আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

যেসব রাস্তা দিয়ে যাবে ‘শহীদি মার্চ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। দিনটি ঘিরে শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শহীদি মার্চ শুরু হবে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।

এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর কর্মসূচি শুরু করা হবে বলেও জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদি মার্চ হবে। সারাদেশে ইউনিয়ন থেকে মহানগর সব পর্যায়ে শহীদদের স্মৃতি ধারণ করে, আহত ভাইবোন যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন, যে ভাইবোনেরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিশু-কিশোর-যুবক নারীসহ অন্তত ১ হাজার জনের প্রাণহানি ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দিলে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনে নেতিবাচক অবসান হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথ গ্রহণ করেন।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভারতে ‘বৈধভাবে’ থাকার সময় ফুরিয়ে আসছে শেখ হাসিনার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েও পারেননি। তাই গত ৫ আগস্ট থেকে বাধ্য হয়ে ভারতেই থাকতে হচ্ছে তাকে।

আজ শনিবার ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতেও শেখ হাসিনার সময় ফুরিয়ে আসছে। কেননা শেখ হাসিনার কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার। তার কাছে আর কোনো পাসপোর্ট নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের একটি সূত্র।

ভারতীয় ভিসানীতির আওতায় কূটনৈতিক বা অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। এরপর তারা ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা ভারতে কাটিয়েছেন ২০ দিন। সেখানে বৈধভাবে তার থাকার সময় শেষ হয়ে আসছে। কেননা নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিনি আর ২৫ দিন থাকতে পারবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে শেখ হাসিনার। সেখানে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি হত্যা মামলা।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়টি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির মধ্যে পড়বে, যা ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলায় আসামি হলে অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ বা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো যাবে। কিন্তু এই চুক্তিতে হত্যা মামলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে।

তবে মামলাটি ন্যায়বিচারের স্বার্থে হয় হলেও দুই দেশ অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে বা অস্বীকৃতি জানাতে পারে।


আরও খবর
প্রত্যাহার হওয়া ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাগেরহাটে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই, আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো (৪৫) নামের চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করেছে যাত্রী রুপী ছিনতাইকারীরা। শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোরে চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর এলাকার কুশির বাগান সংলগ্ন খালের চর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার সলেমান মোল্লার ছেলে। এঘটনায় দুই ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাই হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট শহরের বড় বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে চিতলমারীর উদ্দেশ্যে রওনা করেন ইজিবাইক চালক আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো । অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও আনোয়ার বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোজা শুরু করেন। এক পর্যায়ে আনোয়ারের ইজিবাইকে লাগানো মটোলক (লোকেশন ট্রাকার)ডিভাইস-এর মাধ্যমে ইজিবাইকটির অবস্থান জানা যায়। মটোলক ডিভাইসের টেকনিশিয়ান এনামুল আহসান তিতাশ, আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার মোল্লা (৪১)সহ কয়েকজন পুলিশের সহায়তায় পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা মোড় থেকে ইজিবাইকসহ ছিনতাইকারীদের আটক করে । পরে এ ঘটনায় ওই রাতেই চিতলমারী থানায় ছিনতাইকারী মোঃ সজিব শেখ (২১) ও সাগর (১৯) এর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুশির বাগান সংলগ্ন খালের চর থেকে আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আসামীরা হলেন, কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের মোঃ আকরাম শেখের ছেলে মোঃ সজিব শেখ ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাকশি গ্রামের সুদেব মজুমদার সাগর।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার মোল্লা বলেন, অনেক রাত হওয়ার পরেও যখন ফোনে পাচ্ছিলাম না। তখন আমরা মটোলক ডিভাইসের টেকনিশিয়ানের সাথে যোগাযোগ করি এবং পুলিশের সহায়তায় ‍ছিনতাইকারীদের আটক করি। ওরা গাড়ি নিয়ে যেত আমার ভাইকে হত্যা করল কেন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, হত্যার শিকার ইজিবাইক চালকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: বাগেরহাট

আরও খবর



গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসের সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় লাইব্রেরী বাজার দোকান থেকে আব্দুল গাফফার পিয়াসকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে গুম করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৮ বছর যাবত গুমকৃত আব্দুল গাফফার পিয়াসের এর সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ আব্দুল গাফফারের বড় ভাই আব্দুল হামিদ, মৌখিক বক্তব্য বলেন, ৮ বছর আগে আমার দোকান থেকে আমার ছোট ভাই আব্দুল গাফফার পিয়াসকে সাদা পোষাক ও সাদা মাইক্রো বাসে করে তুলে নিয়ে যায়। তারপরে অনেক চেষ্টা করেও তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করতে গেলে সে সময়ের পাবনা সদর থানার ওসি আব্দু: রাজ্জাক ডায়রি নেয়নি। সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল কিনা সে বিষয়ে কেউ কিচ্ছু জানায়নি। সে অবৈধ কোন সংগঠন বা অপরাধের সাথে জড়িত কিনা তা আমরাও জানি না। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না সে বিষয়ে কেউ কিচ্ছু জানায়নি। অথচ এভাবে দীর্ঘ আট বছর তাঁকে গুম করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি সে কোনো অন্যায় বা অপরাধের সাথে জড়িত থাকে দেশীয় আইন অনুযায়ী তার যে শাস্তি হয় আমরা মেনে নিবো। তবুও সে বেঁচে আছে কিনা বা গুম সংক্রান্ত বিষয়টি খোলাসা হোক। এসময় গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসকে ফিরিয়ে দেবার আকুতি জানান তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসের মা সালেহা খাতুন, ভাবী সুরাইয়া খাতুন, বড় বোন সম্পা খাতুন, ছোট বোন সুমাইয়া মিম প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এদিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা ১১টায় হাইকোর্ট চত্বরে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ আল্টিমেটাম দেন।

এছাড়া বেলা ১১টার দিকে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ঢল নেমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে হাইকোর্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনসহ আপিল বিভাগের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের নেতা অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।

এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি ও ফুল কোর্ট সভা বন্ধের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।


আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরীর ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

টানাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধ্বসের কারণে সৃষ্ট দূর্যোগে নগরীর ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জনসাধারণের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরী কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত এ কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা জনগনের সেবায় কাজ করবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বর ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯।

বৃহস্পতিবার চসিক ভবনের কনফারেন্স রুমে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে এক জরুরি সভায় অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধ্বস থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে চসিকের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম মহোদয় কুইক রেসপন্স টিম গঠনসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের জন্য ৭টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা জনগণকে দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া এবং তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে ৭টি টিম কাজ করছে। এছাড়া এম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ মজুদ সহ ৩টি জরুরী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চসিকের ৫৪টি হেলথ কমপ্লেক্স নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারনের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, জরুরী ঔষধ, এম্বুলেন্সসহ পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে জরুরী কুইক রেসপন্স টিম উদ্ধার কাজ সহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নাগরিকদের সরে যেতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় চসিকের কর্মীরা দুর্যোগপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে মাইকিং শুরু করেছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর