আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

যেখানেই দুর্যোগ-দুর্ভোগ, সেখানেই আ.লীগ : রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজকে যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে শিশু মারা গেছে। মহিলাসহ প্রায় বিশজন মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কি দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব উজাড় করে দিচ্ছেন। সেখানে ফল হয় না, এটাতো আপনার কারণে। যেখানেই দুর্নীতি ও লুটপাট সেখানেই আওয়ামী সরকার। আজকে ব্যাংক, বিমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা না কি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে থু থু দিয়ে ইটের দালান গড়া যায় না। যেটা শেখ হাসিনা করেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহর অভিশাপ। এই ভয়ংকর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংসের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এর আগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমি দস্যুদের তো বাধা দেন না। এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনারা গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।

এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, পুলিশ ও আজ্ঞাবহ আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে যুবদল নেতারা বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।

মিছিলে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, কামরুজ্জামান দুলাল, দীপু ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, জব্বার খান, করিম সরকার, আলমগীর হাসান সোহান, তানভীর আহমেদ সোহেল, আজিজুল হক আকন্দ, মাসুদ পারভেজ, পার্থদেব মণ্ডল, আমিনুর রহমান আমিন, মাজেদুর রহমান রুমন, মেহেদী হাসান জুয়েলসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো পরীক্ষা (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়েদের অন্তর্বাসের মধ্যে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকত অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস। একইসঙ্গে সংযোগ দিয়ে পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল।

প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করত আরেকটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের। বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিত। বাইরে তাদের একটা টিম পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সলভ করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে। পরীক্ষার্থীর কাছে যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে সেটা পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে থাকে। আর পকেটে একটা রাউটার থাকে। অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে  পরীক্ষার্থী শুনতে পাবে এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলবে। চক্রটি বাইরে থেকে উত্তর বলবে আর যাদের অন্তর্বাস বা গেঞ্জির সঙ্গে ডিভাইস থাকবে তারা ভেতরে থেকে উত্তরগুলো শুনে সঙ্গে সঙ্গে এমসিকিউ দাগিয়ে ফেলবে।

হারুন অর রশিদ বলেন, দিন দিন এভাবে ক্রাইমের প্যাটার্নটা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। এভাবে কিন্তু দিন যাচ্ছে অপরাধীরা তাদের অপরাধের প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে। আমরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গায় রাখছে যেখানে ধরার বা চেক করার কোনো স্কোপ নেই।

ডিবি প্রধান বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এসব পন্থায় অপরাধ কর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

হারুন অর রশিদ বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করত। মো. রাসেল ও মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল এবং মো. আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহারবিধি শিখিয়ে দেয়। মো. আরিফুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধা মতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর তাদের সমাধান টিম অতি দ্রুত সেই প্রশ্নপত্র সমাধান করে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত।

তিনি বলেন, বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত এই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসটি মেয়েদের অন্তর্বাস ও ছেলেদের স্যান্ডো গেঞ্জির ভেতরে এমনভাবে সেলাই করে সংযুক্ত করা থাকে যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। ডিভাইসে একটি মোবাইল সিম কার্ড সংযুক্ত থাকে। কেন্দ্রের বাইরে থেকে ওই নম্বরে কল করা মাত্রই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিসিভ হয়ে যায়। এই ডিভাইসের সঙ্গে ব্লু-টুথের মাধ্যমে কানেক্ট থাকা ছোট্ট বল আকারের রিসিভার স্পিকারটি পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতরে থাকে। ফলে বাইরে থেকে উত্তর বলে দিলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীরা অনায়াসে তা লিখতে পারে। পরীক্ষা শেষে শক্তিশালী কলম সদৃশ চুম্বকের (ডিভাইসের বিশেষ অংশ) সহায়তায় সেটি কানের ভেতর থেকে বের করা হয়।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



কর্ণফুলী রক্ষায় ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, আমরা নানা আন্দোলনের কথা জানি, অনেক আন্দোলন সফল হয় আবার কোন আন্দোলন ব্যর্থ হয়। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে হারলে চলবে না, এটি দেশের পরিবেশ অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে কর্ণফুলী ও সাম্পান মাঝিদের রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলনের সাম্পান শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন এ শোভাযাত্রা হয়। এতে অংশ নেয় ইছানগর সদরঘাট, চরপাথরঘাটা অভয়মিত্রঘাট, সদরঘাট ও ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির তিন শতাধিক সাম্পান।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে ব্যতিক্রমী সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি, সাম্পান নিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। কর্ণফুলীর দুইপাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি আন্দোলনকারীদের।

সিএমপি কমিশনার বলেন, কর্ণফুলী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ রক্ষার এই সামাজিক আন্দোলন ব্যর্থ হলে পুরো জাতি ব্যর্থ হবে। সেই সাথে আমরা আমাদের আগামি প্রজন্মের ধ্বংস ডেকে আনবো। সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করতে দেব না। তাদের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনে আমরা সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি। কারো ভয় ভিতিতে পিছিয়ে আসার কোন কারণ নাই।

 উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ছোট বেল থেকে একটি স্বচ্ছ সুন্দর কর্ণফুলী নদী দেখে আমি বড় হয়েছি। দেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তু মানুষের পরিবেশ বিধ্বংসী আচরণে কর্ণফুলী ধ্বংস হচ্ছে। যা হতে দেয়া যাবে না। তিনি সকলকে একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী  রক্ষার সামাজিক আন্দোলনে শক্তিশালী করার আহবান জানান।

 চৌধুরী ফরিদ বলেন, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ আছে । অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত আছে। কিন্তু উচ্ছেদ হচ্ছে না। বন্দরের কালোহাত অবৈধ দখলকারী, নদী খেকোদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। যা মেনে নেয়া যায় না। তিনি ২০১৪ সালের স্ট্যাটেজিক মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার দাবী জানান।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীর সভাপতিত্বে আবৃত্তি শিল্পী দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় বিশেষ অতিথি ছিলেন  ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান।

এসমউ বক্তব্য রাখেন ডায়মন্ড সিমেন্ট জেনারেল ম্যানাজার সেলস আলহাজ্ব আবদুর রহিম, সাম্পান খেলার আয়োজক সমাজ সেবক সৈয়দ আহমেদ, সেলিমুল হক, কামাল আহমেদ রাজা, ডায়মন্ড সিমেন্টের প্রমোশন ম্যানেজার শায়ের আমান, ক্যাব চট্টগ্রামের কর্মকর্তা জানে আলম, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির ফেডারেশণের সহ সভাপতি জাফর আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল, আবুল হোসেন আবুল, বসির আহমেদ প্রমুখ।


আরও খবর



হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলে লিখিত আবেদনে বলেছেন। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন।

আদালতে আলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বিচার বিভাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে তলব করেন হাইকোর্ট। ১৪ মে তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়।

সম্প্রতি বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক টকশোতে বিচার বিভাগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন, যা ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।


আরও খবর