আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

৬৬ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

৮ ওভার শেষ হওয়ার (৭.৫ ওভার) আগেই নাই হয়ে গেলো ৬টি উইকেট। অর্থ্যাৎ দলের সেরা ৬জন ব্যাটসম্যান দুই চতুর্থাংশের আগেই শেষ। বাকি ৪ উইকেট দিয়ে আর কতদুর যেতে পারবে বাংলাদেশ? প্রমাদ গুনতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দর্শক-সমর্থকরা।

কিন্তু দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং সাইফউদ্দিনের দাঁত কামড়ে লড়াই বাংলাদেশকে নিয়ে গেলো ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। পূর্ণ ২০ ওভার খেলেছেন টাইগাররা। হারিয়েছে মোট ৮ উইকেট। দুজন ব্যাটসম্যানকে ব্যবহারই করতে হয়নি। তাতে হারের ব্যবধানটা কমেছে। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মেনেছে ৬৬ রানের ব্যবধানে।

৫৯ রানে ৬ উইকেট। মহা বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে পরাজয় নিশ্চিত। তবে ব্যবধান কমিয়ে সেই পরাজয়কে যতটা সম্মানজনক রূপ দেয়া যায়, ততটাই ভালো। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হিসেবে যেন আবির্ভূত হয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং সাইফউদ্দীন। এ দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান।

যদিও আফিফের লড়াইও শেষ করে দিয়েছিলেন লকি ফার্গুসন। ৩৩ বলে ৪৫ রান করার পর ফার্গুসনের বলে তিনি বোল্ড হয়ে যান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। তবে সাইফউদ্দিন ছিলেন অপরাজিত। তিনি করেন ৩৪ রান। নাসুম আহমেদ ছিলেন শূন্য রানে অপরাজিত।

আফিফ আর সাইফউদ্দীনের লড়াইয়ের আগে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল বাংলাদেশের। ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য। ব্যাটিং শুরুর আগেই কী ঘাবড়ে গেলো বাংলাদেশ? অসম্ভব কিছু নয়। এতবড় স্কোর দেখলে যে কারো ঘাবড়ে যাবারই কথা। তবে, ঘাবড়ে না গিয়ে সাহসের সাথে লড়াই করতে পারাটাই গৌরবের।

কিন্তু সেই গৌরব হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে দেখাতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিউই বোলিংয়ের সামনে নিজেদের নখদন্ত পুরোপুরি বের হয়ে পড়েছে টাইগারদের। ৫৯ রানেই হারিয়ে বসেছে ছয়টি উইকেট।

সৌম্য সরকার আউট হন ৫ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলেন ৬ বলে ৪ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দুই অংকের ঘর ছুঁতে পেরেছিলেন। ৯ বলে করেন ১১ রান। কিন্তু সোদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। মেহেদী হাসান আউট হলেন কোনো রান না করেই। সোদির বলে বোল্ড হয়ে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ দল

আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি, লাজফার্মাকে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান লাজফার্মায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্যপণ্য বিক্রয়, আমদানির পক্ষে সঠিক প্রমাণ দেখাতে না পারাসহ নানা অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম।

অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি, লাজফার্মাকে লাখ টাকা জরিমানা

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের মোড়কে উৎপাদন-মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছিল না। এছাড়া পণ্যের ওজন-পরিমাণ নেই এবং ক্রয়ের কোনো রশিদ দেখাতে পারেনি।

ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে অনুমোদনহীন বিদেশি শিশু খাদ্য বিক্রি হচ্ছিল। তারা আমদানির পক্ষে সঠিক প্রমাণ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জানাতে পারেননি। এসব অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


আরও খবর



কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কত টাকা পেলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ৩৩, জাতীয় সংসদ ৩৪৭, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৪ হাজার ৬০০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১২২, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ২৪৮, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১ হাজার ২৩০, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৩৭৭, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ১৬৬, অর্থ বিভাগ ২ লাখ ৪৮ হাজার ২০৫, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ২৯০, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ৩ হাজার ২১৭, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ৩ হাজার ৪১৮, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২১ হাজার ৩০৮, পরিকল্পনা বিভাগ ৬ হাজার ৪৯২, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ১৯৫, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৬৬২, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯৩২, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৭২৬, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪২ হাজার ৩১৫, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ ৪৬, আইন ও বিচার বিভাগ ২ হাজার ২২, জননিরাপত্তা বিভাগ ২৬ হাজার ৮৭৭, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ৪৫, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩৮ হাজার ৮১৯, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ৪৪ হাজার ১০৮, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৫৭৩, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ৩০ হাজার ১২৫, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২ হাজার ৮৭২, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৮৬৯, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ২২২, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ৪৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

অন্যদিকে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ৯২৯, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১ হাজার ১০৮, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭৭৯, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৬০২, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২ হাজার ২১২, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪৫ হাজার ২০৬, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ১ হাজার ৩৪৬, শিল্প মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৫১০, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২১৭, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ৫৭৪, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১ হাজার ৮৭, কৃষি মন্ত্রণালয় ২৭ হাজার ২১৪, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ২৮৮, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২ হাজার ১৩০, ভূমি মন্ত্রণালয় ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে।

এ ছাড়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ১৯৪, খাদ্য মন্ত্রণালয় ৬ হাজার ৭৫৭, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৩, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৮ হাজার ১৪৩, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৮ হাজার ৭২, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ২৭০, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৬৯৫, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ২ হাজার ৪২০, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১ হাজার ৪০০, বিদ্যুৎ বিভাগ ২৯ হাজার ২৩০, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৭ হাজার ৪৭৪, দুর্নীতি দমন কমিশন ১৯১, সেতু বিভাগ ৭ হাজার ৩১৮, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৭৮৩, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ৪ হাজার ১৩৭ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগকে ১১ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে, অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছর চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা; যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। করব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবারই প্রথম বাজেট পেশ করেছেন। এটি দেশের ৫৩তম বাজেট।


আরও খবর



সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সাড়ে ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে লাইনচ্যুত বগি দুটি উদ্ধারের পর ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. নুরুল ইসলাম।

নুরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পাহাড়িকা ট্রেন লাইনচ্যুত হলে, জয়ন্তিকা, কালনি, উদয়ন ও উপবন ট্রেনের যাত্রীরা আটকা পড়েন। রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস চালুর মাধ্যমে সিলেট থেকে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

তিনি বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ১০টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কথা ছিলো। এরপর সকাল ৭টায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। যেটি রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো।

স্টেশন ম্যানেজার আরও বলেন, সকাল সোয়া ৬টার কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাও বিলম্বিত হয়েছে। সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন এখনও সিলেট স্টেশনে আছে এটি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করবে।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরে এই ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ওপার বাংলার অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়। অভিনয়ের মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ব্যক্তি জীবনে ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্যকে। তবে ২০২৩ সালে এ দম্পতির আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে থাকেন শাক্য। বিয়ের পর বছরখানেক সেদেশেই সংসার করেছেন শোলাঙ্কি। কিন্তু অভিনয় ছেড়ে থাকতে পারেননি বেশি দিন। এই ভৌগোলিক দূরত্বই ঘর ভাঙার কারণ দুজনের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন স্বামীকে প্রশংসায় ভাসালেন শোলাঙ্কি।

শোলাঙ্কি বলেন, আমার প্রাক্তন স্বামী দুর্দান্ত একজন মানুষ। আমাদের আজও যোগাযোগ আছে। কথা হয়। আমার মনে হয় ডিসট্যান্স আমাদের সম্পর্কে (ভাঙার ক্ষেত্রে) একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে।

জানা যায়,  মুম্বাইয়ে একসঙ্গে থাকতেন এ তারকা জুটি। যদিও নিজেদের প্রেম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলে বারেবারে ভাল বন্ধু হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন সোহম-শোলাঙ্কি। অভিনেতা সোহমের সঙ্গে প্রেমের বিষয়ে শোলাঙ্কি জানান, তারা খুব ভালো বন্ধু। সময় হলে প্রেমের বিষয়ে কথা বলবেন।

এর আগে শাক্য সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেছিলেন, আমার প্রাক্তন স্বামীর মতো মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ও একজন অসাধারণ মানুষ। আর এটা আমি বলার জন্য বলছি না। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি। যখন দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকবে ভাবে, তারা চায় সেটা সফল হোক।

এ অভিনেত্রী বলেন, অনেক সময় দুজন মানুষ খুব ভালো হলেও তারা ওই সময় একসঙ্গে থাকার জন্য ঠিক চয়েসটা নয়। সেটাই আমার ক্ষেত্রে মনে হয়েছে। একজন খারাপ মানুষের সঙ্গে না থাকাটা অনেক সহজ। ওই সময় জীবন থেকে চাহিদাগুলো অনেক আলাদা ছিল। ছোট ছিলাম খুব প্রেম ছিলাম মনে হয়েছিল একসঙ্গে থাকতে পারব।

নিউজ ট্যাগ: শোলাঙ্কি রায়

আরও খবর