আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২1 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২1 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ।

তিনি জানান, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী আরও কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে জেলার প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তলিয়ে গেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ রোপা আমনের ক্ষেত। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌহালী ও শাহজাদপুরের নদী পারের মানুষ। তবে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।


আরও খবর



লালমনিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, অর্ধশত যাত্রী আহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্ল্যাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে আগের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক।

পরে লোকোশেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আহতদের মধ্যে দুজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আহতদের ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, লোকোশেড থেকে ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দিতে জোরে ধাক্কা লাগায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রী সামান্য আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় লোকো বিভাগের চালক গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেন নিয়ে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লোকো বিভাগ।

এ ব্যাপারে জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও খবর



লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ আল-দাবিবাহের বাসভবনে রকেট হামলা হয়েছে। তবে এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিবিয়ার একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ওই মন্ত্রী বলেন, গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রকেটচালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ভবনটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রাজধানী ত্রিপোলির দুই নাগরিক রয়টার্সকে জানান, ত্রিপোলির বিলাসবহুল হে আন্দালুস পাড়ার সমুদ্র তীরবর্তী জায়গায় তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। ওই এলাকায় প্রধানমন্ত্রী দবেইবার বাসভবন রয়েছে। এ ঘটনার পর হে আন্দালুস পাড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ২০১১ সালে ন্যাটো অভিযান শুরু করে। এরপর ২০১৪ সালের দিকে পূর্ব লিবিয়া ও পশ্চিম লিবিয়াদুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় দেশটি। দুই অংশের আলাদা আলাদা প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত বৈরি।

প্রধানমন্ত্রী দিবেইবার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যের সরকার বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছে। ২০২১ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দেশটিতে। কিন্তু সেই নির্বাচন এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, খুব শিগগির লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

চলতি মাসের শুরুর দিকে লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতারা বলেছিলেন, তারা একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। কারণ দিবেইবা জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় নির্বাচন ছাড়া নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা করবেন না।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



৭০ বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শয়তান ধূমকেতু

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

৭০ বছর পর পৃথিবীর আকাশের দিকে ধেয়ে আসছে একটি ধূমকেতু, যা মাউন্ট এভারেস্টের সমান বড়। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস যা ডেভিল কমেট বা শয়তান ধূমকেতু নামে বেশি পরিচিত।

সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় বিরল চেহারা দেখাবে শয়তান ধূমকেতু। আর ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। এ সময় সূর্য থেকে এর দূরত্ব থাকবে ৭ কোটি ৪৪ লাখ মাইল। এ ছাড়া আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ১৪ কোটি মাইল।

গত বছর এই ধূমকেতুটির ওপর বরফ ও গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে শিং এর মতো আকৃতি তৈরি হয় এরপর এর নামকরণ করা হয় ডেভিল বা শয়তান ধুমকেতু। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতর চলে আসে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদরা বাইনোকুলারের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং এর ছবি তুলছেন।

১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাঁদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে।

ধূমকেতুটি ২১ এপ্রিল নাগাদ তাওরাস নক্ষত্রপুঞ্জে হাজির হবে। তখন উত্তর গোলার্ধ থেকে সন্ধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে এটি দৃশ্যমান হবে। এ সময় এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিগন্তের কাছাকাছি প্রদর্শিত হবে।


আরও খবর