আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা চলবে : নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে হামাস বর্তমান সংঘাতের সূচনা করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যহত থাকবে। তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার নেতানিয়াহু বলেন, এই সংঘাতের জন্য অপরাধবোধে ভোগার কথা তাদের, যারা আমাদের ওপর হামলার মাধ্যমে এটি শুরু করেছে, আমাদের নয়। অভিযানের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি আমরা, এটা শেষ হয়নি। যতদিন প্রয়োজন অভিযান অব্যহত থাকবে।

নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মাত্রা বেড়েছে। গাজায় হামাসপ্রধানের বাড়িতে বোমা মেরে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালেও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় তিনজন নিহত হয়েছে।

গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা চালানোয় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।

টেলিভিশন বক্তৃতায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। পক্ষান্তরে আমরা সাধারণ মানুষের মৃত্যু এড়াতে বা কমাতে যা যা করা দরকার সব করছি। শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হচ্ছে।

এদিকে সাম্প্রতিক এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আজ রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৪৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১টি শিশু রয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহতের কথা জানা গেছে।

সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখল করে নিতে চায়। এ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর দুদিন পর শবে কদরেও আল-আকাসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত সোমবার (১০ মে) সেখানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।



আরও খবর



ভারত : বিতর্কিত সিএএ’র বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিটিজেনশিপ অ্যামন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস- সিএএ) বাস্তবায়ন স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশের জবাব দিতে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ মঙ্গলবার নোটিশটি জারি করে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

পার্লামেন্টে পাস হওয়ার চার বছর পর, গত ১১ মার্চ দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন বিজেপি; কিন্তু তার পরপরই বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করে বিরোধী দলগুলো। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। আইনটি স্থগিতের জন্য বিজেপিকে আল্টিমেটাম দিয়েছে তামিলনাড়ু, কর্ণাটকসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলোও।

সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১১ মার্চ আইনটি কার্যকরের আদেশ দেওয়ার পর থেকেই সেটি স্থগিতের জন্য আপিল আসতে থাকে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি আপিল জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এসব আপিলে স্বাক্ষর রয়েছে অন্তত ২৩৭ জন আবেদনকারীর।

মঙ্গলবার এসব আপিলের ওপর ওপরই শুনানি ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত যেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে এমন আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাদিপক্ষের আইনজীবী দলের অন্যতম সদস্য নিজাম পাশা বলেন, আইনটি পাসের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভারতের মুসলিমরা। তাদের মধ্যে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে বিজেপি সরকার ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায় এবং সিএএ হলো সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।

তবে বাদিপক্ষের এই যুক্তির পাল্টায় ভারতের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা (সলিসিটর জেনারেল) তুষার মেহতা দাবি করেন, সিএএর মাধ্যমে কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার উপায় নেই।

উভয়পক্ষের তর্ক ও যুক্তি উপস্থাপন শেষে সুপ্রিম কোর্ট সিএএ কার্যকর করা কেন অবৈধ হবে না মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেন। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

২০১৯ সালে পার্লামেন্টে সিএএ পাস করে তৎকালীন বিজেপি সরকার । এ আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের যেসব লোকজন সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও নিপীড়ণের মুখে টিকতে না পেরে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ভারতে প্রথমবার নাগরিকত্ব আইন পাস হয় ১৯৫৫ সালে। সেই আইন অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ভারতে আসা যেসব ব্যক্তি বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন এবং অন্তত ১ বছর টানা থেকেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন করা হবে। সিএএতে ১১ বছরের মেয়াদকালকে কমিয়ে ৫ বছরে আনা হয়েছে।

২০১৯ সালে আইনটি পাসের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন ভারতীয় দল ছিল সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ব্যাপক বিরোধী।

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকেই মূলত আপত্তি উঠেছিল সিএএ নিয়ে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সিএএ কার্যকর হলে শরণার্থীদের ভিড় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার ফলে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত সমস্যা প্রকট হতে পারে। নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই অনেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

পাশাপাশি আইনে মুসলিমদের বাদ দেওয়া নিয়েও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ ভারতে সিএএ বিরোধিতার মূল কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিল উদ্বাস্তুদের বাদ দেওয়া।

সিএএ বিরোধিতাকারীদের অভিযোগ, আইনটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। কেননা, এ আইনে ধর্মীয় কারণে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না; বরং যারা ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে এ দেশে চলে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

২০১৯ সালে আইনটি পাস হওয়ার পর রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা হয়েছিল। এসব দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।


আরও খবর



বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে মোদী সরকার।

সোমবার (৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিজিএফটি) এই তথ্য জানিয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছিলেন, এই সপ্তাহেই ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বন্ধুপ্রতীম কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এসব দেশের অনুরোধের ভিত্তিতেই অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। আর এই রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে।

এনসিইএল ভারতের একটি আন্তঃরাজ্য সমবায় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য়ে গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন, ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারেটিভ লিমিটেড, কৃষক ভারতী কো-অপারেটিভ লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এই সমবায়ের আওতায় রয়েছে।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় বিজেপি সরকার। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।

এর আগে, পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজের অনুমতি দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের জানান, রোজার আগেই ভারত থেকে দেড় লাখ টন চিনি ও পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় ভারত সরকার বলে, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ওই বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রুপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কোটি করে টাকা দিতে নোটিশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন এবং নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (০৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে ডাকযোগে এই লিগাল নোটিশ পাঠান।

এতে বলা হয়েছে, একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা না করায় এবং যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণেই এ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; ৪৬ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ কোনোক্রমেই তাদের দায় এড়াতে পারে না। ঠিক কার ব্যর্থতার কারণে এই অগ্নিকাণ্ড হয়েছে তা খুঁজতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ও আহতদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।

নোটিশ গ্রহণের পাঁচ দিনের মধ্যে কী ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লিখিতভাবে নোটিশ দাতাকে জানাতে বলা হয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। ভয়াবহ ওই আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



জাতীয় পাট দিবসে পুরস্কার পেয়েছেন ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাট খাতের সমৃদ্ধির ধারা চলমান রাখতে এবং এই খাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ বছর পাট দিবসে ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পাট দিবস ২০২৪ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

পাটক্ষেত উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ বছর পাট দিবসে ১১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

যেসব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়

১. পাটবীজ, পাট ও পাটজাত পণ্যের গবেষণায় সেরা গবেষক/ বিজ্ঞানী/ উদ্ভাবক ২. সেরা পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষি ৩. সেরা পাট উৎপাদনকারী চাষি ৪. পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল ৫.পাটজাত পণ্য রফতানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান ৬.পাটের সুতা উৎপাদনকারী সেরা পাটকল ৭.পাটের সুতা রফতানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান ৮. বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী সেরা পাটকল ৯. বহুমুখী পাটপণ্য রফতানিকারক সেরা প্রতিষ্ঠান ১০.বহুমুখী পাটপণ্যের সেরা মহিলা উদ্যোক্তা এবং ১১. বহুমুখী পাটজাতপণ্য উৎপাদনকারী সেরা পুরুষ উদ্যোক্তা।


আরও খবর



রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানাল পাকিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রমজানের। পবিত্র এ মাসটিকে স্বাগত জানাতে ইতোমধ্যে নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানরা। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে পাকিস্তান। রোববার (০৩ মার্চ) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আর দুই সপ্তাহও বাকি নেই। পাকিস্তানে আগামী ১২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জাওয়াদ মেনন জানান, দেশটিতে রমজানের অর্ধচন্দ্রের জন্ম হবে আগামী ১০ মার্চ। তবে এদিন তা দেখা যাবে না। খালি চোখেই পরের দিন ১১ মার্চ রমজানের চাঁদ দেখা যাবে।

দেশটির এ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানান, পাকিস্তানে প্রথম তারাবি ১১ মার্চ রাতে হবে। ১২ মার্চ রোজা শুরুর ৯৫ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে।

পাকিস্তানের নিয়মানুযায়ী, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে রুয়েত-ই-হিলাল কমিটি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার ঘোষণা দিয়ে থাকে। চাঁদ ওঠার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করতে অন্যান্য আঞ্চলিক কমিটির সঙ্গেও যোগাযোগ করে থাকে।

ইসলামী দেশগুলো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে পবিত্র রমজান শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে। চলতি বছরে রমজান শুরুর তারিখ নির্ধারণে আগামী ১০ মার্চ আরব বিশ্বসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, এ দিন চাঁদ দেখা যাবে না। এর পরিবর্তে আগামী ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে আগামী ১২ মার্চ রোজা রাখা শুরু হবে। গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী আগামী ১০ মার্চ সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র।


আরও খবর