যুক্তরাষ্ট্রে
একের পর এক বন্দুক হামলার পরও থামছে না অস্ত্র বিক্রি। বরং মাশরুমের মতো বাড়ছে অস্ত্র
তৈরির কারখানা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনবিরোধীদের
লবিং শক্তিশালী হওয়ায় দৌরাত্ম্য বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০২০ সালে অস্ত্র ব্যবসা বাড়াতে ন্যাশনাল শুটিং স্পোর্টস ফাউন্ডেশন
একাই লবিংয়ের জন্য খরচ করেছে অন্তত ৫০ লাখ ডলার।
একদিনেই ১৫টি বন্দুক সহিংসতা- যুক্তরাষ্ট্রে। গেল ৪ জুলাই দেশটির স্বাধীনতা দিবসেই রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, টেক্সাস, বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়াসহ ১৩ অঙ্গরাজ্যে বন্দুক সহিংসতায় প্রাণ হারায় ১৫ জন, আহত প্রায় ১শ’। দু’সপ্তাহ পার না হতেই ফের একইদিনে ইন্ডিয়ানা, মিশিগান, ইলিনয়েস ও ওয়াশিংটন ৪ অঙ্গরাজ্যে বন্দুক সহিংসতা।
আরও পড়ুন: কোরআন পোড়ানো নিয়ে যা বললেন পোপ ফ্রান্সিস
বিশ্বে এখন
বন্দুক সহিংসতায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণধর্মী
প্রতিবেদন বলছে, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আইন থাকার পরও ২০২০ থেকে ২০২২- দু’বছরে দেশটিতে ৬ কোটি অস্ত্র বিক্রি
হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুন বেড়েছে অস্ত্র বিক্রি।
গার্ডিয়ান জানায়, এর পেছনে রয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ী আর লবিস্টদের দৌরাত্ম। মার্কিন কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কাজ করছে ন্যাশনাল শুটিং স্পোর্টস ফাউন্ডেশন- এনএসএসএফ। যাদের সদস্য ১০ হাজার অস্ত্র প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী। আর অস্ত্র সংক্রান্ত যেকোনো আইনী লড়াইয়ে রয়েছে ৫ জন ফুলটাইম লবিস্ট। লবিং চলে অর্থের বিনিময়ে। তথ্য বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ মাত্র এক বছরে ৫০ লাখ ডলার খরচ করেছে লবিংয়ের জন্য।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রেকর্ড রাশিয়ার
ডেমোক্র্যাট
নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সুবিধা করতে না পারলেও নিম্নকক্ষে অস্ত্র সংক্রান্ত
আইন-বাজেটসহ যেকোনো ইস্যুতে অর্থ দিয়ে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানদের লবিস্ট হিসেবে ব্যবহার
করছে সংস্থাটি।