আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিল। তবে পরীমণির আইনজীবী আদালতকে জানান, আপীল বিভাগ থেকে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। স্থগিতাদেশ বিষয়ে সার্টিফাইড কপি না পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন এই আইনজীবী। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এদিন পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। পরীমণির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও খালু কবীর হাওলাদার আদালতে এসে হাজিরা দেন।

এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি পরীমণির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচাপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন।

এদিকে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।


আরও খবর



পরীক্ষায় বসলো এইচএসসি ও সমমানের ১৪ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসির (বিএম/বিএমটি) বাংলা-২ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে।

তবে বন্যার কারণে সিলেট শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে।

এবার প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা ৭ লাখ ৫০৯ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার।

শিক্ষাবোর্ডের রুটিন অনুযায়ী, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ জুলাই। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে গত দেড় দশকের ধারাবাহিকতায় নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬৬টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪ হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫টি।

এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮টি। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি।


আরও খবর



প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এটি পেশ করেন।

এবারের বাজেট হতে যাচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার। যাতে থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অর্জনের কঠিন চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতির এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য সাড়ে ৬ শতাংশ।

এছাড়া আয়, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজনের করের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, আমদানি শুল্ক ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

কর ব্যতীত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত করের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক বরাদ্দের মধ্যে জনপ্রশাসন খাতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা, কৃষিতে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা, পরিবহন ও যোগাযোগে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৩ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।

এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় ৩৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা এবং শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতের জন্য ৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে।

বাজেট বক্তৃতায় চলমান অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে প্রাইভেটকার-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৮

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রাইভেটকার ও মাহিন্দ্রা গাড়ির সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮ জন। শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৯টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর শহরের মালাউবাড়ী নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এখনও নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরুল আমিন জানান, সকালে মালাউবাড়ী এলাকায় প্রাইভেটকার ও মাহিন্দ্রাসহ ত্রিমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্রার একজন মারা যান। আহত হয় ৯ জন। এরপর তাদের উদ্ধার করে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উন্নত চিকিৎসার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



আদানির কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের ঝাড়খন্ডের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এর আগে ঈদের ছুটিতে আদানি কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে যাওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আগামী ৫ জুলাই ইউনিটটি উৎপাদনে আসতে পারে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।

কিন্তু এরই মধ্যে কারিগরি ত্রুটিতে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কার্যত পুরো কেন্দ্রটিই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ তা উৎপাদনে ফিরবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো প্রক্রিয়া চলছিল। তবে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ টায় উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মার্চ দেশে আদানির বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়। ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।


আরও খবর



রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হলে কী করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

শুধু রাসেলস ভাইপার নয়, যে কোনো সাপের কামড়ের শিকার হলেই ওঝার কাছে যাওয়া যাবে না বলে জোর পরামর্শ দেন বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফা-তু-জো খালেক মিলা (জোহরা মিলা)।

তিনি বলেন, ওঝার কাছে না গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে।

এক্ষেত্রে সম্ভব হলে যে সাপ দংশন করেছে, তা চিহ্নিত করার জন্য সেই সাপের ছবি তুলে স্থানীয় বন কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শও দেন জোহরা মিলা।

এদিকে চিকিৎকদের মতে, রাসেলস ভাইপারের কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা অস্বাভাবিক ফুলে ওঠে। তাছাড়া রাসেলস ভাইপারের দংশনের পর চিকিৎসা নিতে দেরী হলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শক, পেশী প্যারালাইসিস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তক্ষরণ এবং কিডনি অথবা রেনাল ফেইলিয়র।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাসান তারিক বলেন, রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি দ্রুত অকেজো হতে শুরু করে। শরীর জ্বালাপোড়া করার পাশাপাশি দংশনের স্থানে পচন ধরে।

একইসঙ্গে দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা দেওয় না হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

সাপটির দংশনের শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে চিকিৎসক আরও বলেন, রাসেলস ভাইপারের এন্টিভেনম থাকলেও সেটা খুব একটা কাজ করে না।

২০১৫ সালের দিকে আমরা প্রথম রাসেলস ভাইপারে কামড়ানো রোগী পেয়েছিলাম। সে সময় আক্রান্ত হাত-পা কেটে ফেলেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি। তাই সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ।


আরও খবর