আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যে কারণে ভেঙে দেওয়া হলো হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
গ্রেফতার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা আহমদ আবদুল কাদের, জোয়ায়েদ আল হাবীব ও মামুনুল হক। যুগ্ম মহাসচিব-সহকারী মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পর্যায়ের বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।  গত বছরের ১৫ নভেম্বর কমিটি ঘোষণার ৫ মাসের মধ্যেই ভেঙে দেওয়া হলো এই কমিটি।  এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, হেফাজতে ইসলামের নেতারা জনসভা-ওয়াজ মাহফিলে রাজা উজিড় মারার কথা বললেও সরকারের ধর-পাকড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছেন। কেউ বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপাতত কিছুদিন চুপচাপ থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তারা আবারও সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে।  যেমনটি ঘটেছিল ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে সহিংস ঘটনাপ্রবাহের পর।

মূলত ৩ টি কারণে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত: গ্রেফতার, মামলা ও ধরপাকড় এড়াতে। দ্বিতীয়ত: চাপে পড়ে অনেক নেতা পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। দলে ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভিত্তিতে কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা। তৃতীয়ত: কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের বিক্ষোভে সহিংস ঘটনায় ১৮ জন নিহত হন। এরপর সারাদেশে হেফাজত নেতাদের নামে মামলা হয়। ধরপাকড় শুরু হয় দেশব্যাপী। এ পর্যন্ত হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির অন্তত দুই ডজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-সংগঠনটির বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা আহমদ আবদুল কাদের, জোয়ায়েদ আল হাবীব ও মামুনুল হক।  যুগ্ম মহাসচিব-সহকারী মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদকীয় পর্যায়ের বহু নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে সংগঠনটির অভিযোগ। গ্রেফতার নেতাদের পুরোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।  হেফাজতের কমিটি ধরে ধরে সব নেতাদের গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এমন আশঙ্কায় দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী আইনশৃংখলা বাহিনীর টার্গেট নেতাদের তালিকা প্রকাশের দাবি করেন।  তাদের সবাইকে নিয়ে কারাগারে যাওয়ার কথা বলেন।

গ্রেফতার ধরপাকড় থেকে নেতাদের বাঁচাতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে।  গত সপ্তাহে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে মামুনুল হকের ভাই মাহফুজুল হকও ছিলেন। তারা গ্রেফতার বন্ধের দাবি করেন। সেই সঙ্গে সহিংস কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন।

এসব তৎপরতার পরও গ্রেফতার, ধরপাকড় কমেনি। দুদিন আগে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরকে। দেশব্যাপী থানায় থানায় হেফাজতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আলেমদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় হেফাজতের শীর্ষ নেতারা কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে নেতাদের গ্রেফতার থেকে বাঁচাতে পারেন। 

এদিকে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত থেকে পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকজন নেতা। আরও অনেকে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।

গত ১১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেফতার শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত চার জনের সংগঠন ত্যাগের খবর পাওয়া গেছে। ১৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি ও বাহাদুরপুরের পীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান। তার অভিযোগ, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন দল ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ সংগঠনে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হেফাজতে ইসলামকে অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করেছে।

এর আগে মাওলানা বাবুনগরীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন আরেক নায়েবে আমির লালবাগ জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার সদরে মুদাররিস মাওলানা হাবিবুর রহমান।  ২২ এপ্রিল হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাছির উদ্দিন।

মাওলানা নাছির উদ্দিনের পর ২৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী।

সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আরও কয়েক নেতা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। তাদের কেউ জেল-জুলুম থেকে বাঁচতে আবার কেউ আহমদ শফির ছেলে আনাসপন্থী হেফাজতে যোগ দিতে পদত্যাগ করেছেন ও করছেন। এমতাবস্থায় বড় ধরণের ভাঙন ঠেকাতে কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।  ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফির ছেলে আনাসপন্থীরা। তারা এতদিন চুপচাপ থাকলে সম্প্রতি সরব হয়েছেন। ওই পন্থী আলেমদের অনেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে হেফাজতের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলেমদের বিভাজন ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও সক্রিয় হবে হেফাজত।

নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতায় হেফাজতের মাঠে নামার পর দেশের কওমী মাদ্রাসার ওপর নজরদারি বেড়েছে।  গোয়েন্দা বলছেন, কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের ঠাল হিসেবে ব্যবহার করছেন হেফাজত নেতারা। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের কার্যক্রম পর্যালোচনার দাবিও উঠেছে। এমতাবস্থায় চাপে পড়েছে কওমী শিক্ষাব্যবস্থা।

রবিবার কমিটি বিলুপ্তির কয়েক ঘণ্টা আগে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের সব ধরনের রাজনীতি মুক্ত রাখার ঘোষণা দেয় মাদ্রাসাগুলোর নীতি নির্ধারণী বোর্ড আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের স্বার্থ চিন্তা করে এবং সার্বিক বিবেচনায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।


আরও খবর



দেশের চিকিৎসকদের গুণগত মান পৃথিবীর কোন দেশের চেয়েও কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের গুণগত মান পৃথিবীর কোন দেশের চেয়েও কম নয়। চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে দোষ না দিয়ে, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কাজ আদায় করে নিতে হবে।

সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভাগের সকল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চিকিৎসকের সুরক্ষার তাগিদ দিয়েছেন উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সংসদে সংসদ সদস্যরা যখন বলেন এলাকায় চিকিৎসকরা থাকেন না তখন তিনি পাল্টা প্রতিবাদ করে তাঁদের বলেন, চিকিৎসকেরা থাকবেন যদি আপনারা সাহায্য করেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি করতে পারলে জাতিকে একটা ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চিকিৎসক ও রোগী সবার সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব তাঁর মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবিনয় অনুরোধ প্রত্যেকেই কর্মস্থলে সময়মত উপস্থিত থেকে ঠিকমত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করুন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাঁরা ঠিকমত কাজ করেন তাঁদেরকে প্রত্যেক ক্ষেত্রে একটা বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে কারণ প্রণোদনা না দিলে কেউ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে আগ্রহী হবে না ।


আরও খবর



প্রিজন ভ্যান থামিয়ে চালককে মারধর

পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যসহ গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরে আসামী বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে চালককে মারধোরের ঘটনায় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৬ জনসহ নামীয় ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮জনকে আসামী করে পিরোজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন (৩৮), নয়ন সেখ (২৬), আলী হাসান লিয়ন (৩২), সাদ্দাম সেখ (৩২), আলী ইমাম অনি (২৮) এবং জাকারিয়া আল জাওয়াব (২৫)। এদের সকলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া এলাকায়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার মঠবাড়িয়া আদালত থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ বিভিন্ন মামলার ১০ জন আসামী নিয়ে পুলিশে একটি প্রিজন ভ্যান পিরোজপুর জেলা কারাগারে আসতেছিল। পথিমধ্যে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ী এলাকায় পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কে মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রিজনভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ি চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে মোটরসাইকেলের আরোহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো জাকির হোসেন খান। এ সময় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম সুমন ও তার সাথে ৭/৮ জন যুবক মোটরসাইকেল আরোহীর পক্ষ নিয়ে প্রিজনভ্যানের চালক পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল করিমকে বেধরক মারধোর করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ভাইজোড়া ডাক্তারবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে জাকির হোসেন খান পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় এস আই কামরুল হাসান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান জানান, পুলিশের প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করে গাড়ির চালককে মারধর ও সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



এমভি আবদুল্লাহ এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি এখনও অপহরণকারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২৩ জন নাবিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জাহাজটি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। আমরা জাহাজটি উদ্ধার করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। ফলে অপহরণকারীদের পরিচয়ের বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। এরা কোন দেশের নাগরিক, সেটি সম্পর্কে আমরা এখনও কোনো তথ্য পাইনি।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি ভারত মহাসাগরে ঘটেছে। আমরা ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। তবে এখনও অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশি মদপানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবক মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। শনিবার রাতে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- গাজীপুর জেলার ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) ও হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)।

মৃত দীপু সরকারের মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী জানান, তাঁর বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদে আয়োজন ছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে সেই আয়োজনে দেশিয় মদপান করে দীপু ও প্রসেজিৎসহ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে শনিবার সকালের দিকে দীপু ও প্রসেজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বিকেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে প্রসেনজিৎকে কর্নেল মালেক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। অপরদিকে অসুস্থ দীপু সরকারকে অসুস্থ অবস্থায় হাটিপাড়া থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে অসুস্থ অন্যরা এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, শনিবার প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। পরে তার শরীরের পালস না পাওয়ায় তাকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া প্রসেনজিৎ সরকারের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপান করে দুজন মারা গেছে। এরমধ্যে একজনের বাড়ি হরিরামপুর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুর মানে উন্নতি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। অন্যদিকে, শনিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

দূষণ তালিকার শীর্ষে থাকা দিল্লির স্কোর ২৭৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। এই শহরটির স্কোর ১৬৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১১ নম্বরে। এই শহরের স্কোর ১৫২ অর্থাৎ এখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪