আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

৬ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ইনস্টাগ্রাম টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম এখন ফিরে এসেছে কিন্তু ধীরে চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম প্রায় ৬ ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর সচল হয়েছে। ফেসবুকের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। এরপর মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সচল হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।

ওয়েবসাইট মনিটরিং গ্রুপ ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এক কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

টুইট বার্তায় ফেসবুক জানিয়েছে, বিশ্ব বিপুল পরিমাণ মানুষ ও ব্যবসায়িক কমিউনিটি যারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল: আমরা দুঃখিত। আমরা অ্যাপ ও সেবা চালুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি এবং তারা অনলাইনে পুনরায় ফিরে এসেছে জানতে পেরে খুশি। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

ইনস্টাগ্রাম টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম এখন ফিরে এসেছে কিন্তু ধীরে চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত!

এর আগে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার টুইট করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।এতো দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভার ডাউন হওয়া ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাপে ১৪ ঘণ্টার মতো এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল।

ঠিক কী কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ফেসবুকের পক্ষ থেকেও ত্রুটির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে কারিগরি বিশেষজ্ঞরা ডোমেইন নেম সিস্টেম বা ডিএনএস ত্রুটি ছিল বলে ধারণা করছেন।

আবার কারও মতে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ সবই একটি বিজিপি কনফিগারেশনের সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।


আরও খবর



অতিরিক্ত গরমে বিশ্বে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিরিক্ত গরমে কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এনশিউরিং সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক ইন আ চেঞ্জিং ক্লাইমেট (জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা) শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমজনিত প্রায় সোয়া দুই কোটি পেশাগত দুর্ঘটনায় ২০ লাখের বেশি মানুষকে নানা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন খাতের মতো বাইরে কাজ করা কর্মীরা অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাঁরা হিটস্ট্রেস, হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্পস, র‍্যাশ, ত্বকে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসজনিত অসুস্থতা, কিডনির রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নানা জটিলতায় পড়ছেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানা কারণে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি মানুষ আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের ঝুঁকিতে পড়ে। এ কারণে ত্বক ক্যানসারে বছরে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার ৯৬০ জনের। বাইরে বা রাস্তাঘাটে কাজ করা ১৬০ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়। এর ফলে ৮ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়। ৮৭ কোটির বেশি মানুষ কৃষিকাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন। বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী কীটনাশকের বিষাক্ততার কারণে মারা যান। পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসবাহিত রোগের সংস্পর্শে এসে (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী) বছরে ১৫ হাজার কর্মী মারা যান। চরম আবহাওয়ায় ভূমির পরিবর্তন, খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের মধ্যে কাজের নিশ্চয়তা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, লাওসসহ অনেক অঞ্চলে গত বছরের এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এ ধরনের আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে পেশাগত রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর



জলাবদ্ধতা নিরসনে কুইক রেসপন্স টিম গঠনের প্রস্তাব চসিক মেয়রের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। 

সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

চসিক মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে জলাবদ্ধতা এখন বিশ্বব্যাপী সাধারণ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এমনকি দুবাই, নিউ ইয়র্কের মতো আধুনিক শহরও ডুবে যাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তা দ্রুত নিরসণে চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে হবে।

সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, চসিক-সিডিএ মধ্যে আগে যে দূরত্ব ছিল এখন তা আর নেই। সিটি মেয়র এবং আমি মিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলাবদ্ধতামুক্ত, বসবাসযোগ্য চট্টগ্রাম গড়তে একসাথে কাজ করব। আমি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণে নালাগুলোতে থাকা ওয়াসার পাইপসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে সিডিএর প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি সবাই একসাথে কাজ করে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারব।   

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিডিএ খাল খননের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা চসিককে বুঝিয়ে দিবে শুনছি। কিন্তু এ প্রকল্প পরবর্তীতে ব্যবস্থাপনার জন্য চসিককে আলাদাভাবে ফাণ্ড দিতে হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবেনা।

সভায় চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, প্লাস্টিক, পলিথিন, বোতলসহ বিভিন্ন অপচনশীল দ্রব্য খাল-নালায় গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ যাতে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি রিসাইক্লিংএ যাতে এগিয়ে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্থাগুলোর মধ্যে কর্মবন্টন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের উপর জোর দেন।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, প্লাস্টিক-পলিথিন এখন জলাবদ্ধতা নিরসণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিভিন্ন খাল-নালা পরিস্কার করার পর দেখা যাচ্ছে ১০ দিনের মধ্যে আবারো প্লাস্টিক-পলিথিনে সে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতাও এখন পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে। এজন্য পলিথিন বন্ধে ব্যাপক অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রয়োজন।

সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পের পরিচালক ফরহাদুল আলম প্রকল্পের অগ্রগতি এবং জলাবদ্ধতা নিরসণে চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলরবৃন্দসহ নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বিভিন্ন সংস্থা জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরে।


আরও খবর



হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শাহাদত হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল ও তামান্না ফেরদৌস। ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

এর আগে গত ৯ মে আপিলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহাদত হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী আনারস প্রতীক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল দোয়াত কলম প্রতীক ও আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চশমা প্রতীক ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন তালা প্রতীক পেয়েছেন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ফুটবল প্রতীক ও ফাতেমা বেগম পারুল প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।


আরও খবর



মিয়ানমার চেকপোস্টে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবুল কালাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতির ছড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। রোববার (১২ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন আবুল কালাম। ওই সময় মিয়ানমারের বান্ডুলা চেকপোস্ট এলাকায় আরাকান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্রটি আরও জানায়, মরদেহটি বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।

নিহত আবুল কালাম বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে চোরাচালানের জন্য মিয়ানমার অনুপ্রবেশ করার সময় ৫ বাংলাদেশি মাইনবিস্ফোরণে আহত হয়েছিলো।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর