ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে রোববার থানায় মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে।
উপজেলার এক নম্বর সদর ইউনিয়নের চরশিহারি গ্রামের রিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে শিউলি আক্তার। গত ৮ মাস আগে শিউলিকে বিয়ে করে নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঝগড়াকান্দা গ্রামের মৃত লাল চান মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া ওরফে রফিকের (২০) সাথে। রাজন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক।
বিয়ে সময় ৪৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও গত রমজানের পূর্ব থেকে যৌতুক চেয়ে শিউলির উপর নির্যাতন শুরু করে তার শশুর বাড়ির লোকজন। ২০ হাজার টাকা, খাট, সুকেস, আলনা, বাসনকোসনও যৌতুক হিসেবে চাইলে দিতে অস্বীকার করে শিউলে। সে কারণে শুরু হয় তার ওপর অমানবিক নির্যাতন। গত শুক্রবার শিউলি শ্বাশুড়ি, ননদ ও জারুমা আক্তার মিলে মারধর করে। বাজার থেকে এসে স্বামী রাজনও মারধরে যুক্ত হয়। হাত-পা বেঁধে মারধর করার পর শিউলির শরীরে ক্ষত স্থানে মরিচের গুঁড়া ঢালা হয়। শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হলে হাতপা বাধা অবস্থায় পুকুরে হামাগুড়ি দিয়ে নেমে যায় শিউলি।
এরপর শুক্রবার রাতে শিউলিকে চরশিহারি গ্রামে তার বাবার বাড়ির সামনে রেখে পালানোর চেষ্টা করে স্বামী রাজন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আটকে রাখে। পরে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নির্যাতিতা শিউলি আক্তার বলেন, যারা নির্যাতন করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। দু’জনকে আসামী করে মামলাটি হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।