারা কোন ধরনের জুতা পরে না। এমনকি তাদের বাইরে কোথাও যাওয়ার দরকার হলেও তারা খালি পায়েই যাতায়াত করে।

শুধু এটাই নয়, পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ হয়, তাহলেও তারা হাসপাতালে যায় না। আর কোন কারণে যদি তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার দরকার হয় বা অন্য কোথাও যাওয়ার দরকার হয় তাহলে তারা বাইরের কোন খাবার এমনকি পানিও পান করে না।

এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও, এরকমই একটা গ্রাম রয়েছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপাতি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে। এই গ্রামের নাম ভেমানা ইন্দলু।

এই গ্রামের বাসিন্দারা জানায় যে, এটা তাদের অনেক পুরনো ঐতিহ্য।

আরও পড়ুন: জাপানে ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

পুরনো রীতি মেনে চলা

গ্রামবাসীরা বলছেন যে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যখন গ্রামে প্রবেশ করেন তার আগে নিজেও জুতা খুলেই প্রবেশ করেন।

গ্রাম প্রধান ইরাব্বা বলেন, এই গ্রামে আমাদের সম্প্রদায় এসে বসবাস শুরু করার সময় থেকেই এই রীতি চলে আসছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন বাইরে যাই, ফিরে এসে আমরা আগে গোসল করি, তারপর বাড়িতে ঢুকি ও খাবার খাই। আমি অনেকবার আমার গ্রামের বাইরে গিয়েছি। একবার আদালতের একটি কাজে আমাকে পাঁচ দিন গ্রাম থেকে বাইরে থাকতে হয়েছিল। যেখানে আমি ছিলাম, সেখানকার কোন খাবার আমি স্পর্শ পর্যন্ত করিনি।

ইরাব্বা বলেন, ৪৭ বছর ধরে আমাকে আদালতের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়। কিন্তু আমি কখনোই বাইরে গিয়ে পানি ছাড়া আর কিছুই পান করি না। পান করার জন্য পানি আমি বাড়ি থেকে নিয়ে যাই এবং সেই পানিই পান করি। বাইরে থেকে পানি পান করার প্রশ্নই উঠে না। এমনকি আমরা বাইরে খাবারও খাই না।

গ্রামে কেউ জুতা পরে না

অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপাতি জেলার পাকালা মান্দাল এলাকার একটি গ্রাম ভেমানা ইন্দলু। এখানে ২৫টি ঘর আছে যার বাসিন্দা মোট ৮০ জন মানুষ। এই গ্রামে মোট ৫২ জন ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েক জন স্নাতক শেষ করেছেন। এখানকার মানুষ খুব একটা শিক্ষিত নয় এবং তারা কৃষির ওপরই নির্ভর করে।

যাই হোক, মজার জিনিস হচ্ছে, এদের আত্মীয়-স্বজন যারা এই গ্রামে দেখা করতে আসেন তাদেরকেও এই রীতি মেনে চলতে হয়।

মহেশ নামে এক ব্যক্তি যিনি এই গ্রামে বেড়াতে এসেছেন, তিনি জানান যে, তার বোনের বিয়ে হয়েছে এই গ্রামে।

মহেশ বলেন, মনে হয় যে এই গ্রামের সব মানুষই আমার আত্মীয়। আমরা যখনই গ্রামে আসি, এসব রীতি মেনে চলি। কিন্তু যখন আমরা আমাদের গ্রামে থাকি, তখন আবার আমাদের নিজেদের রীতি মেনে চলি।

মহেশ আরও বলেন, গ্রামের প্রবেশের আগেই আমরা জুতা খুলে ফেলি। কোনো বাড়িতে যদি আমাদের ঢুকতে হয় তাহলে তার আগে গোসল করতে হয়। আপনি গেলেও এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এই গ্রামের শিক্ষিত মানুষেরাও এই রীতি মেনে চলে। এই গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করে যে তারা `পালভেকারি গোত্রের। পালভেকারি মূলত তামিল নাড়ুর কৃষক সম্প্রদায় বা গোত্র।

অন্ধ্র প্রদেশে তাদেরকে নিম্নগোত্রভূক্ত মনে করা হয়। এই গ্রামের সব বাসিন্দা একই গোত্রের। তারা গ্রামের বাইরে কোন আত্মীয়তা করলেও একই গোত্রের মানুষদের সঙ্গেই করে থাকে।

হাসপাতালে যায় না তারা

গ্রামের মানুষ প্রাচীন মন্দিরে গিয়ে পূজা-অর্চনা এবং অন্যান্য রীতি-নীতি পালন করে থাকে। গ্রামে তারা নরসিংহ স্বামী ও গঙ্গা মায়ের পূজা করে। তারা বিশ্বাস করে যে, দেবতাই সব কিছুর খেয়াল রাখবেন। যার কারণে এই গ্রামের মানুষ কখনো হাসপাতালে যায় না।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০

গ্রামের প্রধান ইরাব্বা বলেন, আমাদের যদি সাপে কামড়ও দেয়, আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের দেবতা সেটি আরোগ্য করবেন। আমরা কোনো হাসপাতালে যাই না। আমরা সাপের পাহাড় প্রদক্ষিণ করি। আমরা নিম গাছ প্রদক্ষিণ করি। আমরা হাসপাতালে যাই না।

`আমাদের দেবতাই আমাদের খেয়াল রাখেন। আমরা অসুস্থ হলে মন্দির প্রদক্ষিণ করি। এটা করলে দুই দিনের মধ্যে আমাদের রোগ সেরে গিয়ে আমরা আবার সুস্বাস্থ্যবান হয়ে উঠি। এটাই আমাদের ঐতিহ্য।

এই গ্রামের যে শিশুরা স্কুলে যায় তারাও জুতা পরে না এবং স্কুল থেকে যে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়, সেটাও তারা খায় না। তারা যদি বাইরের কাউকে স্পর্শ করে তাহলে গোসল না করে বাড়িতে প্রবেশ করে না।

পাশের গ্রামের এক বাসিন্দা ববিতা বলেন, ওই গ্রামের নারীদের মধ্যে কেউ গর্ভবতী হলেও তারা হাসপাতালে যায় না। সবকিছু বাড়িতেই হয়।

ববিতা বলেন, `স্কুলগামী শিশুরাও সেখানে দেওয়া দুপুরের খাবার খায় না। তারা খাবার খেতে বাড়িতে ফেরে, খাবার খেয়ে আবার স্কুলে যায়।

দলিত সম্প্রদায় গ্রামে প্রবেশ করে না

দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের এই গ্রামে প্রবেশ করা নিষেধ। এমনকি এই গ্রামের মানুষ দলিত সম্প্রদায়ের কারো সঙ্গেও কথাও বলে না।

নারীদের ঋতুস্রাবের সময়ে গ্রামের বাইরে থাকতে হয়। গ্রামের মানুষ মিডিয়া থেকেও নিজেদেরকে দূরে রাখে।

বাবু রেড্ডি যিনি গ্রামের রেশনের দোকান চালান তিনি বলেন, এই গ্রামে যে আসবে যে যদি সরকারি কর্মকর্তা এমনকি পার্লামেন্ট সদস্যও হয়ে থাকেন, তাহলেও তাকে গ্রামের বাইরে জুতা খুলে তারপর প্রবেশ করতে হবে।

নিম্ন বর্ণের মানুষদের এই গ্রামে প্রবেশের অনুমতি নেই। গ্রামের মানুষ এসব বর্ণের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে না, স্পর্শও করে না। প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সময় নারীদের অন্তত পাঁচ দিন গ্রামের বাইরে থাকতে হয়  তিনি বলেন।

আরও পড়ুন: কঙ্গোতে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে হামলায় নিহত ৪৫

গ্রামের বাইরে ঋতুস্রাবের সময় নারীদের থাকার জন্য কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। রাত-দিন তাদেরকে ওই একই কক্ষে থাকতে হয়। গ্রামের মানুষ সব ধরণের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়। আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে রেশন দিয়ে আসি, তাদের রেশন অন্যদের থেকে আলাদা এবং শুধু তাদের কাছেই হস্তান্তর করা হয়।

বিবিসি তিরুপাতি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ভেঙ্কাটারামি রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেছে ভেমানা ইন্দলু গ্রামের এসব রীতি-নীতি নিয়ে।

তিনি বলেন যে, তিনি গ্রামে একটি সচেতনতামূলক প্রচারণার আয়োজন করবেন এবং বাসিন্দাদের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন।


আরও খবর



ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন হয়নি, মেয়াদ বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। তবে ওই মামলায় ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। আগামী ২৩ মে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন পর্যন্ত তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস।

এর আগে গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (১৬ এপ্রিল) দিন ধার্য করেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য আসে।

এই মামলায় ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।


আরও খবর



গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার এক কক্ষ থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. ইসরাফিল (১৭) শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার হলদি গ্রামের মো. মফিজুল হকের ছেলে ও মোছা. রোকেয়া খাতুন (১৫) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত ৭/৮ মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থেকে ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

নিহত রোকেয়ার ভাই মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ৭-৮ মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করে। তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।

নিহত ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্লাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্লাটে করতেন। শুক্রবার সকালে ইসরাফিলের ফ্লাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মৃতদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান। পরে পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

চিরকুটে লেখা ছিল, মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারও কোনো দোষ নাই। আমার জান আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মো. ইসরাফিল।

মা আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁস দিল। তার জন্য সম্পন্ন আমি দায়ী। এতে কারও কোনো দোষ নাই।’

শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



নির্বাচনে হারবে জেনেই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে: শাহজাহান খান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপি যে কোন নির্বাচনে জয়লাভ করবে না জেনেই উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।

বুধবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, এদেশে ভোট ও ভাতের লড়াই প্রতিষ্ঠিত করেছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলেই এদেশে ভোটের রাজনীতির চর্চা করা হয়। আর বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোট বর্জন করে মানুষের অধিকার হরণ করে। তারা শুধু মিধ্যাচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কাজেই তারা দল হিসেবে এখন মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে।

এসময় শাহজাহান খান মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদে তার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এ দুই উপজেলায় ভোটার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় লড়ছেন ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন।


আরও খবর



জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সম্পাদক শাওন বেপারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে জাজিরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদ পুনঃগঠন ও মফস্বল সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খানকে সভাপতি ও দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধি শাওন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন - নির্বাহী সভাপতি জামাল মাদবর(দেশ২৪নিউজ), সহ-সভাপতি সাইদ আকন(দিন প্রতিদিন), মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ্(বিডি স্টার টিভি ও ঢাকা ক্যানভাস) ও মানজারুল ইসলাম মিলন(দৈনিক মাতৃজগত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম(দৈনিক কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মিয়া(দৈনিক খবরপত্র), দপ্তর সম্পাদক হানিফ বেপারী(দৈনিক দিনের কণ্ঠ), কোষাধ্যক্ষ রাসেদুল ইসলাম রিয়াদ(বাংলাদেশ সমাচার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমেদ(আমাদের মাতৃভূমি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মিয়া(আজকের দৈনিক)।

উক্ত কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, শাহিন আলম, দেলোয়ার মুন্সি, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সদস্য জাফর আহমেদ, মো: মাহবুব আলম, মনির হোসেন ও শফিকুজ্জামান রুবেল।

জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বপন খানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বুলেটের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা, জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: আরিফুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল হাসান।


আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালে ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস. এম. একরাম উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনিটের (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এবং পোষ্যকোটার প্রার্থীদেরকে বিষয় পছন্দক্রম এবং মেধাস্কোর-এর ভিত্তিতে তাদের রোল নম্বরের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১২ মে থেকে ১৪ মে (সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে) মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর-এর অফিসে (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ডীনস্ কমপ্লেক্স) উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকারসহ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে ইউনিটে তাদের ভর্তির মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

ভর্তি হওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের মেধাস্কোর ও বিভাগ পছন্দের ক্রমানুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তনের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি হওয়ার পর কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিভাগ পরিবর্তন করতে না চাইলে তাকে অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে স্বয়ংক্রিয় বিভাগ পরিবর্তন বন্ধ করতে হবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে প্রস্তুতকৃত তালিকা থেকে মেধানুসারে পর্যায়ক্রমে ভর্তির জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে আগামী ১৬ মে প্রকাশ করা হবে।


আরও খবর