আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৮ দিনে ১০ হাজার কোটি ডলার খুইয়ে দিশেহারা আদানি

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাণিজ্যিক বিনিয়োগ সম্পর্কিত মার্কিন পরামর্শক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত গত আট দিনে ১০ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছে বিশ্বের সাবেক শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ। পরিস্থিতির নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না ঘটলে সামনের দিনগুলোতে আদানি গ্রুপের লোকসান আরও বাড়বে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ভারতের শেয়ারবাজারের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে আদানি গ্রুপ শেয়ার বাজারে জালিয়াতি করে যাচ্ছে। হিন্ডেনবার্গের দাবি, আদানি গ্রুপ ভুল তথ্য ও রাজনৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করছে এবং এর মাধ্যমেই আদানি গ্রুপ বাজারে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। জাল-জালিয়াতি ও কারসাজির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির অভিযোগও তারা করেছে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে।

ফ্রান্সের সরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি টোটাল এনার্জিস এবং আমিরাতভিত্তিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আবুধাবিস ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি করেছে আদানি গ্রুপ। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়ে, সেই চুক্তিপত্রেও নিজেদের সক্ষমতা সম্পর্কে অতিরঞ্জিত তথ্য দিয়েছে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান।

ছোটোবেলায় স্কুল থেকে ঝরে পড়া গৌতম আদানি গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের শীর্ষ ধনী শিল্পপতিদের একজন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা এবং ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকায় দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিও তিনি। এই রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েই গত কয়েক বছরে রীতিমতো ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল আদানি গ্রুপ, এবং ৬০ বছর বয়সী গৌতম আদানি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী।

তবে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে সে সবই এখন বিগত দিনের সোনালী ইতিহাস গৌতম আদানি ও তার মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের জন্য। কারণ শেয়ার বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার বরাতে জানা গেছে, গড় হিসেবে গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারের দাম গত আট দিনে কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। অনেক বিনিয়োগকারীও আদানি গ্রুপ থেকে তাদের অর্থ উঠিয়ে নিচ্ছেন; এবং এসব কারণেই আদানি গ্রুপের আর্থিক লোকসান ছুঁয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক। গৌতম আদানিও এখন আর শীর্ষ ধনীর তালিকায় নেই। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় বর্তমানে ১৬ তম অবস্থানে আছেন আদানি।

আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে অবশ্য এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং শত্রুতাপূর্ণ। আরও বলা হয়েছে, ভারতের শেয়ারবাজার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের। এমনকি এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ভারত, তার স্বাধীনতা ও সংহতিকে আক্রমণ করেছেঅভিযোগ করে আদানি গ্রুপ বলেছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিরুদ্ধ আইনী ব্যবস্থা নেবে তারা। বিবৃতির পাল্টা জবাবে দিয়েছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চও। সংস্থাটি বলেছে, মূল বিষয়গুলো থেকে নজর ঘোরাতেই ওই গোষ্ঠী জাতীয়তাবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। নিজের ও সংস্থার মাত্রাছাড়া শ্রীবৃদ্ধিকে দেশের উত্থানের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চেয়েছে।আমরা বিশ্বাস করি, জালিয়াতি জালিয়াতিই। আমরা আরও বিশ্বাস করি, ভারতের ভবিষ্যতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় পতাকায় শরীর ঢেকে তারা দেশকে লুট করে চলেছে।

এদিকে কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে কমতে থাকায় নতুন শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েও তা স্থগিত করেছেন গৌতম আদানি। ভারতের মুম্বাইভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষক অবিনাশ গোরক্ষকর রয়টার্সকে বলেন, মূল সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীরা আদানি গ্রুপের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। গৌতম আদানি যদি শিগগিরই অন্তত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তাদের পতন অব্যাহত থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: গৌতম আদানি

আরও খবর



শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউর কন্যা ইপ্সিতা

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে একে একে বের হতে থাকে মতিউরের দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জন করা কোটি কোটি টাকার সম্পদ। শুধু মতিউর না তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের নামে বেনামে থাকা সম্পদের তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকীর মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা সম্পদের তথ্য এবার ফাঁস হয়েছে।

মাত্র ৩২ বছর বয়স। নিজেকে মেকআপ আর্টিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন এই তরুণী। পড়াশোনা শেষে এই পেশায় যোগ দিয়ে কতই বা আয় করতে পারেন। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও সত্যি, এই অল্প বয়সেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়িসহ শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। কানাডায় নিজস্ব ফ্লাটে বসবাস করেন ইপ্সিতা। কানাডায় তার বাড়ি-গাড়িসহ বিলাসী জীবনের ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হইচই চলছে। তবে কানাডার চেয়ে দেশেই তার বেশি সম্পদ রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে একজন মেকআপ আর্টিস্ট এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন কীভাবে।

ইপ্সিতার সম্পদ নিয়ে একাধিক সূত্রে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে এসেছে, ২০২৩ সালে মতিউর কন্যার প্রকাশিত আয়কর ফাইলেই ৪২ কোটি টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে ৫ লাখ টাকা, গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার, ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানিতে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে ইপ্সিতার।

আয়কর নথিতে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন স্থানে ঋণ ও ধার বাবদ ইপ্সিতার সম্পদ আছে ২২ কোটি টাকার। নরসিংদীতে হেবামূলে দেড় একর জমি আছে তার। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিলাসবহুল এলাকার সাততলা বাড়ি মালিক তিনি। বাড়িটির মূল্য অন্তত ৫০ কোটি হলেও আয়কর নথিতে তা ৫ কোটি দেখানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মতিউর রহমান তার অবৈধ পথে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন কৌশলে বৈধ করার অপচেষ্টাও চালিয়েছেন। ইপ্সিতার নামে থাকা বিপুল সম্পদ তারই নমুনা মাত্র।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, বয়স ও পেশার সঙ্গে ইপ্সিতার সম্পদের পরিমাণ স্পষ্টতই অস্বাভাবিক। বাবার প্রভাবে তার আয়কর ফাইল রাজস্ব বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। বাবার প্রভাবে তিনি আটকাননি। দেশে যারা কর ফাঁকি দিতে চান তারা পার পেয়ে যান, আর স্বচ্ছতার সঙ্গে কর দিতে চাওয়া মানুষেরা নানামুখী হয়রানির শিকার হন। এখন দুদকের উচিত হবে মতিউর রহমান, তার দুই পক্ষের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদের খোঁজ নেওয়া।


আরও খবর



তারেক রহমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) বেগম ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী (প্রয়াত) ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৯০৮-এর ৩/৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়, যার নম্বর-৯৭ তারিখ-২২/৮/২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ।

তিনি বলেন, মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘ তদন্ত শেষে মোট ৫২ আসামির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নম্বর-০১, ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ আসামির মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



নির্বাচনে জয়ী হলে কী করবেন তা নিয়ে ট্রাম্প-মেলানিয়ার চুক্তি

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে নিবাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ৭৮ বয়সী ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে সম্ভবত তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে কাজের সময় খুব বেশি পাশে পাবেন না। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্প চুক্তি করেছেন বলে পেইজ সিক্স জানিয়েছে।

মার্কিন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পেইজ সিক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‌‌মেলানিয়া তার স্বামীর সাথে একটি চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হন, তাহলে তাকে সপ্তাহের সাতদিন ২৪ ঘণ্টার জন্য ফার্স্ট লেডির দায়িত্বে থাকতে হবে না।

পেইজ সিক্স বলেছে, ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের সাথে আরও বেশি সময় কাটাতে চান সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। যে কারণে স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি চুক্তি করেছেন তিনি।

১৮ বছর বয়সী ব্যারন শিগগিরই নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করবেন। নতুন জীবন মানিয়ে নিতে ছেলেকে সহায়তা করতে চান মেলানিয়া ট্রাম্প। সূত্রটি বলেছে, তিনি একজন মা এবং ইতিমধ্যেই প্রতি মাসের কিছু অংশ ও সম্ভবত প্রতি সপ্তাহ নিউইয়র্কে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।

‘‘ব্যারন এর আগে কখনই পুরোপুরি একা ছিলেন না। তিনি কলেজে নবীন শিক্ষার্থী এবং একটি প্রধান গণতান্ত্রিক শহরে সম্ভবত একজন প্রেসিডেন্টের পুত্র হওয়ার অতিরিক্ত চাপ মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে পারেন। যে কারণে মেলানিয়া অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে তার সাথে সময় কাটাতে চান...। আর ব্যারনের বাবা যদি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের ছেলের সাথে সবসময় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। এটা নিয়েও মেলানিয়া কিছুটা উদ্বিগ্ন।’’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেলানিয়া ট্রাম্প একজন অত্যন্ত যত্নশীল মা। এমনকি ফ্লোরিডা থেকে (রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে) রিপাবলিকান দলীয় প্রতিনিধি হিসাবে ব্যারন কাজ করবেন এমন ধারণাও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



তিস্তা প্রকল্প নিয়ে দু’দেশই প্রস্তাব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারত দুদেশই প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নয়; মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। তবে যাদের প্রস্তাব লাভজনক হবে, সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাব। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, সেটা দেশকে উন্নয়ন করার। আমার কাছে সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে যে, আমার দেশের মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে দেশের উন্নয়নে যার সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক রাখা দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু, তারা রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; কাজেই তাদের গুরুত্বটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আবার চীন যেভাবে নিজেকে উন্নত করেছে, সেখান থেকে আমাদের শেখার আছে। সব কিছু ভেবেই আমরা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তাব তো অনেক আসে, তবে যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেই প্রস্তাবটা আমার দেশের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য হবে এবং কল্যাণকর হবে সেটা ভেবেই গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ ব্যবহারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই, তারা কী বিক্রি হয়ে গেছে? এতে বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আমাদেরও বাড়বে। রেলপথ ব্যবহারের ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে। ইউরোপে তো বর্ডারই নেই, তারা কী তাহলে বিক্রি করে দিচ্ছে? প্রত্যেকটা দেশই তো স্বাধীন দেশ, তারা তো বিক্রি হয়নি। তাহলে সাউথ এশিয়ায় কেন এটা বাঁধা হয়ে থাকবে এমন পাল্টা প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বলে দেশে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কিসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কিসের মাধ্যমে হয়, বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারা বিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত। যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোন দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে, তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এরকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ করেছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়? আমি বলবো যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমি দেখেছি, যখন মিলিটারি শাসন এসেছে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া তারা উপরে উপরে ভারত বিরোধী কথা বলেছেন। আর সেখানে গিয়ে পা ধরে বসে থেকেছেন। এগুলো আমার নিজের দেখা ও জানা। কাজেই এ ধরনের কথা বলার কোনো অর্থ হয় না। আমাদের দেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যতই ছোট হোক, এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সেই সার্বভৌম রক্ষা এবং সক্রিয়তা বজায় রেখেই এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেই কাজ করছি। এখন যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই মুক্তিযদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ যে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দেয়া হলো, সব থেকে লাভবান তো আমার দেশের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হবে, ব্যবসার ক্ষেত্রটাও উন্মুক্ত হবে। দেশ বিক্রি আমরা করি না, যারা কথা বলে তারা বিক্রি করা জন্য অথবা ইউজ মি মানে ব্যবহার করুন আমাকে, এ নিয়ে বসেই থাকে; এটা হলো ব্যস্তবতা। শেখ হাসিনা এই দেশকে বিক্রি করে না। কারণ এই স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ।’

একটা সময় ছিল নোম্যান্স ল্যান্ড যা আমরা ইউরোপ সফরে দেখেছি। এক জায়গাতে গাড়ি গিয়ে থামত। গাড়ি থেকে নেমে সেখানে থেকে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে কাস্টমস চেক করিয়ে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হতো। এখন কিন্তু সেসব কিছুই নেই। এখন সব উঠে গেছে। কিন্তু প্রতিটি দেশ স্বাধীন দেশ। কোথাও কেউ কাউকে তো বিক্রি করে নাই। আমাদের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের প্রধান কাজ বলেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অভিযানে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭টি গাড়িকে ডাম্পিং করা হয়।

সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিআরটিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আনোয়ারা-পটিয়া ক্রসিং এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, চট্ট মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক ফাহাদ শিকদার, জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অভিযানের সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

বিআরটিএ জানায়, ফিটনেসবিহীন, রুট পারমিটবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালনাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৮টি গাড়িকে ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও কাগজপত্র (ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট) দীর্ঘদিন হালনাগাদ না থাকায় ১টি বাস ও ১টি অ্যাম্বুলেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ডাম্পিং করা হয়।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪