আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যৌন হয়রানি সহ্য করতে না পেরে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বরগুনা থেকে অলিউল্লাহ ইমরান

বরগুনা শহরের কলেজ সড়ক খামারবাড়ি এলাকায় বাড়ীর মালিকের ছেলের যৌন হয়রানি ও মিথ্যা বদনাম সহ্য করতে না পেরে সামিয়া নামের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মাকে চিঠি লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আজ সকাল ১০টার দিকে বাসার বাথরুম থেকে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্বার করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের ছেলে ২ সন্তানের জনক জামাল(৩২)কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সামিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, সামিয়ার বাবার সাথে মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ৫-৬ মাস পূর্বে দ্বিতীয় স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে কলেজের উত্তর পাশে খামার বাড়ির সামনে আবুল বাশার নামের জনৈক ব্যাক্তির বাসা ভাড়া নেয়। পাশে এক বাসায় আবুল বাশারের ছেলে জামাল স্ত্রী ও দুসন্তান নিয়ে বসবাস করছে।

স্থানীয়রা জানায়, জামাল প্রায়ই সামিয়া বাথরুমে গোসলে গেলে উকি দিয়ে দেখতো এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করতো। বিষয়টি সামিয়া তার মাকে এবং জামালের স্ত্রীকে জানায়। এলাকার অনেকেই বিষয়টি জেনে যায়। জামাল বাহিরে দেখলেই অশ্লীল মন্তব্য ও ইঙ্গিত করতো। উল্টো জামাল সামিয়ার বিরুদ্বে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে দেয়। দুদিন পূর্বে জামাল অশ্লীল মন্তব্য করলে সামিয়ার মা মোবাইলে জামালের বাবাকে জানায়।

সামিয়ার মা, সুমি আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, শনিবার বাথরুমে সামিয়া গোসলকরার সময় জামাল উকি দিয়ে দেখলে সামিরা পানি ছুড়ে মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাল অশ্লীল গালি দেয়।

আত্মহত্যার আগে সামিয়া তার মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করে,"মা আমার নামে তারা যে বদনান উঠিয়েছে তাতে আমি এই পৃথিবীতে থাকতে পারিনা। আমি একটি খারাপ মেয়ে, আমি নাকি খুব খারাপ। মা তুমি ভালো থেক। আমাকে কেউ বিশ্বাস করেনা তুমি ছাড়া।

 ইতি,তোমার, সামিরা।

বরগুনা সদর সার্কেল মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন গিয়ে জানান, আমরা একটি সুইসাইড নোট পেয়েছি! এবিষয়ে সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা রজু করা হয়েছে এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। এলাকাবাসী উত্তাক্ত্যকারী একজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তদন্ত করে আত্মহত্যার কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



ধানমন্ডির সপ্তক স্কয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তারা পৌঁছানোর আগেই ৪টা ৫০ মিনিটে আগুন নিভে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। তারা পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে গেছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



পাঁচ সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর হুমকির পরদিনই বদলি এসিল্যান্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটে জমি খারিজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় পাঁচ সাংবাদিককে অফিসে আটকিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জেল পাঠানোর হুমকির ঘটনায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমানকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ঠাঁকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বদলি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০ মিনিট পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিস গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ওই সহকারী কমিশনার সাংবাদিকদের দালাল’ বলে অপমান করতে থাকেন। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা সকলে ঘটনাস্থলে ত্যাগ করেন।

এদিকে ওই দিনে ক্ষিপ্ত হয়ে পিছনে থাকা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সনের মোটরসাইকেল আটকিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমান করেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান।

এ ঘটনার পর জেলার কর্মরত সংবাদকর্মীরা শহরের মিশনমোড়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেন।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে সাধারণ নিরীহ লোকজনকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ছাগল খোয়ারে দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও জমি খারিজের নামে সাধারণ লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার উজির মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।

এদিকে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন ও পাঁচ সাংবাদিককে আটক করে জেলে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।

সাংবাদিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তিনজন অফিস সহকারী ভূমি সংক্রান্ত শুনানি করছিলেন। সেখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন না। মাই টিভি ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সাংবাদিক মাহফুজ সাজু এ শুনানির ভিডিও ধারণ করেন। এতে অফিসের স্টাফরা ক্ষুদ্ধ হয়ে সহকারী কমিশনারকে ডেকে আনেন। সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের নির্দেশে সাংবাদিক মাহফুজ সাজুকে আটকিয়ে রাখেন।

সাংবাদিক আটকে রাখার খবর পেয়ে প্রেসক্লাব থেকে ৪ জন সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু, লিয়াকত হোসেন, নিয়ন দুলাল, এসকে সাহেদ, ফারুক আহমেদ ও কাওছার আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও অফিসে আটকে রাখা হয়।

সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে। এ তথ্য জানতে এসে সত্যতা পাই। এসিল্যান্ড আমাকে অফিসে আটকালে সহকর্মীদের ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এসিল্যান্ড তাদেরকেও অফিসে আটকিয়ে রাখেন। এসি ল্যান্ড সাংবাদিক সম্পর্কে খুবই অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।’

লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এটিএন বাংলা ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন স্বপন জানান, জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শুধু বদলিই নয় তদন্ত করে ওই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিকরা আন্দোলনে যাবেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান লাডলা বলেন, বদলি কোন শাস্তি হতে পারে না।’ তিনি তদন্ত করে ওই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার দাবি জানান।

সাংবাদিকদের অফিসে আটকিয়ে গালিগালাজ ও জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বলে তিনি দাবী করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন সাংবাদিকদের জানান, সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নোমানকে ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠাকুরগাঁও জেলায় বদলি করেছেন। তিনি আরও জানান, বিষযটি জেলা প্রশাসক খতিয়ে দেখছেন।


আরও খবর



আজ বিশ্ব পাই দিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বিশ্ব পাই দিবস। গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π) এর সম্মানে প্রতিবছর ১৪ মার্চ এ দিবসটি পালিত হয়। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর ১৪ মার্চকে সারা বিশ্বের গণিতবিদগণ পাই দিবস হিসেবে পালন করেন।

১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ পাই দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন। সান ফ্রান্সিকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা বলে তাকে পাই-এর রাজপুত্র বলা হয়। ২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়।

তবে বাংলাদেশে পাই দিবস উদযাপিত হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এই দিবস উদযাপন শুরু হয়। দেশের বেশকিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়।

ইউক্লিডীয় সমতলীয় জ্যামিতিতে, বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে পাই প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এ প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।

নিউজ ট্যাগ: পাই দিবস

আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যাতে মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।

একসময় কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।

সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, টেকসই ও উন্নতসেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।


আরও খবর