আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

যমজ পুত্রসন্তানের মা হলেন নয়নতারা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর গত ৯ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী নয়নতারা ও পরিচালক বিগনেশ শিবান। বিয়ের চার মাস পর খবর দিলেন যমজ সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন এই দম্পতি। নিজের ইনস্টাগ্রামে দুই পুত্রসন্তানের ছবি পোস্ট করে এই ঘোষণা দেন বিগনেশ।

রোববার (৯ অক্টোবর) রাতে বিগনেশ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন আমি ও নয়নতারা বাবা-মা হয়েছি। আশীর্বাদ হিসেবে আমরা দুটি পুত্রসন্তান পেয়েছি। আমাদের জন্য সবাই প্রার্থনা করবেন। দুই পুত্রের নাম রেখেছেন উয়ির ও উলাগাম।

এ খবর জানানোর পর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই তারকা দম্পতি। নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন কাজল আগরওয়াল, পরিচালক অ্যাটলি, অর্চনা প্রমুখ।

এদিকে, বিয়ের চার মাস পর সন্তানের বাবা-মা হয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছেন নয়নতারা ও বিগনেশ। কারণ বিয়ের পর দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও নয়নতারার কোনো বেবি বাম্প দেখা যায়নি। তাহলে কি সন্তান দত্তক নিয়েছেন- এই প্রশ্ন অনেকের। যদিও এই প্রশ্নের দেননি নয়নতারা-বিগনেশ। নয়নতারার মা হওয়ার খবরে অনেকেই হতবাক। ধারণা করা হচ্ছে, সারোগেসির মাধ্যমে এই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নয়নতারা-বিগনেশ।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার লেডি সুপারস্টার নয়নতারা। ২০১৫ সালে নানুম রাউডি ধান সিনেমার শুটিং সেটে বিগনেশ শিবানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। তারপর ৭ বছর প্রেম করেন। চলতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বাঁধেন এই দম্পতি। এ জুটির বিয়েতে হাজির হয়েছিলে ভারতের জনপ্রিয় সব তারকারা।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মৃতদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিউনিসিয়া থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৮ বিমানে দেশে পৌঁছে ওই আট বাংলাদেশির মৃতদেহ। বিমানবন্দর কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল অব আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় নৌকায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তিউনিসিয়া উপকূলে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন এবং নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা যান। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানের নাগরিক। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তাদের মধ্যে পাঁচ জন মাদারীপুরের এবং তিন জন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার দুই জন ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন, ওই আট জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২ এর ৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের দুদিন পর তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে সজলকে বৈধ পথে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সজল ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হন। গত বছর ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জের বাসায় যুবরাজ কাজীর হাতে আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর সজলকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরে প্রবেশের আগেই আরও ৫ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন সজল।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেন সুনীল বৈরাগী। এরপর থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পরে গণমাধ্যমে জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই আট জনকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।


আরও খবর



মাদারীপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি

Image

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  আহতরা হলেন- ইদ্রিস  হাওলাদার (৫৫), বাদশা হাওলাদার (৬৫), বাবুল হাওলাদার (৫০), শাহিন হাওলাদার(৪৫), চানমিয়া হালাদার(৬০) ইউনুস হাওলাদার (৫০) জামাল হাওলাদার(৪৫) বিল্লু সর্দার (১৬) ফেরদৌস মাতুব্বর(২২)  বিউটি বেগম  (৪৫)। তাদের মধ্যেককটেল বিস্ফোরণে আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান জানান, ভোট কেন্দ্রের বাহিরে সমর্থকদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ৮/১০ জনের মত আহত হয়েছে।


আরও খবর



কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে কোন সড়কে, কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগ থেকে মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশব্যাপী উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দ্রুতগতির যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায়ই অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মোটরযানের অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়াভাবে মোটরযান চালানো। দ্রুতগতির কারণে আঘাতের মাত্রাও হয় অত্যধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এই নির্দেশিকা জারি করা হলো।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এ গতিসীমা অবশ্যই মেনে সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার ইত্যাদি সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার বেশি হবে না। সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা ইত্যাদি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে, মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয় দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা-সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে। মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবিসংবলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে। পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেল ক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকায় বিশেষ কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

বিশেষ নির্দেশে আরও বলা হয়, মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বাঁ পাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাঁ লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না।

এতে বলা হয়- ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোড মার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে। ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। নির্দেশ পালন না করলে বা গতিসীমা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা আদালতের সামনের সড়কে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী, সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে মোশারফ হোসেন শান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে থানায় মামলা হলে মোশারফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। মোশারফ হোসেন শান্তর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্দেশ অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপনার (ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন) এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।


আরও খবর