আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো জুনে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সদ্যবিদায়ী জুন মাসে রেকর্ড আড়াই বিলিয়ন ডলারের (২.৫৪ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন (২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন) ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নানা উদ্যোগের ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের সবশেষ মাস জুনে ২৫৪ কোটি ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এটি তিন বছরের (৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। এর আগে সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই মাসে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। সে হিসাবে মে মাসের তুলনায় জুনে ২৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার বেশি এসেছে। আর গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি এসেছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছরের জুন মাসে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছে ২৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩১ কোটি ডলার। অর্থবছরের হিসাবে সর্বোচ্চ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রেমিট্যান্সে ডলারের ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের সঙ্গে ব্যাংকের দরে পার্থক্য কমে এসেছে। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স বাড়াতে অনেক চেষ্টা করছে। ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে, এতে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আগামীতেও বাড়বে বলে জানান তারা।


আরও খবর



নিজের নিরাপত্তারক্ষীর কাছেই হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের তালিকায় আছে বালিকা বধূ। হিন্দি সিরিয়ালটিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা মিলেছিল অভিকা গোরের। প্রথম কাজ দিয়েই দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছিল অভিকা। এখন নায়িকা হিসেবে সিনেমা, সিরিয়াল আর ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি হেনস্তার হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিজের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল এ অভিনেত্রীকে। কাজের জন্যই কাজাখস্তান গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে এই ঘটনা ঘটে।

কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান করতে যান অবিকা। মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এক জন দেহরক্ষী তাকে স্পর্শ করেছিলেন। প্রথমটায় বুঝতে পারেননি অবিকা। দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটে। পিছন থেকে তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন তার নিরাপত্তাকর্মীদের একজন।

অভিকা গোর বলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে, কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কেউ একজন আমাকে পিছন থেকে স্পর্শ করেছিলেন। পিছন ফিরে দেখি, আমার নিরাপত্তারক্ষীরাই রয়েছেন। আমি যখন মঞ্চে যাচ্ছিলাম, ফের সেই স্পর্শ। পিছনে ফিরতে ওই নিরাপত্তারক্ষীকেই দেখতে পাই।

অবিকা আরও বলেন, আমি ওই ব্যক্তির হাত চেপে ধরি। যখন ওই ব্যক্তির দিকে এটা কী হচ্ছে? তিনি ক্ষমা চেয়ে নেনে। তখন আর কী-ই বা করতে পারতাম অচেনা দেশে। ভাষাও জানি না সেখানকার। তাই বাধ্য ছেড়ে দিই তাকে।


আরও খবর



হালদা মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট দূষণ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে সম্প্রতি বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। হালদায় দূষণের ফলে গত এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি মৃত মাছ ও ১টি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি হালদায় মানবসৃষ্ঠ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড জন্য মরছে মা মাছ ও ডলফিন বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষকরা।

তারা জানায়, হালদা সরাসরি ফেলা হচ্ছে ট্যানারীর বিষাক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, পোল্ট্রি বর্জ্য, গৃহস্থালী, মানববর্জ্য, হালদা ও শাখা খালে অবৈধভাবে জাল, বঁড়শি ও বিষ ব্যবহার করে মাছ নিধন, অবৈধ বালু উত্তোলন ইত্যাদি। এতে হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল দূষিত পানি জন্য প্রায় হাজার একর জমি নষ্ট হয়ে গেছে।

রবিবার (৩০ জুন) হালদা নদীর আজিমারঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। মাছটির দৈর্ঘ্য ১১৮ সেমি. ও ওজন প্রায় ১৯ কেজি ৩০০ গ্রাম।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ জুন হালদা নদীর উত্তর মাদার্শার কুমারখালী ঘাটে একটি মৃত কাতলা মা মাছ ও সুলতানা বাপের ঘাটে আরেকটি মৃত কাতলা মা মাছ ভেসে ওঠে। বিগত এক সপ্তাহে হালদা নদী থেকে ৫টি মৃত মা মাছ ও ১টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। যা হালদা নদীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এমতাবস্থায় হালদা নদীকে মা মাছ, ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থল করতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগে এক সময় হালদায় প্রতিমাসে কমপক্ষে দুই তিনটি অভিযান হত, যা এখন আর চোখে পড়ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির হিসাব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে হালদা নদীতে ৪৩টি ডলফিন এবং ২৫-৩০টি বড় মা মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর পেছনে মূলত শনাক্ত করা হচ্ছে- আঘাত, শ্বাসকষ্ট ও দূষণ।

এদিকে, হালদা নদীর প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণ, বিষ প্রয়োগ, মাছ ডিম ছাড়া নিয়ে তদারকি করা হবে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ।

তিনি বলেন, হালদা নদীর দূষণ নিয়ে আমরা হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এরপর দূষণের কারণ নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাটহাজারী উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ময়েদুজ্জামানকে বলেন, আমরা সম্প্রতি হালদায় নদীতে মা মাছ ও ডলফিন মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দূষণে মূলত হালদা নদীতে মাছের মৃত্যু ঘটনা ঘটছে মনে করছি। হালদায় মানবসৃষ্ট জন্য জন্য নদীর পানি দূষণ হচ্ছে।

হালদা নদীর প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি আবারও বেড়েছে মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা। গত এক সপ্তাহে নদীতে মৃত মা মাছ  ডলফিন ভেসে উঠেছে, যা উদ্বেগজনক। হালদার দূষণ নিয়ে মৎস্য দপ্তর থেকে থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী। ৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির জলজ প্রাণি রক্ষায় সরকার ২০০৭ সালে নদীর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ফটিকছড়ি, নাজিরহাট পর্যন্ত এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে নদীর সব স্থানে বালুর ইজারা মহাল তুলে নিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালুবাহী ড্রেজার, যান্ত্রিক নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসব উদ্যোগের কারণে মা মাছের মৃত্যু কমে এসেছিল।


আরও খবর



মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হয় নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। শুধু তাই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে চালানো হয় যৌন ব্যবসা।

এসব অসামাজিক কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২৫) ও তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬)।

দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যেমন টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করা হয়। সেখানে থাকা থাকা লাখ লাখ দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকেও নেওয়া হয় টাকা। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- চক্রের প্রধান ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫), তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), অন্য সহযোগী মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করায় ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল‍্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়।

চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদা মতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে। 

এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান। তিনি টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলে। শেখ জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত ৭ বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

প্রতারণার ফাঁদ ও নগ্ন ভিডিও তৈরি সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, মডেল তৈরি ও ট্যালেন্ট হান্ট শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করত চক্রটি। যারা সাড়া দিত তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে আপত্তিকর ছবি তুলত। সেই সব ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরাসরি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত।

মোহাম্মদ আলী জানান, চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকেরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকত। চক্রটি ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর মেয়েদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসিতে পরিণত হয় শত শত তরুণী।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপনে ধারণ করা ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করে এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করতে তারা বেনামি কয়েকশ মোবাইল সিম ব্যবহার করছিল। যেগুলোর কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। নিম্নআয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সামান্য অর্থ দিয়ে তাদের নামে তোলা হতো সিম কার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সী ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর কাছে এখনও জিম্মি কয়েক হাজার নারী। এর মধ্যে আছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রিটিও।

অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ নগ্ন ছবি ও ২০ হাজার অ্যাডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঅইডি।


আরও খবর



কুমিল্লায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায় চট্টগ্রামমুখী লিচুবাহী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের একটি কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যান ও লিচুবাহী ট্রাকটি মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।

ওসি ইকবাল বাহার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকে থাকা দুজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত দুজন ট্রাকচালক ও চালকের সহযোগী হতে পারে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঈদে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু থাকবে।

বুধবার (১২ জুন) সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুরজ্জামান সায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (৪ জুন) ত্রি-দেশীয় বুড়িমারী স্থল বন্দরের বোর্ডে ছুটির নোটিশ জারি করে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটির বিষয়ে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ও বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সেখানে আগামী ১৫ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার থাকায় আগামী শনিবার (২২ জুন) বুড়িমারী স্থল বন্দরে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আহসান হাবিব পলাশ বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দর দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

এ ব্যাপারে বুড়িমারী শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসান বলেন, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্তে এ স্থল শুল্ক স্টেশন ৭ দিন বন্ধের বিষয়ে চিঠি পেয়েছি।


আরও খবর