আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

যে কারণে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন তৈমূর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সাবেক নেতা প্রয়াত নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। আমি তো দল ছাড়িনি। একজন বহিষ্কৃত লোক কত বছর একটা পতাকা টেনে নিতে পারে? এখন আমার পরিচয় কী? মারা গেলে আমার পরিচয় কী হবে? কোন ব্যানারে আমি বক্তব্য দেব। আমার জন্ম তো রাজপথে। আমি মানুষের জন্য কথা বলতে চাই। সারাজীবন বলে আসছি।এই অভ্যাস আমি কীভাবে পরিবর্তন করব?

তিনি বলেন, আমার বয়স এখন ৭২ চলছে। এত বছর পুলিশের মার খেয়ে, জেল খেটে, গুলি খেয়ে, অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করেও যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি এখন সেটা কীভাবে পরিবর্তন করব? যেহেতু বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, সেহেতু আমাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমি সেখানেই যাচ্ছি। আশা করি শীর্ষ পদেই থাকব।

জানা গেছে, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত কাউন্সিলে বিএনপির সাবেক, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রিয় একঝাঁক নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নামের সঙ্গে মিল থাকা তৃণমূল বিএনপিতে নতুন চমক থাকছে। দলটির শীর্ষ দুই পদে আসতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) তৈমূর আলম খন্দকার। শুধু তারা নয়, পর্যায়ক্রমে বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং নিজ থেকে ছেড়ে দেওয়া নেতারাও যোগ দেবেন। এ তালিকায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ-সদস্য উকিল আবদুস সাত্তারও আছেন।

তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। এ তালিকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও আছেন। সবাই ভালো পদে থাকবেন বলে আশা করি।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায় তৃণমূল বিএনপি। দলটির নির্বাচনী প্রতীক সোনালি আঁশ। নাজমুল হুদার মৃত্যুর পর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার মেয়ে অন্তরা হুদা।

নিউজ ট্যাগ: তৃণমূল বিএনপি

আরও খবর
খালেদা জিয়ার কোনও উন্নতি দেখছেন না চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জি-২০ এর স্থায়ী সদস্য হলো আফ্রিকান ইউনিয়ন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আফ্রিকান ইউনিয়নকে (এইউ) আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০ তে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে এইউ এ সংস্থার স্থায়ী সদস্য হলো। আজ শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস ও টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির আমন্ত্রণে এইউ আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০-এর নতুন সদস্য হিসেবে আসন গ্রহণ করেছে। মোদি আজ সম্মেলনের উদ্বোধনে বলেছেন, সবার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমি এইইউ প্রধানকে জি-২০ এর স্থায়ী সদস্য হিসেবে তার আসন গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

বিশ্বের ৩০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা এ সম্মেলন উপলক্ষে নয়া দিল্লিতে সমবেত হয়েছেন। তাদের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা ও ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানও আছেন। ভারত এবারের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে। 

আরও পড়ুন>> জি-২০ সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা

এবারের জি-২০ সম্মেলনের থিম হচ্ছে- বসুধৈব কুটুম্বকম বা এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। মহা উপনিষদের সংস্কৃত শ্লোক থেকে এ থিমটি গ্রহণ করা হয়েছে। এই থিমটি মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, গ্রহ ও অণুজীবসহ সব জীবনের মূল্য এবং পৃথিবী ও বিস্তৃত মহাবিশ্বে তাদের আন্তঃসম্পর্ক নিশ্চিত করার কথা বলে।

দেশটির স্থানীয় সময় সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এর শিরোনাম এক পৃথিবী। এটি সম্মেলনের আলোচ্যসূচির প্রধান একটি বিষয়। এই অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নিয়ে আলোচনা হবে।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




১৬১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করলো চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সরকার প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে। সেসব ভবনে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র সব সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কল্যাণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কলেজের পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়িতে পড়ালেখা করছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, তোমরাই শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর। তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্ম বাজারের জন্য দক্ষ ও উপযোগী করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার।কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক দক্ষতা দেয়ার জন্য শিক্ষাক্রমে কারিগরি কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি দেশের সাধারণ জনগণের কাছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূমিকা তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন। শিল্প-কারখানা ও ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষানীতি, কারিকুলাম প্রণয়ন ও জব ম্যাচিং করে কারিগরি শিক্ষাকে আরো কর্মমুখী করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার প্রসারে সম্পৃক্ত সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় বাড়াতেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সারা জীবনের জন্য যিনি আমাদের গঠন করে দেন তিনি আমাদের শিক্ষক। আমাদের মানুষ হতে শেখান, দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দেন, আমাদের পুরো মনটাকে তৈরি করে দেন। আমাদের মধ্যে স্বপ্ন জাগিয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যান। আমাদের পুরো জীবনটাতে তাদের অনন্য অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থী কত নম্বর পেল, শুধু সেই নম্বর দিয়ে যেন তার মান বিচার করতে না যাই। সে আসলে কতটা শিখলো, সে কতটা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হলো সেটি বিবেচ্য বিষয়। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন শৈশব, কৈশোর, শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতি, সংগ্রামী জীবন কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও সকলের কাছে পৌঁছানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার বলেন, আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। তাদেরকেই গড়তে হবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তিনি বলেন শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম স্মার্ট মানুষে পরিণত হবে। যেখানে বর্তমানে এআই ব্যবহার করে মেশিন টু মেশিন অটোমেশনে কাজ হচ্ছে সেখানে আগের ধ্যান-ধারণা নিয়ে পড়ে থাকলে শিক্ষার্থীরা কাজের সুযোগ হারাবে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন শিক্ষার্থীর প্রতিটি অর্জন তাঁকেও গর্বিত করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের কর্ম-পরিকল্পনার গ্রহণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান।

সভার প্রারম্ভে রাখা স্বাগত বক্তব্যে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: দিদারুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, দিলোয়ারা ইউসুফ, আ ম ম দিলশাদ, দেবব্রত দাশ, মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, এইচ এম আলী আবরাহা দুলাল, ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, রওশন আরা রত্না।। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রতিবছর জেলার অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জেলার উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ১৬১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বরগুনায় হৃদয় হত্যা মামলায় ১৬ কিশোরের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার আলোচিত হৃদয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে আজ। রায়ে ১৬ জন কিশোর অপরাধীর মধ্যে ১২ কিশোর অপরাধীকে ১০ বছর ও ৪ জনকে ৭ বছরের মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান।

এর আগে সকাল ৯টায় বরগুনা জেলা কারাগার থেকে ১৬ কিশোরকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২০ সালে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে বরগুনা সদরের গোলবুনিয়া এলাকায় নোমান কাজী, ইউনুস কাজীসহ ২৮ জন মিলে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে কিশোর হৃদয়কে। পরের দিন নিহত মো. হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বরগুনা থানা পুলিশ ওই বছরের ১৬ নভেম্বর ১৬ জন কিশোর ও ৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। পরে বাদির নারাজির প্রেক্ষিতে বিচারক আরো ৩ কিশোরসহ ১৯ জনের নামে চার্জ গঠন করেন। পরে এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।

এরপর আজ ১৯ জন অভিযুক্তের রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ইউনুছ কাজী, মো: রানা আকন, মো: ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী, নয়ন হাওলাদার, মো. সজিব, নাজমুল শিকদার, রাইয়ান বিন অন্তর অরফে অন্তর, সিফাত ইসলাম, মো: মোশারেফ, মো: সাইফুল মৃধা, মো: রাব্বিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এদের মধ্যে নয়ন হাওলাদার, সিফাত ইসলাম ও মো. সজিব পলাতক রয়েছেন।

এছাড়াও সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী ও ফাইজুল ইসলামকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপর ৩ আসামী শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী ও রবিউল ইসলামকে বেখসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

নিহত হৃদয়ের মা ও মামলার বাদী ফিরোজা বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে ইদের দিন ঘুরতে গেলে আাসামীরা পিটিয়ে হত্যা করে৷ আমি এ রায়ে খুশি। সবাই আমার মরহুম ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেত ওকে জান্নাতে রাখে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী অপরাধীদের সবোর্চ্চ সাজা প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। রায়ে আমরাসহ সাধারন মানুষ খুশি।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




অবশেষে স্পেনের হয়ে খেলতে রাজি ফুটবলাররা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেষ হলো স্প্যানিশ ফুটবলের অচলাবস্থা। লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডের পর ফুটবল থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল স্পেনের নারী ফুটবলাররা। তবে এবার নিজেদের বয়কট আন্দোলন থেকে সরে আসলেন স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপজইয়ী তারকারা।

সাত ঘণ্টার বেশি সময় আলোচনার পর দেশের হয়ে খেলতে রাজি হয়েছেন স্কোয়াডের বেশির ভাগ খেলোয়াড়। উয়েফা নেশনস লিগের দলে ডাক পাওয়া ২৩ ফুটবলারের ২১ জনই ফিরে এসেছেন লা রোহাদের জার্সিতে।

তবে এখনই খেলতে প্রস্তুত নন বলে দুজন অনুশীলন ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবলে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অচলাবস্থার আপাত অবসান ঘটল। শুক্রবার সুইডেন ও মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে স্পেন। সেই ম্যাচে দেখা যাবে স্পেনের নিয়মিত খেলোয়াড়দের। তবে যাকে ঘিরে এত কিছু, সেই হেনি হেরমোসো অবশ্য এই দলে থাকছেন না।

স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন আরএফইএফে বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়ে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলা বয়কট করেছিলেন ৩৯ ফুটবলার। যার মধ্যে স্পেনের সামনের দুই ম্যাচের ঘোষিত দলের খেলোয়াড়েরাও ছিলেন। এসব বিবাদের মীমাংসা করতে ভ্যালেন্সিয়ার একটি হোটেলে বৈঠকে বসে খেলোয়াড়, ফেডারেশনের কর্মকর্তা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি) ও নারী ফুটবলারদের ইউনিয়ন ফুটপ্রো। সাত ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠকের পর বুধবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে সব পক্ষ একটি সিদ্ধান্তে একমত হয়।

বৈঠক থেকে বের হয়ে সিএসডি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ফ্রাঙ্কোস ফুটবলারদের বয়কট প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ফেডারেশন দ্রুত ও অর্থবহ পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগামীকাল একটি চুক্তি সই হবে, যেটা নজরদারি করার জন্য আরএফইএফ, সিএসডি এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি যৌথ কমিশন হবে। ফুটবলাররা তাদের উদ্বেগ এবং ফেডারেশনে অর্থবহ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেছে। ফেডারেশনও অবিলম্বে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছে।

অবশ্য ফ্রাঙ্কোস বা স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবলের চেয়ারম্যান রাফায়েল দেল আমো কেউই কী পরিবর্তন আনা হবে তা প্রকাশ করেননি।

উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরস্কার বিতরণীতে আরএফইএফের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস মিডফিল্ডার হেনি হেরমোসোর সঙ্গে চুমু-কাণ্ডে জড়ালে এর জেরে তৈরি হয় বড় রকমের অস্থিরতা।  এই ঘটনার জেরে রুবিয়ালেসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে ফিফা। পরে তিনি নিজেই পদ থেকে সরে যান।


আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা ৮টার দিকে ১৫৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ২৬৪ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি। ১৫৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুচিং। ১৫৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৫৩ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৫৩ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৪৯ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১১৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। ১১৪ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে চীনের সাংহাই।

এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। 

আরও পড়ুন>> ইরাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১১৩

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩