আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

১৭ বছর ধরে মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস করেছে চিকিৎসক চক্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০০১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে আসছে চিকিৎসকের একটি চক্র। ১৭ বছরের মধ্যে ১০ বার প্রশ্ন ফাঁস করেছে চক্রটি। হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ৭ চিকিৎসকসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ, নগদ ২ লাখ ১১ হাজার টাকা, ১৫ হাজার একশ বিদেশি মুদ্রা থাই বাথ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫টি চেক বই, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ও ভর্তির এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, পাবলিক পরীক্ষা সামনে আসলেই একশ্রেণির চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠে প্রশ্ন ফাঁস করার জন্য। এই চক্রটি নানা কায়দায় প্রশ্ন ফাঁস যেমন করে, তেমনি গুজব ছড়িয়ে পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভ্রান্তও করে। শিক্ষাখাতের ক্যানসার হিসেবে বিবেচিত এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে নির্মূল করতে কাজ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন>> প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বিমানের আরও ৯ কর্মীকে প্রত্যাহার

সিআইডির প্রধান বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী বিশাল এক সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। ২০২০ সালে মিরপুর মডেল থানায় করা এক মামলায় সম্প্রতি চক্রের অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্য বিগত প্রায় ১৬ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে। প্রশ্ন ফাঁস করে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন এমন শতাধিক শিক্ষার্থীর নাম পেয়েছে সিআইডি। এর মধ্যে অনেকে পাশ করে ডাক্তারও হয়েছেন।

আটকের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, গত ৩০ জুলাই থেকে ১০ দিন ঢাকাসহ টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল জেলায় অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রটির ১২ সদস্যকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৭ জনই ডাক্তার। তাদের সবাই বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্নফাঁস করতেন।

২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে অন্তত ১০ বার মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস করেছে চক্র। আটকদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া বিপুল সংখ্যক ব্যাংকের চেক এবং এডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়ার কথাও জানান তিনি।

প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে একটি গোপন ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা তার চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম রয়েছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।


আরও খবর



ন্যাশনাল ব্যাংক ১৮ কোটি জনগণের ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যাংক নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আবারও পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ সিআর কয়েল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিআরসিএমইএ) চেয়ারম্যান।

দীর্ঘ ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের হারানো গৌরব ফেরানোর কথা উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা জানি ব্যাংককে কিভাবে লাভজনক করতে হয়। ১৯৮৩ সালে আমরা এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি জানি, ব্যাংকের কোথায় কী আছে, কী কী সমস্যা আছে, কারণগুলো আমাদের জানা। এই ব্যাংক ২০১২ সাল পর্যন্ত এক নম্বর কাতারে ছিল। বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ফার্স্ট জেনারেশনের ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক। তখন আমাদের যাঁরা পরিচালক ছিলেন সবাই ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁদের ব্যবসার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল। ওই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমরা ব্যাংকটি করেছিলাম।

নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা প্রকৃত ব্যবসা করেন, দেশে বিনিয়োগ করেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন তাঁদের যথেষ্ট সুযোগ দেব। এটি আমার ব্যাংক কখনো বলি না। আমরা বলি, ন্যাশনাল ব্যাংক জনগণের ব্যাংক, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ব্যাংক। তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা জানেন। ব্যাংক কার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিভাবে টাকা নিয়েছে তা সবাই সব জানেন।একসময়ের সফল একটি ব্যাংককে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আমরা একত্র হয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি, আমরা একীভূত হব না। আমরা নিজেরা চালাব। আমরা কষ্ট করে চালাব। পরিশ্রম, সততা থাকলে, কষ্ট করলে এগিয়ে নিতে পারব। পাওনা উসুল করব। যারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে তাদের বোঝাব, আইন প্রয়োগ করে টাকা ফেরত আনব। ডিপোজিট আনব। ডিপোজিট দিয়ে ব্যবসা করব। একসময় আমরা অনেক বেশি লভ্যাংশ দিয়েছি। ইচ্ছা করলে আমরা উন্নত করে এগিয়ে নিতে পারব। ন্যাশনাল ব্যাংকের হারানো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে পারব ইনশাআল্লাহ। এটি আমার বিশ্বাস। চার বছরে আমরা একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারব।

ন্যাশনাল ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করবই। আমরা খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা করব। প্রকৃত ব্যবসায়ী ঋণ নিলে খেলাপি হতে পারেন না। অ্যাসেসমেন্ট করে ঋণ দেওয়া হয়নি। মনিটরিং করা হয়নি। বড় খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা ভুল স্বীকার করেছেন, টাকা পরিশোধে ইচ্ছুক। বড় ব্যবসায়ীদের টাকা খেলাপি হবে না। ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নেব। যাঁরা ব্যবসায়ী না হয়ে ঋণ নিয়েছেন, তাঁরাই সমস্যা। অন্তত ৫০ শতাংশ আদায়ে আমরা আশাবাদী।

বর্তমান সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক এককভাবে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা রাখে কি না, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ব্যাংকটি একীভূত করার বিষয়ে চাপ থাকার বিষয়টি সত্যিকার অর্থে সঠিক নয়। আমরা যখন শুনি ব্যাংকটি একীভূত করার কথা চলছে, তখন আমরা আগের পর্ষদ সভা করে সিদ্ধান্ত দিই, যে ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে তার চেয়ে আমাদের ব্যাংকের ভিত্তি শক্ত বেশি। আমরা কেন একীভূত হব? আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা পর্ষদ থেকে সিদ্ধান্ত দিলাম, আমরা একীভূত হতে রাজি নই। আমাদের ব্যাংক আমরা চালাব। দরকার হলে নতুন পর্ষদ গঠন করব। অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে অনেক লোকের চাকরি হারানোর শঙ্কা ছিল। কারণ অনেক জায়গায় দুটি ব্যাংকেরই শাখা রয়েছে। সে বিষয়টিও আমরা ভেবেছি।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আমরা যখন চার কোটি টাকায় এ ব্যাংকের উদ্যোগ নিয়েছিলাম তখন বেসরকারি ব্যাংক ছিল না। আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে, বন্ধুবান্ধবকে ধরে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে এনেছি। ব্যাংকের পরিচালক হলে টাকা ফেরত পাবে কি না, তখন চিন্তা করত। আমি বলেছি, তুমি টাকা দাও, টাকা ফেরত না পেলে আমি দিয়ে দেব। এভাবে বলে রাজি করিয়েছি। এই শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, ব্যাংক ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসা বুঝলে ঋণ দিতে পারেন। যাঁকে ঋণ দেবেন, তাঁর বিনিয়োগ মনিটর করতে হবে। নিয়মিত পরিশোধ করছে কি না, দেখতে হবে। বড় ঋণ ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক, বার্ষিক রিশিডিউল করা হবে। মনিটরিং থাকলে টাকা খেলাপি হয় না। খেলাপির কারণে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রকৃত ব্যবসায়ী ব্যাংকের টাকা মেরে খাবেন না। ব্যবসায়ীদের মুখের কথার দাম আছে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন দরকার হলে জামানত হিসেবে দেওয়া বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেব। দেশে আইন আছে, ব্যাংকের টাকা দিতে না পারলে মামলা করে সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া যায়। নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটিতে তিন হাজার কোটি টাকার আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে। এই আমানত কার কাছ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কদিন আগেও শেয়ারের দাম সাড়ে চার টাকা ছিল, এখন সাত টাকা হয়ে গেছে। ডিপোজিট দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য বন্ধু, ব্যবসায়ীদের কাছে যাব। ডিপোজিট খাটিয়ে আমানতকারীকে লাভ দিতে হবে। আমাদের মালয়েশিয়ায় ১১টি, মালদ্বীপে তিনটি, সিঙ্গাপুরে দুটিসহ বিভিন্ন দেশে শাখা আছে। এসব শাখার মাধ্যমে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করব। আশা করি, চার বছরেই আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারব।


আরও খবর



চেলসিকে হারিয়ে ফের এফএ কাপের ফাইনালে সিটি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও ম্যানচেস্টার সিটির সামনে এখন লিগ শিরোপা ও এফ এ কাপের ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। সে পথে একধাপ এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ওয়েম্বলিতে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে উঠলো সিটিজেনসরা।

ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে সিটির বার্নান্দো সিলভার পা থেকে। এর আগে, একাধিক গোলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সিটি।

অন্যদিকে চেলসি প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি সিটি। অন্যদিকে চেলসির লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান নিকোলাস জ্যাকসন। সিটির গোলকিপার ওর্তেগাকে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।

গত বছর এফএ কাপের ট্রফি জিতেছিল ম্যান সিটি। এ নিয়ে তৃতীয়বার টানা দুই বছর ফাইনালে উঠল ইংলিশ জায়ান্টরা। আগের দুটি ছিল ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৫৫-৫৬ সালে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে রোববার (২১ এপ্রিল)। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-কোভেন্ট্রি সিটির মধ্যে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে।


আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর



পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন দুই কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুইজন অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান খানকে পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আরেক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর