আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যৌন পেশা বিলোপের অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্পেনে যৌন পেশা বিলোপের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। গতকাল রোববার তিনি এ অঙ্গীকার করেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্পেনের ভ্যালেনসিয়ায় সোশ্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের কংগ্রেসের সমাপনীতে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন পেদ্রো সানচেজ। সেখানে তিনি দেশটিতে যৌন পেশা বিলোপের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। পেদ্রো সানচেজ বলেন, এই পেশা নারীদের দাস বানায়।

২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, স্পেনে যৌন পেশার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো। ২০০৯ সালের একটি জরিপে দেখা যায়, তিনজন স্প্যানিশ পুরুষের মধ্যে একজন যৌনতার জন্য অর্থ প্রদান করেন। তবে ২০০৯ সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে এ সংখ্যা ৩৯ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

জাতিসংঘের ২০১১ সালের এক গবেষণায় বিশ্বে যৌন পেশার তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র হিসেবে স্পেনের নাম উঠে আসে। এ তালিকায় প্রথমে রয়েছে থাইল্যান্ড, দ্বিতীয় পুয়ের্তো রিকো। স্পেনে বর্তমানে অনেকটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে যৌন পেশা পরিচালিত হচ্ছে। স্পেনে প্রায় তিন লাখ নারী যৌন পেশায় জড়িত বলে ধারণা করা হয়।

২০১৯ সালে পেদ্রো সানচেজের দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যৌন পেশাকে অবৈধ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অধিকসংখ্যক নারী ভোটারকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে দলটি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে মনে করা হয়।

পেদ্রো সানচেজের দলের নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের যৌন পেশায় আসার বিষয়কে দারিদ্র্যের অন্যতম নিষ্ঠুর দিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। এতে আরও বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতার অন্যতম একটি নিকৃষ্ট দিক হলো যৌন পেশা।

নির্বাচনের দুই বছর পার হলেও এখনো দেশটিতে যৌন পেশাকে বিলোপ করার ঘোষণাসংক্রান্ত কোনো আইন পার্লামেন্টে তোলা হয়নি।


আরও খবর



জামালপুরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্জিনা বেগম (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের জামালপুর-সরিষাবাড়ি সড়কের জোকারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মর্জিনা বেগম মেস্টা ইউনিয়নের হাসিল কালিদহেরপাড়া জোরন মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরো ৩ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- নিহত মর্জিনার ছেলে মারুফ, অটোরিকশার ড্রাইবার কালিবাড়ি ইউনিনের সোনাকাথা গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে আকাশ, সরিসাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার মৃত নাছির খানের ছেলে নাঈম খান।

জামালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মর্জিনা বেগম তার অসুস্থ ছেলে মারুফকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে অটোরিকশা দিয়ে জামালপুর যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি জোকারপাড়া এলাকা অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মর্জিনা বেগমের। অটোরিকশা চালকসহ গুরুতর আহত আরো ৩ জনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বালুবাহী ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায় ট্রাকের ড্রাইভার। 

ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, বালুবাহী ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মর্জিনা বেগমের মৃত্যু হয়ছে। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণী উদ্ধার, আটক এক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভনে ফরিদপুরের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলা রুজু হয়। পরে পুলিশ পাচার চক্রের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান। গ্রেফতার পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) আসাদ শেখের স্ত্রী ও রথখোলা যৌনপল্লীর বাসিন্দা। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, পার্লারে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানার কড়ইশ এলাকা থেকে ওই তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন (৩০) নামে এক যুবক। এরপর দুইদিন ঢাকায় রেখে ১২ মার্চ তাকে ৩ জন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। এরপর তারা ওইদিন সন্ধ্যায় ফরিদপুরে এনে রথখোলার পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।

পরদিন একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পারু তাকে জানান, এখন থেকে তিনি রথখোলা যৌনপল্লীর লাইসেন্সধারী সদস্য। এরপর পারু তার বাসায় রেখে শহরের গোয়ালচামট খোদাবক্স রোডের বাসিন্দা ইলিয়াস কসাইয়ের স্ত্রী যৌনকর্মী সর্দারনী ববি (৩৮) ও অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে জোরপূর্বক খরিদ্দারদের কাছে পাঠাতে থাকেন।

তবে মেয়েটি একজন খরিদ্দারকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর ওই খরিদ্দার তার ছোটবোনকে ফোন করে মেয়েটিকে যৌনপল্লীতে আটকে রাখার বিষয়টি জানান। এ খবর পেয়ে মেয়েটির মা তার এক ফুফাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ২২ মার্চ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এসে তার মেয়েকে দেখতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে চাঁদপুরের মেয়েটিকে উদ্ধারের সময় চাকরির কথা বলে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে পুলিশ তাকেও উদ্ধার করে।

ফেনীর ওই মেয়েটি জানান, তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জহির (৩০) নামে এক যুবক ফেনী থেকে এনে প্রথমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় অজ্ঞাতনামা বাসায় এক রাত রাখেন। পরে তাকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে অর্থের বিনিময়ে যৌন ব্যবসা করান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের ওই মেয়েটির মা রথখোলা যৌনপল্লীর পারুল বেগম ওরফে পারু, আপন, জহির ও ববিকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। ওই এজাহারের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদারকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।

ওসি জানান, উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল তরফদার অভিযান চালিয়ে ২৪ মার্চ মামলার মূল আসামি পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর নং-৫৪ দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুই আসামি আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে এবং আরও বেশি সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (০২ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত এবং চলবে।

এ সময় হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।

মন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুজন ছাড়াও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আটজন ভর্তি আছেন। এরমধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। এতে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের সোনালিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মহেড়া রেল স্টেশন অফিসার সোহেল মিয়া বলেন, সকাল ৭টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইল স্টেশন থেকে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঘটনাস্থলে এলে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।

টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটির পরিচালক মুহাম্মদ ওমর আলী বলেন, সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি বিকল হয়েছে। ফলে সব ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এলে এরপর ট্রেনটি সরানো হলে চলাচল স্বাভাবিক হবে।


আরও খবর



জলদস্যুদের আক্রমণের আদ্যোপান্ত চিফ অফিসারের গোপন অডিও বার্তায়

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা বাংলাদেশের পতাকাবাহী এম ভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই গোপনে জাহাজ মালিকের কাছে এক অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন চিফ অফিসার মো. আবদুল্লাহ। ৩ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ওই অডিও বার্তায় জলদস্যুদের কবলে পড়ার পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন জাহাজ ও তাদের বর্তমান পরিস্থিতিও।

মো. আবদুল্লাহ তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজটিতে খাবার পানির পরিমাণ কম। আবার যেসব কার্গো রয়েছে সেগুলোও বিপজ্জনক। রয়েছে অগ্নিঝুঁকিও। সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার পর কার সঙ্গে কী আচরণ করেছে তাও বর্ণনা করেছেন তিনি।

তার অডিও বার্তাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আসসালামুলাইকুম স্যার, আমি চিফ অফিসার আবদুল্লাহ বলছি।

আজকে সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় একটা হাইস্পিড বোট আমাদের দিকে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এলার্ম দিয়ে ব্রিজে গেলাম। ওখান থেকে পরে সিটে চলে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএসএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যুরা চলে আসলো।

চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। আমাদের ডাকল। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু গোলাগুলি করল। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারো গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর ওরা আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসল। এভাবে মুহূর্তেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে।

এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ইরানিয়ান ফিশিং বোট নিয়ে আরও জলদস্যু চলে আসে। ইরানিয়ান ওই ফিশিং বোটটি এক মাস আগে তারা জিম্মি করেছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ জিম্মি করার জন্য সাগরে ঘোরাঘুরি করছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সামনে পড়ে গেলাম।

এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জাহাজে থাকা পাম্প দিয়ে কিছু ডিজেল নিয়ে ওই বোটে দিয়েছে তারা। তেল দেওয়ার পর আমাদের জাহাজে উঠে জিম্মি করা ফিশিং বোটটিকে ছেড়ে দেয়।

তারপর ওরা আমাদের সেকেন্ড ও থার্ড অফিসারকে নিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে যায়। তাদের নিয়ে গিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই ভয়ে আছি। ওরা খুব ভয় দেখাচ্ছে।

আমাদের জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার পানি আছে। প্রায় ২০০ মেট্রিক টনের মতো। সবাইকে বলেছি, এগুলো একটু সাবধানে ব্যবহার করতে। শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ব আমরা। তবে, একটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের জাহাজে কিছু কোল্ড কার্গো আছে। প্রায় ৫৫ হাজার টন। এগুলো একটু ডেঞ্জারাসও। ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। মিথেন বাড়ে। লাস্ট যখন অক্সিজেন মেপেছি তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল পেয়েছি। এটি নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কোনো কারণে অক্সিজেন লেভেল বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে। এটার একটু ব্যবস্থা করবেন, স্যার।

আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামুলাইকুম।


আরও খবর