আজঃ শনিবার ১৫ জুন ২০২৪
শিরোনাম

২০২৭ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজকের দৌড় থেকে কদিন আগেই সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা হারিয়ে দিয়েছে যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া ইউরোপের তিন দেশ বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।

শুক্রবার ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। এ ছাড়া সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাতিন কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার বড় সুযোগ তাদের সামনে।


আরও খবর



রাজশাহীতে ১০ আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্বশুরবাড়িতে জামাই গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীর বাঘায় অভিযান চালিয়ে ১০টি দেশীয় ওয়ান শুটারগানসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২৯ মে) ভোরে বাঘার আলাইপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ী থেকে আব্দুর রশীদ ব্যাপারী নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুর রশিদ ব্যাপারী পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পাঁকশী গার্ড ব্যাংক পাড়া এলাকার আইনুল ব্যাপারীর ছেলে।

র‌্যাব-৫ এর জানায়, রশীদ পেশায় প্রাইভেটকার চালক হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারত সীমান্ত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানসহ তার নিজ এলাকায় বিক্রয় করে আসছিলেন।

বুধবার ভোরে র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে তার শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় রশীদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ঘরে থাকা বড় টিনের বাক্সের ভিতর থেকে ১০টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, আব্দুর রশীদ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অবৈধ মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



কুয়েতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ৩৯

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মানগাফ শহরে এই অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বুধবার (১২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। অবশ্য রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৫ বলে জানানো হয়েছে।

আনাদোলু বলছে, কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হলেও পরে সেই সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়।

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, দক্ষিণ কুয়েতের মানগাফ শহরে একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম কুয়েত টাইমস বলছে, কুয়েতের দক্ষিণ আহমদী গভর্নরেটের মানগাফ এলাকায় একটি ভবনে আগুন লেগে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আহত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল দলগুলো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও মন্ত্রণালয় আশ্বস্ত করেছে।

অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি নিউজ বলছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে চারজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় অন্তত চার ভারতীয়ও নিহত হয়েছেন বলে কুয়েতি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।


আরও খবর



জটিল রোগে আক্রান্ত তাহসান, হারাচ্ছেন গান গাওয়ার সক্ষমতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গুরুতর জটিল রোগে আক্রান্ত দেশের জনপ্রিয় গায়ক, সুরকার, অভিনেতা ও মডেল তাহসান খান। তাই ভক্তদের একটি দুঃসংবাদ আগাম জানিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে কণ্ঠনালির সমস্যায় ভুগছেন তাহসান। তার জটিল রোগটির নাম হেটেরোটোপিয়া। এ জটিল রোগে ২০১৮ সাল থেকে ভুগছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমে বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে অসুস্থতার কথা নিজেই জানিয়েছেন জনপ্রিয় এ সংগীত ব্যক্তিত্ব। রোগটি সম্পর্কে তাহসান বলেন, এ সমস্যায় গলায় কাঠামো পরিবর্তন হতে শুরু করে। শুরু হয় নানা জটিলতা, যা গান গাওয়ার মনোবল ভেঙে দেয়।

তাহসান আরও বলেন, দিন যত পার হচ্ছে, গান গাওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছি। গত ছয় বছরে সেটা একটু একটু করে বুঝেছি। প্রথমে খুব ভয় পেতাম। মনে হতো আর গাইতে পারব না।

জটিল রোগটির চিকিৎসা প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসা চলছে। জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এনেছি, তেমনি এনেছি খাদ্যাভ্যাসেও। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে?

নিজের এ অসুস্থতা নিয়ে আফসোস করে কণ্ঠশিল্পী বলেন, এমন অনেকবারই হয়েছে, সাধারণত আমি যেভাবে কনসার্টে পারফর্ম করি সেভাবে করতে পারিনি অসুস্থতার জন্য। তবে আমি সত্যি সৌভাগ্যবান। এতে শ্রোতাদের ভালোবাসা কখনও কমেনি দেখেছি।

এ সময় ভক্ত আর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে জীবনের অনিশ্চয়তা থেকে তাহসান বলেন, আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন, রোগটি যেন আরও বেশি আমায় না ভোগায়। গলার সমস্যার কারণে আমি এখন আগের চেয়ে কনসার্ট আর লাইভে গান গাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এ কনসার্ট আর লাইভে গান গাওয়ার পরিমাণ যদি আরও কমতে থাকে, তবে আপনারা বুঝে নেবেন আমার সমস্যাটা আরও বেড়েছে। গান গাওয়ার মতো অবস্থায় আমি আর নেই।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র বিভ্রান্তিমূলক: আইএসপিআর

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিয়ে ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) বিভ্রান্তিমূলক তথ্যচিত্র প্রচার করেছে বলে দাবি করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

শনিবার (২৫ মে) এক গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে এমন দাবি করা হয়।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, অতি সম্প্রতি ডয়েচে ভেলে (ডিডব্লিউ) কর্তৃক প্রচারিত টরচারার্স ডেপলয়েড এজ ইউএন পিসকিপার্স শিরোনামে প্রচারিত তথ্যচিত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাসদস্যদের নিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সব সময়ে সবচেয়ে যোগ্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইকৃত সেনাসদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করে। সর্বদা এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী  শান্তিরক্ষী নির্বাচনে উচ্চমানের আচরণবিধি এবং পেশাগত দক্ষতার দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।

অধিকন্তু, তথ্যচিত্রে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ডয়েচে ভেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য গ্রহণ করেনি। পক্ষপাতমূলক ও একপেশে এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ।

তথ্যচিত্রে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে অপর একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল অভিপ্রায় ছিল বলে প্রতীয়মান। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রয়াস, যা তথ্যচিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করেছে।

প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন বীর সেনানী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং ২৩৯ জন আহত হন; জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টায় এটি একটি বিরল উদাহরণ। এছাড়াও, বিগত তিন দশকে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কোনো রূপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।

উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গণমাধ্যমসমূহের ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদনের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া, বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংবাদ প্রচার বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে ক্ষুন্ন করবে।


আরও খবর