আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

হাত বদলের পরিক্রমায় জমিতে ১০ টাকা কেজির সবজি ঢাকায় ৮০

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামের বর্গাচাষি রকিবুল ইসলাম। একবিঘা জমিতে চাষ করেছে ধুন্দল (স্থানীয় ভাষায় মিষ্টি পোল্লা)। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার স্থানীয় বারোবাজার ও চৌগাছা হাটে ৪০ কেজি ধুন্দল বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকা। বেপারীকে ডলতা (দাম ছাড়া ফাউ) দেয়া লেগেছে আরো ৫ কেজি। অর্থাৎ প্রতি কেজি দাম পড়েছে ১০ টাকারও কম। অথচ এই ধুন্ধল ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।  সেখানে দেখা গেছে, পরিবহন ও চাঁদার টাকা পরিশোধের পর ঢাকায় পৌঁছাতে এক কেজি সবজিতে খরচ হয় মাত্র ৫ টাকা। যদিও বেপারীদের দাবি, তাদের খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ টাকা। এর মধ্যে জ্বালানিতেই যায় ১ টাকা ২০ পয়সা। এরপর ফড়িয়া, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে পৌঁছাতেই দাম বেড়ে হয়ে যায় ৮০ টাকা।

শুধু ধুন্দল নয়- ঢাকার বাজারে জনপ্রিয় সবজি পটোল, বেগুন ও কাঁচকলা কেনাবেচার ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় বাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে যায় ৪ গুণ। যা কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের। বাজারে প্রতিনিয়তই ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। খাবারের তালিকায় সবজি রাখাটাই যেন এখন বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারের ওপর কঠোর নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কনজ্যুমার অ্যাসোশিয়েসন অব বাংলাদেশ (ক্রাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মধ্যস্বত্ত ভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে সবজির প্রকৃত দাম থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফল ভোগ করা লাগছে ক্রেতাদের। লাভবান হচ্ছে ফড়িয়া, আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। তিনি বলেন, এ সমস্য থেকে উত্তরণের জন্য বাজার নজরদারি আরো কঠোর করতে হবে। একই সঙ্গে পথের চাঁদাবাজিও বন্ধ করতে পবে। তাহলে ক্রেতারা একটু স্বস্তি পাবে।

জানা গেছে, যশোর ও ঝিনাইদহে দুটি বড় হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- বারিনগর ও বারোবাজার। শনি ও মঙ্গলবার বারোবাজারে হাট বসে এবং রবি ও বুধবার বারিনগরে বাজার বসে। এই দুই হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসেন। স্থানীয় অন্তত শতাধিক গ্রামের কৃষকরা এ দুটি বাজারে সবজি বিক্রি করে থাকেন। এ দুটি বাজার ছাড়াও আরো কয়েকটি বাজার রয়েছে। কিন্তু দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা এ দুটি বাজারকে বেশি পছন্দ করেন। এ কারণে বাজার দুটিতে পাইকারদের আনাগোনা বেশি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি হাটেই বাজার দুটি থেকে অন্তত অর্ধশত ট্রাক সবজি বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে বেশি সবজি আসে ঢাকার কারওয়ান বাজার ও মিরপুরে। স্থানীয় ট্রাক ড্রাইভার মো. মিন্টু বলেন, ৫ টনের একটি ট্রাক ভাড়া নেয়া হয় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। ফেরি ভাড়া ২১শসহ লাইন খরচ (বিভিন্নস্থানে চাঁদা) দিয়ে ব্যয় হয় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। তেল খরচ হয় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। একটি ৫ টনের ট্রাকে ৫৪০০ কেজি সবজির ধারণক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু বাস্তবে এসব ট্রাকে কোন কোন সময় ১০ টনেরও বেশি সবজি পরিবহন করা হয়। সে হিসাবে ১০ হাজার ৮০০ কেজি সবজি বহনে প্রতি কেজিতে ব্যায় হয় ১ টাকা ৮০ পয়সা।

জানা গেছে, স্থানীয় বারোবাজারে প্রতিমণ (পাইকারি) পটোল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮৫০, ধুন্দল ৪০০, বেগুন (কালো গোল) ১৬০০, কাঁচকলা ১২০০ টাকা। মণপ্রতি ক্রেতার খাজনা দেয়া লাগে ৮ থেকে ১০ টাকা। অথচ ঢাকার বাজারে এ ধরনের সবজি স্থান ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাঝারি গোল কালো বেগুনের দাম কোথাও ১০০ টাকাও ছাড়িয়েছে বলে অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে। এর পেছনের কারণ হিসাবে সবজি পরিবহনে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ডিজেলের দাম বাড়ার দোহাই দিয়ে পরিবহন ব্যবসায়ীরা বাড়তি খরচের চেয়ে আরও অনেক বেশি ট্রাক ভাড়া আদায় করছে। ফলে সবমিলিয়ে সবজিসহ সব ধরনের কাঁচামালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে কোনো সবজি শহরকেন্দ্রিক ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয়। হাতবদল, যান ব্যবহার ছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফালোভী মনোভাব, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যানজটসহ নানাবিধ কারণে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পায়। পাইকারি ক্রয়মূল্যের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি লাভ করার প্রবণতা খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে।

সূত্রমতে, দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের সবজির চাহিদার বড় অংশ পূরণ করা হলেও সেখানে তেমন বড় কোনো পাইকারি বাজার নেই। যার কারণে রংপুর, নাটোর, বগুড়া ইত্যাদি জেলা থেকে সবজি গাড়িতে করে বড় পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসার আড়তে আসে। এখান থেকে আবার হাত বদল হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা শহরে এসব সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে আরেকদফা অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় ও হাত বদলের কারণে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাওরান বাজার থেকে পুনরায় পণ্য পাইকারি বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নেন, তাদের পণ্যবাহী বাহনেও বিভিন্ন রকমের খরচ করতে হয়। প্রথমেই তাদের পিকআপকে ২/৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কাওরান বাজার স্ট্যান্ডে বাৎসরিক ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এছাড়া প্রতি ট্রিপে শতকরা ১০ টাকা হারে স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণকারীদের দিতে হচ্ছে। কাওরান বাজারে চারশ বর্গফুট জায়গা প্রতিরাতের জন্য ভাড়া ২ হাজার ১শ টাকা এবং একই জায়গায় প্রতিদিনের জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। যা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।

সূত্রমতে, বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাককে ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। এর মধ্যে বগুড়া পৌরসভার ৫০ টাকা টোল দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়। এরপর শেরপুর ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ ট্রাক মালিক-শ্রমিক সমিতিতে ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ শহরে গাড়ি ঢুকলে ৫০ টাকা, সিরাজগঞ্জ মোড় হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, যমুনা সেতু গোল চত্ত্বর হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, টাঙ্গাইল মোড় হাইওয়ে পুলিশ খরচ (মাসিক) ৫০০ টাকা, আমিনবাজার, সাভার (লাঠিয়াল বাহিনী) প্রতি ট্রিপ এক থেকে ২০০ টাকা, কাওরান বাজার পার্কিংয়ে ৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি ট্রিপে যুমনা সেতুর টোল ১৪০০ টাকা রয়েছে।

এর বাইরে বগুড়ার মহাস্থানহাট থেকে ঢাকায় আসায় প্রতিটি ৫ টনের ট্রাকের প্রতি ট্রিপে ডিজেলে সাড়ে ছয় হাজার টাকা, চালক-হেলপারের বেতন দুই হাজার টাকা এবং রোড খরচ দুই হাজার টাকা খরচ হয়। যদিও ৫ টনের ট্রাকে সাধারণত ১০ থেকে ১২ টন সবজি পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রাক চালকদের দেওয়া তথ্যমতে, একটি ৫ টন ট্রাক এক লিটার ডিজেলে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার যায়। ৩ টন মিনি ট্রাক এক লিটারে যায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। এক থেকে দুই টন পিকআপ এক লিটারে যায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার। এ হিসেবে মহাস্থানহাট থেকে ২০২ কিলোমিটার দূরত্বে ঢাকা যেতে গড়ে ডিজেল লাগে ৫ টন ট্রাকের ৮০ থেকে ৮১ লিটার। সম্প্রতি ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় সমন্বয় করায় বর্তমানে ডিজেল বাবদ খরচ হয় ৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির আগে খরচ হতো ৫ হাজার ২৫২ টাকা। এ হিসেবে বর্তমানে ডিজেল বাবদ অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২১২ টাকা। যেহেতু অন্যান্য খরচ আগের মতই রয়েছে, সেহেতু ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ৫ টনের একটি ট্রাকের ভাড়া সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অথচ ট্রিপপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যার কারণে কাঁচামালের বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।

নিউজ ট্যাগ: যশোর

আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের বায়েজিদ টেক্সটাইল এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় লাগা আগুন ২ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কোরিয়ান গার্মেন্টস নামের ওই কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



নতুন গাড়ি কিনে আলোচনায় নীতা আম্বানি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নীতা মুকেশ আম্বানি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী। তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারপার্সন ও প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানির স্ত্রী।

বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত নীতা আম্বানি। দামি শাড়ি, গয়না, জিনিসপত্র, বিমান, জুতা, ঘড়ি সব কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে নীতা আম্বানির। সম্প্রতি ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিবাহ অনুষ্ঠানের পর ফের আলোচনায় এলেন তিনি।

সম্প্রতি বিলাসবহুল রোজ কোয়ার্টজ শেডের Rolls Royce Phantom VIII EWB গাড়ি কিনেছেন নীতা আম্বানি। প্রায় ১২ কোটি টাকা দামের গাড়িটির ডিজাইনেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল চর্চা চলছে এই গাড়ি নিয়ে। গাড়িটি কাস্টোমাইজ করা, তাই আসলে কত দাম পড়েছে সেটা এই মুহূর্ত অনুমান করা যাচ্ছে না।

ভারতে এই বিলাসবহুল সেডানের গাড়ির দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা (অন-রোড)। কাস্টমাইজেশন বিকল্পগুলির জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। নীতা আম্বানি যে বিলাসবহুল সেডানটি কিনেছেন সেটিক সবচেয়ে বিশেষ জিনিস হল এর রং। এর লোয়ার বডি রোজ কোয়ার্টজ এবং আপার বডি ভেলভেট অর্কিড।


আরও খবর



কাল খুলছে অফিস-আদালত, বাস-ট্রেনে শহরমুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষ হচ্ছে। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। এরইমধ্যে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারছেন তারা।

মাথায় কাজের তাড়না, মননে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুখস্মৃতি। ফেলে আসা আপনজন আর ঈদের আনন্দ। সব পেছনে ফেলে আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ যেহেতু খুলছে আগামী সপ্তাহে, তখন রাজধানী স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে যারা, নানা ব্যস্ততায় ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি তারাও ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর