আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যেভাবে কোয়েল পালন করলে বেশি লাভবান হবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আমাদের দেশে কোয়েল পালন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি পালন করে অনেক বেকার যুবক তাদের বেকারত্ব দূর করছেন। অনেকে কোয়েল পালন করে উদ্যোক্তা হতে চান। তবে কোয়েলের খামার করতে গেলে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। কোয়েল পালন করতে গেলে প্রথমে এর আবাসন, খাবার, কোয়েলের সুস্থতা ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। শুরুতে জানা যাক কোয়েল পাখির আবাসন নিয়ে। কোয়েল পাখি অবশ্যই খাঁচায় পালতে হবে। প্রতি বর্গফুটে ৮টি পাখি পালন করা যায়।

সবাই বলে কোয়েল পাখির কোনো রোগ নেই। শুধু ডিম পাড়ার জন্য মাদি কিনে আনলেই হয়। আসলে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। পাখি পালনে পানির পাত্র আর খাবারের পাত্র লাগবে। সময় মতো খাবার এবং পানি দিতে হবে। কোয়েল পালনে অল্প বিনিয়োগ অনেক লাভ। কোয়েল পালনে ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে মাসে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে সেটি সঠিক নিয়মে করতে হবে। লিটার পদ্ধতিতে কোয়েল পালনের অসুবিধা ও খাঁচায় কোয়েল পালনের সুবিধাগুলো জানতে হবে। লিটার পদ্ধতিতে কোয়েল পালন করলে কোয়েলের অনেক রোগ হয়। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগ হলো আসিরিটিভ এনটিরিটিস বা কোয়েল ডিজিজ। অনেক সময় বোঝা যায় না কিভাবে এ রোগটি হলো। এ রোগ হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব কোয়েল পাখি মরে যাবে।

দ্বিতীয়টি হলো কৃমি। এতে আক্রান্ত হলে কোয়েল পাখি মরবে না। তবে ডিম দেওয়া কমে যাবে। ধীরে ধীরে পাখি অসুস্থ হয়ে পড়বে। কিছুদিন পর মারা যাবে। আরেকটি সমস্যা হলো পাখির আমাশয়। যেহেতু পাখি সবসময় লিটার বা নিজেদের বিষ্ঠার উপর থাকবে সেহেতু আমাশয় হবে। ওষুধ খাওয়ালে ভালো হবে কিন্তু ততক্ষণে ডিম দেওয়া কমে যাবে।

চতুর্থ সমস্যা হলো চোখ ফুলে যাওয়া। পাখির বিষ্ঠা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হয় এর ফলে অনেক সময় চোখ ফুলে যায়। বাতাস ঠিক মতো চলাচল করলে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু ততক্ষণে ডিম দেওয়া কমে যাবে। লিটারে ফাঙ্গাস হতে পারে- যা খেলে কোয়েল বাঁচবে না।

এ ছাড়া কোয়েল পাখি উড়ে। উড়তে গিয়ে কখনও ডিমের উপর গিয়ে পড়ে, ফলে ডিম ভেঙে যায়। এতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। পক্ষান্তরে যদি কোয়েল পাখি খাঁচায় পালন করা হয় তাহলে কোনো রোগ হবে না বলা যায়, এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বার্ডফ্লু দেখা দিলেই পাখি মারা যাবে। তবে খাঁচায়তেও কোয়েল মারা যায়, তবে সেটা রোগে নয়, খাঁচার নেটে ভেতর মাথা ঢুকিয়ে ও খুঁচিয়ে নেট এর ফাঁকে পা আটকে যায় এসব কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাখি মারা যায়। তবে সেটা খুবই নগণ্য। খাঁচায় কোয়েল পাখি পালন করলে ব্যবসা শুরুকালীন বিনিয়োগ বেশি হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, পাখির ঘর বা খাঁচা স্থাপন করতে হবে উঁচু স্থানে। খাঁচার ছাউনি এবং চারপাশে নেট যাতে বাতাস চলাচলে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়।

কোয়েল পাখির খাবার বিষয়ে বেশ যত্নবার হতে হবে। যদি পাখিকে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় তাহলে খাঁচায় পালন করলেও কোয়েলের আমাশয় বা পেটে সমস্যা দেখা দেবে। ভ্যাকসিন দিলে হয়তো সুস্থ হবে কিন্তু ততক্ষণে পাখির ডিম দেওয়া কমে যাবে। তাই খাবার কেনা সময়ে যাচাই-বাছাই ও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কোয়েল পালনে পাখির সুস্থতার প্রতি কড়া নজর রাখতে হবে। পাখি যদি অসুস্থ থাকে তাহলে পাখি সাধারণত ডিম পাড়ে না। লিটারে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই খাঁচায় পালন করা ভালো।

নিউজ ট্যাগ: কোয়েল পালন

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং আধুনিক হামদর্দ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লি হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধুনিক হামদর্দ কারখানার মিলনায়তনে আনন্দঘন আয়োজনে উদযাপিত হয় দিনটি।

এ সময় হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তরভাবে চেষ্টা করে আমরা আজ এ পর্যায়ে পৌঁছেছি। মাত্র ৫০ হাজার টাকার মূলধন এবং প্রায় ৬ গুণ দায়-দেনা থেকে হামদর্দ আজ পরিণত হয়েছে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোঘরে। ভবিষ্যতেও মানবসেবার কাজে আমরা এগিয়ে যাবো এবং সফল হবো, ইনশাআল্লাহ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রী, রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (ইউনানি) লক্ষ্মীপুরের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক হাকিম কামরুন নাহার হারুন বলেন, হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার ধ্যান-জ্ঞান এবং মননে কেবলই হামদর্দ। সব সময় তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করেন বলেই আজ তার নেতৃত্বে হামদর্দ এত দূর আসতে পেরেছে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া, হামদর্দ এবং ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন হামদর্দের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ঢাকা রেলওয়ে জেলার এসপি আনোয়ার হোসেন, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনানি চেয়ার ভারতের প্রখ্যাত গবেষক অধ্যাপক ডা. মনোয়ার হোসেন কাজমি, সিনিয়র পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আনিসুল হক, পরিচালক (উৎপাদন) বশির আহম্মদ, পরিচালক (বিপণন) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, হামদর্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাকিম আবু ইউছুফ আব্দুল হক, হামদর্দ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) ডা. হারুন আল রশীদ এবং হামদর্দ পাবলিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ নেয়া হয়েছে সোমালিয়ায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এম ভি আবদুল্লাহ নামের কয়লাবাহী জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিককে জিম্মি করেছে দস্যুরা। বাঁচার আকুতি জানিয়ে অডিও বার্তা দিয়েছেন জিম্মিরা।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বর্তমানে ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি।

জানা যায়, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই জলদস্যুরা সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির এক নাবিক।

এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এস আর শিপিংয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাই আসছিল পণ্যবাহী জাহাজটি। মালিকপক্ষ জিম্মি ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে নাবিকদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরেই সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের এম ভি জাহান মনি নামে অপর একটি জাহাজ। জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রেখেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। পরবর্তীতে নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।


আরও খবর



বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড

পুড়ে মারা গেলেন এডিশনাল ডিআইজির বুয়েট পড়ুয়া মেয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রী লামিশা ইসলাম। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম বিপিএমের মেয়ে লামিশা।

২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে লামিশার মারা যান মা। এরপর ছোট বোন আর বাবাকে আগলে রাখতেন লামিশা। দুই কন্যা সন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলাম আর বিয়ে করেননি। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে লামিশা ভর্তি হয়েছিলেন দেশসেরা বিদ্যাপীঠে। কিন্তু মেধাবী এই শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ নিভে গেল রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে।

এ নিয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ছোট বেলায় মা হারা পরিবারে লামিশারা ছিল দুই বোন। হঠাৎ আগুনে আবারও বিধ্বস্ত হলো এ পরিবারটি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও বলেছিলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। পরে জানা যায়, সেই মেয়েটিই নিহত লামিশা ইসলাম।

লামিশাকে হারিয়ে বাবা পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। এরপর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।


আরও খবর



প্রকাশ্যে ভারতের বিরোধিতায় বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজেদের স্বার্থে ভারত আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে বলে দাবি করে দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। তবে এ জোয়ারে গাঁ ভাসায়নি বিএনপি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব দেখালেও, এবার দেশটির বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।

দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব থাকলেও দেশের মানুষের গুরুত্ব নেই। যারা দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা দেশের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও অন্য দেশে গণতন্ত্র থাক সেটা চায় না ভারত। তাই সেসব দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে দেশটি।

গণতান্ত্রিক বিশ্বের গণতন্ত্রের কথায় গলা ভেজে তবে তৃষ্ণা মেটে না। নিজেদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করতে রূপরেখা থাকা দরকার। ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করা গেলেও গণতন্ত্র এখনও ফিরিয়ে আনা যায়নি, যোগ করেন তিনি।

গয়েশ্বর অরও বলেন, বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা না করলেও ভারতের আবদার মেটানো হচ্ছে। বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সমকামী নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। এটি তৃতীয় লিঙ্গের সরকার। জনগণের অংশ হিসেবে দেশের মালিক বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে ক্ষমতাসীনদের বিদায় করা জরুরি।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং শত ত্যাগের পরও আওয়ামী লীগের কাছে মাথা নত করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বিএনপি নেতারা।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



আজ জাতীয় পাট দিবস

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ৬ মার্চ, জাতীয় পাট দিবস। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, স্মার্ট পাটশিল্পের বাংলাদেশ’। এ বছরের পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে আগামী ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার। ওইদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

অন্যদিকে পাটখাতে সমৃদ্ধির ধারা চলমান রাখতে ও এ খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ বছর পাট দিবসে ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে ওই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও পাটসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির ছয়টি মিলের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ১৪-১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলা আয়োজন করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পাট দিবস

আরও খবর