আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৯০ সেকেন্ড আগে পরীক্ষার খাতা নেওয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ ডিসেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের ৯০ সেকেন্ড আগে খাতা নিয়ে নেন শিক্ষক। আর এতে করেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৪০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকারও বেশি। তাদের আইনজীবীরা বলছেন, শিক্ষকের ভুলের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য পুরো বছরের পড়াশোনার খরচ দিতে হবে তাদের।

দেশটির কলেজ ভর্তি পরীক্ষা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। সুনেয়ং নামে এই পরীক্ষা চলে আট ঘণ্টা ধরে। একটার পর একট প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। বিশ্বে অন্যতম কঠিন ভর্তি পরীক্ষা এটি।

প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী সারাবছর প্রস্তুতি নিয়ে এই পরীক্ষা দিয়ে থাকে। ৮ ডিসেম্বর এর ফল প্রকাশিত হয়। ফল প্রকাশের পর ৩৯ শিক্ষার্থী গতকাল মঙ্গলবার এই মামলা করে। তাদের দাবি, একটি পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই ঘণ্টা বেজে উঠে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলেও শিক্ষক তাদের খাতা নিয়ে নেন।

পরবর্তীতে অবশ্য এই ভুল বুঝতে পারেন শিক্ষকরা। মধ্যাহ্নবিরতির সময় তাদের দেড় মিনিট ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার খালি কলামগুলো তারা শুধু লিখতে পেরেছেন। কোনো উত্তর পরিবর্তনের সুযোগ পাননি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে পরের পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারেননি।

শিক্ষার্থীদের মামলার করার ঘটনা এবরাই প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালের পরীক্ষায় দুই মিনিট আগে ঘণ্টা বাজায় মামলা করেছিল শিক্ষার্থীরা। চলতি বছর এপ্রিলে আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয় এবং ৫ হাজার ২৫০ ডলার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয় তাদের।


আরও খবর



সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত করা যাবে না: এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বলেছেন, সাধারণ মানুষকে সেবা বঞ্চিত করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মত বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।

নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন বলেন, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের বাইরে ও ভিতরে যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে নিয়ে আগামী দিনের পথ চলতে চাই। নাজিরপুর উপজেলা পরিষদকে একটি পরিবার বানাতে চাই। যে পরিবারে প্রত্যেককেই সমান অধিকারের সদস্য। আপনাদের অধিকারের জায়গা সীমাবদ্ধ নয় প্রসারিত। নাজিরপুরের মানুষ অসহায়, আমি অসহায় মানুষের প্রতিনিধি।

নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, থানা, ভূমি অফিস, হাসপাতাল, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াতটা বেশি। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে সাধারণ মানুষ যেন সেবা বঞ্চিত না হয়। কোনো ভাবেই তাদেরকে সেবা বঞ্চিত করা যাবে না।

নূরে আলম সিদ্দিকী শাহীন স্থানীয়দের উদ্দেশে বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা দুরদুরান্ত থেকে এসেছেন। তারা আমাদের মেহমান। আমাদের স্থানীয় মানুষদের আচরণে তারা যেন কষ্ট না পায় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

একই অনুষ্ঠানে বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খানকে নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন তার তরফ থেকে উপহার সামগ্রী দেন। এসময় তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ চালানোর জন্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ, নাজিরপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন, পিরোজপুর জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ খানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন।


আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা ইকো পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক’র রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে যাবতীয় কার্যক্রম। ফলে, এখন পার্কটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না দর্শনার্থীরা।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়।

পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় তারা।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এর ফলে আজ থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।

এ অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির উপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



বিপুল মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার ২১

‘হয় মাদক ছাড়, না হয় ঠাকুরগাঁও ছাড়’: এসপি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

গত বছরের ২৭ জুলাই ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন উত্তম প্রসাদ পাঠক পিপিএম-সেবা। এর আগে তিনি ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ে যোগদানের প্রথম দিনেই মুখোমুখি হন গণমাধ্যমকর্মীদের। তখন জেলার প্রধান সমস্যাগুলো জানতে চাইলে সাংবাদিকরা এসপিকে জানান, জেলায় মাদকের বিস্তার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এরপর এসপি মাদকের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে বলেন- হয় মাদক ছাড়, না হয়  ঠাকুরগাঁও ছাড়।

ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে দায়িত্ব পালনের এক ১১ পূর্ণ হয়েছে এসপি উত্তম প্রসাদ পাঠকের। এরই মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হয়ে উঠেছেন তিনি। তার যোগদানের পর জেলার ৭টি থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণে। প্রায় প্রতিদিনই প্রতিটি থানাতে কোন না কোন মাদকে জড়িতরা ধরা পড়ছেন।

এই মধ্যে গত পাঁচ দিনে মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০৩০ গ্রাম শুকনো গাঁজা, ২৪৯ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট, ৯৩ পিচ ইয়াবা ও ১৪ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। এবং পুলিশ কর্তৃক ২২টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি করা হয়। মাদকদ্রব্য ছাড়াও অন্যান্য অপরাধ দমনেও ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া পুলিশের বিভিন্ন অভিযান, মাদক উদ্ধার, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন তথ্য জেলা পুলিশের নিজস্ব ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে নিয়মিত জানিয়ে দিচ্ছেন জেলার মানুষকে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এরই মধ্যে এসপি উত্তম প্রসাদ পাঠক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন সারাধণ মানুষের কাছ থেকে।

রোববার (৯ মে) সকালে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক এর দিক-নির্দেশনায় নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (৩ জুন) রাত থেকে শনিবার (৮ জুন) রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৮ জুন) জেলা সদরের রায়পুর ইউনিয়নের মোলানী এলাকা থেকে ১০৫ গ্রাম শুকনো গাঁজা সহ রাকিব (২৩), আউলিয়াপুর কচুবাড়ী বোর্ড অফিস এলাকা থেকে ৪ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট সহ আল আমিন হক (৩৫), জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাটিয়া এলাকা থেকে ১৫ পিচ ইয়াবা ৭০ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেটসহ আলী হোসেন (৪৩) জাবরহাট ইউনিয়নের রনশিয়া গ্রাম থেকে ৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার , রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য ভান্ডারা গ্রাম থেকে ৮ পিচ ইয়াবাসহ মোঃ সজিব (২৮) ও হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের নোনাডাঙ্গী গ্রাম থেকে ১৩৫ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ  জামাল (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল।

শুক্রবার (৭ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৬০ গ্রাম শুকনো গাঁজা, ৬০পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট ও ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৭ জন এবং পুলিশ কর্তৃক ১২টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি, বৃস্প্রতিবার (৬ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫লিটার চোলাই মদ, ১১ পিচ ইয়াবা ও ৩১০ গ্রাম শুকনো গাঁজাসহ ৪ জন, মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গীর  বিভিন্ন এলাকায় ১০৪ পিচ ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট ও ৬০ পিচ ইয়াবাসহ ২ জন এবং পুলিশ কর্তৃক ১০ টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি ও সোমবার (৩ জুন) ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রানীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে ১২০ গ্রাম শুকনো গাঁজা ও ৩৩ পিচ ইয়াবাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার  করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০টি মামলা রুজু হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ঠাঁই ঠাকুরগাঁওয়ে হতে পারে না। আমাদের প্রতিটি বিভাগকে মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলাজুড়ে মাদক-বিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। আমরা মানুষের শান্তি ও সেবার জন্য কাজ করি।

তিনি আরও বলেন, জেলাবাসীর জন্য আমাদের প্রতিদিনের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও অর্জনগুলো প্রতিদিনই তাদের কাছে প্রকাশ করছি। এছাড়া কোন পুলিশ সদস্য যদি অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে বা মাদকসহ অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে, তাহলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



যমুনায় বাড়ছে পানি, ভাঙন আতঙ্কে চরের মানুষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনাসহ সবকটি নদীতে পানি বাড়ছে। বিরাজ করছে বন্যা আতঙ্ক। চর ও নিচু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করছে। যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি যোকারচর পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা যায় চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ী এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কয়েক দিন ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষগুলো।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। বিগত ভাঙনের পর যেটুকু সম্বল বেঁচে ছিল, সেটিও ভাঙনের আশঙ্কায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন নদীপাড়ের শতশত ভাঙন কবলিত মানুষ। ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

নদীপাড়ের মানুষের অভিযোগ, গেল বছর ভাঙনরোধে খানুরবাড়ী, চিতুলিয়াপাড়াসহ বিভিন্নস্থানে নামমাত্র জিও ব্যাগ ফেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেগুলো এখন ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে নিজ নিজ বাড়ির সামনে জিওব্যাগ ফেলে। দরিদ্র পরিবারের বাড়ির সামনে জিওব্যাগ ফেলা হয় না।

পাটিতাপাড়ার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে পানি বাড়ছে। এতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। গত বছর বসতভিটা ভেঙে যেটুকু থাকার জায়গা ছিল সেটি এবারও চোখের সামনে নদী গর্ভে বিলীনের পথে।

গত বছর বন্যায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেলা গাইড বাঁধের জিওব্যাগ আনলোড ড্রেজারগুলোর কারণে ধসে যাচ্ছে। যার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা ও আধ-পাকা সড়ক, গাইড বাঁধ বসত-বাড়ি, মসজিদ-মন্দির, ছোট-বড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, কিছু দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অবগত করাসহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভূঞাপুরে ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙন এলাকাগুলোর মধ্যে গোবিন্দাসী ও নিকরাইলের জন্য একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার ইকোনোমিক জোনের কাজ শুরু হলে স্থায়ী বাঁধ হয়ে যাবে।


আরও খবর