আজঃ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে মায়ের জন্মদিন উদযাপন করলেন জয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার গলফ ক্লাবে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে জন্মদিন উপলক্ষে নৈশভোজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার ভোরে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

নৈশভোজে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ভার্জিনিয়ায় আমার গলফ ক্লাবে পরিবারের সঙ্গে মায়ের জন্মদিনের নৈশভোজে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

এদিকে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ কন্যা।


আরও খবর



সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তসহ আটক ৪

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।

অন্য দুজন হলেন: একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও প্রাইভেটকার চালক মো. সেলিম।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়। রোববার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তারাসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন সাংবাদিক। ২৯ আগস্ট আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।

একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। আমাকে আমার স্যার মোজাম্মেল হোসেন বাবু সীমান্তে দিয়ে আসার কথা বলেন। তারপর আমি নিয়ে আসার পথে দশটি মোটরসাইকেল পথ রুদ্ধ করে। আমাদেরকে আটকিয়ে কিলঘুষি দিয়ে, আমাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা চেক করে সবকিছু নিয়ে যায়। কি কি নিছে আমি বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া বলেন, তাদেরকে সাধারণ জনগণ সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে সকাল ৬টার দিকে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। আটককৃত চারজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।


আরও খবর



গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন।

আজ রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার মাঝিগাতিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ হেল বাকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন বাসযাত্রী নিহত হন ও ২৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কাশিয়ানী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার রেজাউল মাওলা ও কাশিয়ানী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সেলিম মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত নিহত ৫ জনের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সামাদ আলী (৪০), তানিয়া আফরোজ, সাকিবুর রহমান (৩৫) ও রহিজ শেখ (২৪)। নিহতেরা সবাই বাসের যাত্রী ছিলেন।

কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক সেলিম মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ৫ জনের মধ্যে চারজনের নাম শনাক্ত করতে পেরেছি। এরমধ্যে নিহত তানিয়া আফরোজ এবং তার বোন চহুরা একই বাসে ছিলেন। তাদের দুই বোনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তবে তিনি তানিয়া না কি চহুরা সেটি আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



সারাদেশে বাদ পড়ছেন ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করতে যাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকর্তা দেশের ৬৪ জেলার অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার তাদের বাদ দিয়ে নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে নিয়োগপ্রত্যাশীদের তালিকা প্রণয়নের পাশাপাশি জীবনবৃত্তান্তসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করছে আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয়। চলতি সপ্তাহে একযোগে বা পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার বলেন, কিছু কিছু তালিকা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন মন্ত্রণালয়ের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আইন উপদেষ্টার কাছে নিয়োগপ্রত্যাশী অনেকে নাম ও তালিকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর আইন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। সে হিসেবে এবারও পরিবর্তন হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে। শিগগিরই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আদালতের বিচারকাজেও। বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের চাপের মুখে বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া আইন কর্মকর্তারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অধিকাংশ এখন আদালতেও আসছেন না। একইভাবে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পক্ষেও আদালতে আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে চাইলেও তাঁকে বা তাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছাড়াই আদালতে বিচারকাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিলেও তারা আসামির বিরুদ্ধেই শুনানি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লিগ্যাল এইডের আইনজীবীদের নিয়োগের জন্য আদালতগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় ও সলিসিটর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় জিপি-পিপি, অতিরিক্ত পিপি-অতিরিক্ত জিপিসহ প্রায় ২ হাজার ৮০০ আইন কর্মকর্তা রয়েছেন। আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদকাল সরকারের সন্তুষ্টিকাল পর্যন্ত। এ প্রেক্ষাপটে ৬৪ জেলা আদালতে আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগপ্রত্যাশীর তদবির শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা প্রায় প্রতিদিনই আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছে তালিকা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতারা এরই মধ্যে তালিকা দিয়েছেন। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম দিয়েছেন।

আইন কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছে। তবে কোনো সরকারই স্থায়ী নিয়োগের জন্য আইন করেনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের লক্ষ্যে আইনের খসড়া করলেও পরবর্তী সময়ে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, বর্তমানে জিপি, পিপি ও বিশেষ পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা। জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া মামলার শুনানির জন্য পিপি ও বিশেষ পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৬০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। অতিরিক্ত  জিপি ও অতিরিক্ত পিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ১২ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৯ হাজার টাকা। অতিরিক্ত জিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত পিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ৫০০ টাকা ও অর্ধদিবসের জন্য ৩০০ টাকা। এজিপি, এপিপি ও এলজিপিদের মাসিক রিটেইনার ফি বিভাগীয় শহরের ক্ষেত্রে ৬ হাজার টাকা ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে ৪ হাজার টাকা। এজিপি ও এলজিপিদের মামলাপ্রতি মাসিক ভ্যালুয়েশন ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। মামলার শুনানির জন্য এপিপিদের দৈনিক ফি পূর্ণ দিবসের জন্য ২৫০ টাকা; অর্ধদিবসের জন্য ১৫০ টাকা।


আরও খবর
সাবেক এমপি জর্জ ৩ দিনের রিমান্ডে

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন রয়েছে।

সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।

নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে।

এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আশুলিয়ায় ৯০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শ্রমিকদের দাবি মেনে তাদের টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তারনিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

প্রশাসন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

এর আগে গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নানা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে কমপক্ষে ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর সোমবার সকাল থেকে এ বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে অন্তত ৯০টি কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এরপর মালিকরা দাবি মেনে নেওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে কারখানাগুলোতে।


আরও খবর



প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা করুন: আযম খান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমদ আজম খান বলেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ যা জনগণের স্বাধীন ভাব মতপ্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা এ ধরনের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ, যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।

সিলেটের কৃতি সন্তান এম সাইফুর রহমান দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, আমি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করছি। সিলেটের সাহসী বীর পুরুষ এম ইলিয়াস আলী সহ ৫২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী গুম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। অবিলম্বে আমরা তাদের সন্ধান চাই। তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলেন, দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট দিতে পারে নি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে, নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষনা করুন।

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র-যার ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপোষহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গণআকাঙ্খায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বারবার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপরে গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।

তিনি (১৭ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার আর্ন্তজাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট বিভাগ বিএনপি আয়োজিত র‌্যালি পূর্বেক আলীয়া মাদ্রাসার মাঠের বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, গণতন্ত্র সর্বজনীন যা, কোন দেশ বা অঞ্চলের অন্তর্গত নয়। গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানুষকে কৃতদাসে পরিণত করা যায় না। একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-সমাজেই কেবলমাত্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। জনগণের স্বাধীন ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নির্ধারণ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাসহ জীবনের সকল দিকগুলোর স্বত:স্ফূর্ত পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। সারাবিশ্বে বহুমত ও পথের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভূলুণ্ঠিত করে বিভিন্ন দেশে এখনও একদলীয় দুঃশাসনের কালো থাবা বিরাজমান। তিনি আজ পর্যন্ত দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা।

সিলেট বিভাগ বিএনপির সমাবেশ ও র‌্যালী আয়োজক কমিটির সমম্বয়কের বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, বিগত ১৭ বছর কোটি কোটি ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। ভুয়া ভোটের জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক ও মানসিক বিকাশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে নস্যাৎ করা হয়েছে। সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের এখনও অনেক দুর এগোতে হবে। কারণ এখনও বিশ্বের অধিকাংশ দেশে গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রূশদী লুনা বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের এমন একটি শাসন ব্যবস্থায় উপনীত হতে হবে যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সেই সরকারের পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমরা দুঃসময় কাটিয়ে উঠে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার সার্বিক প্রচেষ্টায় আমাদেরকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি অবিলম্বে সিলেটের মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা এম ইলিয়াস আলীসহ সকল গুমকৃত নেতাকর্মীদের ফিরে দেওয়ার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করে এক সর্বনাশা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম ছিল। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার করা হয়েছিল। বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আপোষহীন যোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। গণতন্ত্রের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নামিয়ে আনা হয়েছিল মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার বর্বরোচিত অত্যাচার। দেশবাসী এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক রক্তস্নাত আন্দোলনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে এখন কিছুটা মুক্তির নি:শ্বাস নিতে পারছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় র‌্যালি পূর্বেক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, হাজী মুজিব, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়জুল করিম ময়ুর, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামাদল সিলেট জেলার আহবায়ক মাওলানা নুরুল হক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু, শহীদ জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত, আহতদের দ্রুত সুস্থতাসহ দেশ-জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সালেহ আহমদ।

উল্লেখ্য, গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর