আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যেসব সুবিধা পাবেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা চতুর্থবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শপথ নেয়ার কথা রয়েছে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের। এবারের মন্ত্রিসভার ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে ইতোমধ্যেই।

মন্ত্রীদের জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর কী কী সুবিধা পান তারা, সেটা নিয়েও কৌতূহল অনেক। গাড়ি, বাড়ি, চিকিৎসা খরচসহ অন্তত ১৩ ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। জেনে নেয়া যাক সেসব সুবিধার বিস্তারিত।   

বেতন : একজন পূর্ণ মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ৯২ হাজার টাকা।

বাড়িভাড়া : দায়িত্বে আসার পর সব মন্ত্রীরাই সরকারি ব্যয়ে একটি সুসজ্জিত বাসভবন পান বিনা ভাড়ায়। তবে মন্ত্রী সরকারি বাড়িতে না থেকে নিজ বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থাকেন, সেক্ষেত্রে আলাদা বাসা ভাড়া দেয়া হয়। সরকার থেকে পূর্ণ মন্ত্রীদের বাসা ভাড়া হিসেবে দেয়া হয় ৮০ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পান ৭০ হাজার টাকা করে। এছাড়া নিজ বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থাকলে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও তিন মাসের বাড়ি ভাড়ার সমান টাকা পাবেন।

এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ : নিজ সংসদীয় এলাকার দাতব্য কাজে বছরে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয় একজন মন্ত্রীকে। একই কাজে প্রতিমন্ত্রী পান সাড়ে ৭ লাখ টাকা। মন্ত্রী চাইলে একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিতে পারেন আর প্রতিমন্ত্রী দিতে পারেন ৩৫ হাজার টাকা। তবে এই টাকার কোনো নিরীক্ষা হয় না। 

আপ্যায়ন ভাতা : মন্ত্রীদের দপ্তরে দেশি-বিদেশি অনেকেই আসেন সাক্ষাৎ করতে। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নির্বাচনী এলাকার মানুষও আসেন প্রায়ই। তাদের আপ্যায়নের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা করে পান পূর্ণ মন্ত্রী। এ খাতে প্রতিমন্ত্রী পান সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বছরে ১০ লাখ টাকা বিমাসুবিধা পাবেন। 

চিকিৎসা খরচ : মন্ত্রীত্ব থাকাবস্থায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা অসুস্থ হলে তার পুরো ব্যয়ভার সরকার বহন করে। এ ক্ষেত্রে বলা আছে, চিকিৎসা খরচ সীমাহীন। তবে খরচের ভাউচার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিতে হবে।

সরকারি গাড়ি : মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী সরকারি খরচে একটি গাড়ি পেয়ে থাকেন। গাড়িটি পরিবহন পুল সরবরাহ করে। এছাড়া সরকারি প্রয়োজনে বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ভ্রমণের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেকোনো সংস্থা বা দপ্তর থেকে একটি জিপ গাড়ি পাবেন। জ্বালানি বাবদ দৈনিক ১৮ লিটার জ্বালানি তেলের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হয়। মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী দেশের ভেতরে কোথাও ভ্রমণে গেলে দৈনিক ভাতা পান দুই হাজার করে।

বাড়ির সাজসজ্জার খরচ : সরকারি বাড়ি সাজসজ্জার জন্য প্রতিবছর পাঁচ লাখ টাকা পান একজন মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী পান চার লাখ টাকা। এছাড়া তাদের বাসভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন ব্যয় যা আসবে, সরকার পুরোটাই বহন করবে। 

মন্ত্রীর ১০ সহায়ক : নিজের পছন্দ অনুযায়ী উপসচিব পদমর্যাদার একজনকে একান্ত সচিব হিসেবে পান মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। পূর্ণ মন্ত্রী একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং সরকারি কর্মকর্তার বাইরে নিজের পছন্দের একজন সহকারী একান্ত সচিব পেয়ে থাকেন। এছাড়া দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন জমাদার, একজন আরদালি, দুজন অফিস সহায়ক ও একজন পাচক পেয়ে থাকেন। প্রতিমন্ত্রী পান একজন একান্ত সচিব, একজন ব্যক্তিগত সহকারী, একজন জমাদার, একজন আরদালি ও একজন অফিস সহায়ক। এছাড়া মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী একটি করে মুঠোফোন পাবেন।

চিফ হুইপ ও বিরোধীদলীয় নেতা : চিফ হুইপ ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদটি একজন পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদার। তারা প্রায় ক্ষেত্রেই একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সমান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তারা একজন একান্ত সচিব (পিএস), একজন সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), দুজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, একজন বাহক, দুজন অফিস সহায়ক ও একজন পাচক পান। এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতাকে আটজন পুলিশ সদস্য, দুজন গানম্যান সুবিধা দেয়া হয়। মন্ত্রীদের মতোই গাড়ি-বাড়ির সুবিধাও পেয়ে থাকেন বিরোধীদলীয় নেতা। হুইপ একজন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার। 


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ঘরের চাল সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় ঘরের চালা সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রানা মৃধা (১৭) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার সময় জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানা মৃধা ওই এলাকার দেলোয়ার মৃধার ছেলে।

স্থানী সূত্রে জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দির বাসিন্দা দেলোয়ার মৃধার বসতঘর নতুন করে মেরামত করার জন্য চালা সরাতে যান তার ছেলে রানা মৃধা ও স্থানীয় আবুল ভূইয়া, জামাল মল্লিকসহ কয়েকজন। হঠাৎ অসাবধানতাবসত টিনের চালা নেওয়ার সময় ঘরের মিটারের সাথে সংস্পর্শে আসে। এতে রানা মৃধা বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী আবুল ভূঁইয়া জানান, আমরা কয়েকজন মিলে দেলোয়ার মৃধার ঘরের চাল সরাচ্ছিলাম। টিনের চালা সরানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ দেখি রানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে আছে পরে দেখলাম যে টিনের চালার সাথে বিদ্যুতের তাঁর লাগানো ছিলো। এরপর আমরা তাকে জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘরের টিনের চালার সাথেই বিদ্যুৎ মিটারের তাঁর সংযোগ ছিল। অসাবধানতাবসত বিদুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



২ বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উত্তাল নায়াগ্রা ফলসখ্যাত বাফেলো শহর। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েন বাফেলো শহরের মেয়র ও পুলিশ কমিশনার।

স্থানীয় সময় দুপুরে নামাজের পর হাজারো মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হন বাফেলো মুসলিম সেন্টারে। বিক্ষুব্ধ প্রবাসীরা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

এ সময় স্থানীয় বাফেলো শহরের মেয়র বায়রন ব্রাউন ও পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রামাগলিয়া জনতার তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন।

ঘটনার একদিন পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দুর্বৃত্তের ছবি প্রকাশ করলেও তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি বাফেলো পুলিশ। অপরাধীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে নিহত বাবুল মিয়ার পাঁচ মাসের অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রীর আহাজারিতে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আকাশ-বাতাস যেন ভারী হয়ে ওঠেছে। অভিবাসন নিয়ে বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন নুসরাত জাহান। স্বামীকে হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা। এই পৃথিবীতে নিকট আত্মীয় বলে তার আর কেউ রইল না। কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন তিনি? গর্ভের সন্তানের ভবিষ্যত-ই বা কী হবে?

বাবুল মিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহান বলেন, আজকে আমি এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। আমার স্বামীকে যারা এই নৃশংসভাবে বিদায় করে দিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

থমথমে পরিবেশ গুলিতে নিহত অপর বাংলাদেশি আবু সালেহ ইউসূফের বাড়িতে। জনশূন্য মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকবেন বলে মাত্র সাত মাস আগে ইউসূফও এসেছিলেন নিউইয়র্কের বাফেলোতে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হতে হলো তাকে। ইউসূফের স্ত্রী এখন সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বপ্নের যুক্তরাষ্ট্র যেন দিনদিন দু:স্বপ্ন হয়ে উঠছে অভিবাসীদের জন্য।

নিহত আবু সালে ইউসূফের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কোনো অপরাধ করেনি। যারা আমার সন্তানদের এতিম করলো আমি তাদের বিচার চাই। আমেরিকান সরকারের কাছে আমারদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাই।


আরও খবর



অবন্তিকা আত্মহত্যা : জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শিক্ষক দ্বীন ইসলাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে আরেক অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী এখনও কারাগারে আছেন। বুধবার (৮ মে) বিকালে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুরের পর কোর্টের অর্ডারটি হাতে পাই। এরপরই তাকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে গ্রহণ করে নিয়ে গেছে।

১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে কুমিল্লার নিজবাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এরপরই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ১৭ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটামের ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে আটক করেছিল পুলিশ। ওই দিন রাতে থানা-পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে রিমান্ড শেষে দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

নিউজ ট্যাগ: ফাইরুজ অবন্তিকা

আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ চায় জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। প্রথমে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয় জিম্মি চুক্তি করলে রাফাহতে হামলা করা হবে না। তবে হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক এখন ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এই অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি মঙ্গলবার আহ্বান জানান তিনি।

গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’ পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি। তার কথায় গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’

গাজায় গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর জায়গায় অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে, ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেয়া হয়েছে।’


আরও খবর