আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

যেভাবে ক্ষমতার শিখরে সি চিন পিং

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০১২ সালে সি চিন পিং যখন ক্ষমতায় এলেন তখন পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছিলেন, চীনের ইতিহাসে তিনিই কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে উদার নেতা হবেন। চিন পিংয়ের খুব সংক্ষিপ্ত জীবনকথা, পারিবারিক ইতিহাস এবং সম্ভবত কিছুটা ভ্রান্ত আশার ভিত্তিতে তারা ওই অনুমান করেছিলেন। ১০ বছর পর পর্যবেক্ষকদের ওই পূর্বাভাস ছেঁড়া কাগজের মতো বাতাসে উড়ে গেছে। এবারের চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট চিন পিং নিজের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে চলেছেন। এতে করে তিনি মাও সে তুংয়ের পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর শাসক হতে যাচ্ছেন। এমন একজন নেতাকে বোঝা যে কতটা কঠিন, সেটা তাকে নিয়ে পর্যবেক্ষকদের পূর্বানুমানের ব্যর্থতায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

চিন পিং এতদিনে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের উচ্চাভিলাষ পূরণে তিনি কতটা নির্মম আর ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি কতটা অসহিষ্ণু হতে পারেন। তার আধিপত্য বিস্তারের লিপ্সা চীনের আধুনিক সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছাপ ফেলেছে। একটা সময় ছিল, যখন তাকে জনসাধারণ একজন তারকা সংগীতশিল্পীর স্বামী হিসেবেই চিনত। সে অবস্থান থেকে নিজের কারিশমা আর রাজনৈতিক দক্ষতায় নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে এসেছেন, যা মাও সেতুংয়ের পর আর কারও মধ্যে দেখা যায়নি।

চিন পিংয়ের প্রথম জীবনের রঙিন অধ্যায়ের অনেক কথা বাদ দিয়ে ও নতুন রূপে উত্থাপন করে সিপিসির আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মূল মানুষটি যেন এখনো রহস্যময়ই রয়ে গেছেন। চিন পিংয়ের জীবনী নিয়ে একটি বইয়ের লেখক আলফ্রেড এল চ্যান এএফপিকে বলেন, শুধু ক্ষমতার স্বার্থে চিন পিং ক্ষমতা ধরে রাখতে লড়াই করেন, প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলন থাকলেও তার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি মনে করি, চিন পিং নিজের মতাদর্শ অনুযায়ী ধ্যানধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করেন।

চীনা নেতার আরেক জীবনীকার অ্যাড্রিয়ান গেইজেস বলেন, চিনপিংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলে মনে হয় না। সম্পদের প্রতি চিন পিংয়ের মোহ নেই। তবে চীন সম্পর্কে তার সত্যিকারের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আর সেটা হলো, তিনি চীনকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখতে চান। সেই দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রে রয়েছে চিন পিংয়ের চীনা স্বপ্ন বা চৈনিক জাতির মহান পুনরুজ্জীবনসি: এ স্টাডি ইন পাওয়ার বইয়ের লেখক কেরি ব্রাউন লিখেছেন, চিন পিং একজন বিশ্বাসী মানুষ। তার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিই হলো ঈশ্বর। চিন পিংয়ের বিশ্বাসকে গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়াটাই হলো তার সম্পর্কে বাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভুল।

সিপিসির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও চিন পিংকে একসময় একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে ধরা হতো না। চীনের বিপ্লবী নায়কদের একজন সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সি ঝং জুন ছিলেন চিন পিংয়ের বাবা। শৈশব থেকেই বাবার কঠোর অনুশাসনের অধীনে চিন পিং বেড়ে ওঠেন। তবে একটা সময় হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। ঝং জুন তখন মাও সে তুংয়ের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। আলফ্রেড এল চ্যান বলেন, রাতারাতি যেন চিন পিংয়ের পরিবারের ওপর বিপর্যয় নেমে আসে। তাদের পারিবারিক মর্যাদা মুহূর্তে ধুলায় মিশে যায়। অপমান সইতে না পেরে তার এক সৎবোন তো আত্মহত্যাই করে বসেন। স্কুলের সহপাঠীরা চিন পিংকে দূরে ঠেলে দেন।

রাজনৈতিক বিষয়াদির গবেষক ডেভিড শ্যামবাউগ বলেন, এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই চিন পিংয়ের মধ্যে আবেগ এবং মনস্তাত্ত্বিক বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি এবং কর্তৃত্বপরায়ণতার বোধ তৈরি হয়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে চীনের গ্রামাঞ্চলে চিন পিংকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। বছরের পর বছর গ্রামে ফসল সংগ্রহ করেছেন এবং গুহার ভেতরে ঘুমিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বলেছেন, গ্রামে শ্রমের তীব্রতা আমাকে হতবাক করেছিল। এমনকি তাকে সংগ্রাম অধিবেশনেও অংশ নিতে হয় যেখানে তিনি তার বাবার নিন্দা করতে বাধ্য হন। ১৯৯২ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় চিন পিং ফেলে আসা সেই সব অধিবেশন সম্পর্কে নিজের তিক্ত স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যদি তুমি কিছু বুঝতে না পার, তোমাকে বুঝতে বাধ্য করা হবে। এতে অবশ্য তুমি কম বয়সেই জীবন সম্পর্কে পরিপক্ব হবে। জীবনীকার আলফ্রেড এল চ্যানও মনে করেন, অল্প বয়সের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে চিন পিংয়ের মধ্যে কঠোর মনোভাব গড়ে উঠেছে।

পারিবারিক কলঙ্কের কারণে চিন পিং শুরুর দিকে সিপিসির সদস্যপদ পেয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন। তাকে সবাই অবমূল্যায়ন করত। তার সদস্যপদের আবেদন একাধিকবার বাতিল করে দেয়া হয়। অনেকবার চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত তার আবেদন গৃহীত হয়। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি শুরু করেন চিন পিং। তিনি ১৯৭৪ সালে একটি গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। সেখানে থেকে রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি উপকূলীয় ফুজান প্রদেশের গর্ভনর হন। ২০০২ সালে ঝেজিয়াং প্রদেশের এবং ২০০৭ সালে সাংহাইয়ের নেতা হন।

প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৮৭ সালে তারকা সংগীতশিল্পী পেং লিয়ুয়ানকে বিয়ে করেন চিনপিং। তখন লিয়ুয়ান অনেক বেশি পরিচিত ছিলেন। জীবনীকার অ্যাড্রিয়ান গেইজেস বলেন, রাজনৈতিক যাত্রায় চিন পিং খুবই নিয়মতান্ত্রিক পথে চলেছেন। একেবারে তৃণমূলের গ্রামের নেতা থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে উচ্চশিখরে নিয়ে গেছেন। ২০০৭ সালে তিনি পলিট ব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির (স্থায়ী কমিটি) সদস্য হন। এটি কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ। এর পাঁচ বছর পরই তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে চিন পিং এখন অন্যতম ক্ষমতাধর বিশ্বনেতা হয়ে উঠেছেন।


আরও খবর



পাপারাজ্জিদের ওপর চটে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নোরা ফাতেহির

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে সেলেবরা যেখানেই যাবেন, সেখানেই হাজির হন পাপারাজ্জিরা। অন্যদিকে তারকাদের এক্সক্লুসিব ছবি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ছবি শিকারিরা। সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ওপর চটলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি। এক সাক্ষাৎকারে নোরা জানালেন, মাঝে মধ্যেই ছবি শিকারিরা শরীরের নানা অংশে ক্যামেরা জুম করেন! শুধু তাই নয়, আজব প্রশ্নও নাকি করেন পাপারাজ্জিরা!

নোরা বললেন, মনে হয় আমার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি ওরা। সব সময় এমন হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হয়তো তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে তাদের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?

নোরা ফাতেহি জানান, সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার শিরোনামে এসেছেন। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার। আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনোই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।

ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি এক একজনকে ধরে ধরে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না বললেন অভিনেত্রী।

নোরার মতে, বলিউডে তার সফর নিয়ে মানুষ বাহবা দেন। বিশেষত যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। কাজ নিয়ে কখনও আপস করেন না অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছয়দিনের দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল তিনি এই সফর শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও জাতিসংঘের একটি সংস্থা এসকাপের যৌথ আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্যাংককে এসকাপ কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন। একইদিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফর।


আরও খবর



ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন আহত হয়েছেন সহযোগী আরোহী।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কসমস এলাকার বেতার সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। আহত আরোহী একই এলাকার বাছেত এর ছেলে মোঃ আওলাদ হোসেন। তাকে ধামরাই এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায় তারা ধামরাই থেকে নিজ এলাকায় ফিরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে গেলে পেছনে থাকা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক জাহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে থাকা অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেলেন সঞ্জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের স্টোরিতে লালন সংগীতের লাইন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সঞ্জয় রক্ষিত (৪০) নামে এক যুবককে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছিল পুলিশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা দিয়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শরীয়তপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে স্ট্যাটাসকে ঘিরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের হরি নারায়ণ রক্ষিতের ছেলে সঞ্জয় রক্ষিতকে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার আটক করে। সঞ্জয় পেশায় একজন স্বর্ণকার। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ (১) ধারায় তাকে তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে অঙ্গীকারনামায় এই মর্মে স্বাক্ষর করেন যে ভবিষ্যতে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত, সঞ্জয় রক্ষিত তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে স্টোরিতে লিখেন সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কি হয় বিধান। এ নিয়ে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কায় সঞ্চিত রক্ষিতকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা মোতাবেক আটক করেছিল পুলিশ।


আরও খবর