আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

যেভাবে আরাভের পরিবর্তে কারাগারে ইউসুফ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান। এই নাম ছাড়াও তিনি রবিউল ইসলাম, আপন, সোহাগ, হৃদয়, ও হৃদি নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলাসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় তিনি পলাতক আসামি। মূলত, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুবাইয়ে আরাভের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের ঘোষণার পর আলোচনায় আসেন তিনি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়।

তথ্যমতে, ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ আটজনের সংশ্লিষ্টতা পায় ডিবি। এদের মধ্যে আরাভ পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে পাঁচ দফা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অবশেষে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরাভ। কিন্তু পরে জানা যায়, আরাভ খানের পরিবর্তে জেলে যান চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আইনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আবু ইউসুফ লিমন।

ইউসুফের আইনজীবী ও ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলে যাওয়ার কিছুদিন পর ইউসুফ আদালতকে জানান তিনি হৃদয় (আরাভ) নন। তিনি টাকার বিনিময়ে এবং পরিবারের ভরণপোষণ চালানোর চুক্তিতে হৃদয় সেজে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে বিষয়টি তদন্ত করতে ডিবিকে নির্দেশ দেন আদালত। সেই প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে এই ইউসুফ আসলে হৃদয় নন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুক সূত্রে আরাভের সঙ্গে পরিচয়। পরে কোনো এক সময় আরাভকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের কথা জানান। তখন আরাভ জানায়, দেশে আসলে সব ব্যবস্থা করে দেবে। সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও খেলার সুযোগ করে দেবে। কিন্তু মামলার কারণে সে দেশে আসতে পারছে না।

তখন আরাভ আমাকে অনুরোধ করে তার হয়ে আদালতে গিয়ে জেলে যেতে। সে আমাকে দেড় মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত করবে। আমার ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা করে দেবে। একসময় আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই। পরে পরিবারকে না জানিয়ে হৃদয় পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করি। ইউসুফ আরও বলেন, জেলে যাওয়ার পর একাধিকবার আমার জামিনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারাগারে এই মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে কথা হয়। পরে আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি।

ইউসুফের বাবা নুরুজ্জামান বলেন, ইউসুফ ৩ মাস জেলে থাকার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপর তার জামিন পেতে আরও ৬ মাস লেগেছে। মোট ৯ মাস সে জেল খেটেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় গিয়ে খুন হন বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মৃতদেহ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।


আরও খবর



গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি গাজার খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ের পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।


আরও খবর



আজ রাত ১১টায় সারাদেশে ‘ব্ল‍্যাক আউট’

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে আজ রাত ১১টা ১ মিনিট সারাদেশে প্রতীকী ব্ল‍্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। শনিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গণহত্যা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে আরও আছে, ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতটি ছিল ভয়াবহতম একটি রাত। মানব ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যায় সেই কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী মেতেছিল উল্লাসে। ঢাকা শহর হয়েছিল ধ্বংসস্তূপ। 


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স : রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই, রেলকে ধ্বংস করতে চাই।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের রেলগেট এলাকায় শহীদ স্মৃতি চত্বরে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। আসন্ন ঈদটা এবার যাত্রীদের ভালোই কাটবে। তারা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে। আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই উন্নতি তো সবার পছন্দ না। অনেকেই ষড়যন্ত্র করে এই উন্নতিকে পিছিয়ে দিতে চাই, স্থবির করে দিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল হক রেজা, ফকরুজ্জামান মুকুট, সালমা চৌধুরী রুমাসহ জেলা আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে : বিজিবি ডিজি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে খাগড়াছড়িতে রামগড় স্থলবন্দরে আইসিপি (ইন্ট্রিগ্রেটেড চেক পোস্ট) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বিজিবি ডিজি বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অন্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেভাবে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

মিয়ানমার সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জের ধরে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাদেরকে জাহাজে করে সাগর পথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। মার্চে মিয়ানমারের বিজিপির ১৭৭ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ডিজি বলেন, আইসিপি- ইন্টিগেটেড চেকপোস্ট (সমন্বিত চৌকি) যখন চালু হবে, আমাদের দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) অর্থনৈতিক অনেক প্রাপ্তি ও সুবিধা হবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দু'প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের ইনভেস্টমেন্ট করছে। এই আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুপাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধি করবে।

এর আগে তিনি বিজিবির সূতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।

আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন। এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটি একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা  দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে ফেনী নদীর ওপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু রয়েছে এবং এখানে যে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরও ত্বরান্বিত হবে।

বিজিবি প্রধান রামগড়ে বিজিবি স্সৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০ দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এরপর রামগড়ে ৪৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় এবং ইফতার করেন। এ সময় তিনি সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত সি ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ  নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছি।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সেটি (প্রস্তাব) আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌ এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

তিনি বলেন, জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, না কি তারা ফিরে আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে। আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে। সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।

ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।  অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর ছিলাম। ‌ সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।


আরও খবর