আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচের কেজি ৫০ টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ আগস্ট ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
Image

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন পাইকারি বাজারে ৫০ টাকায় মিলছে এক কেজি মরিচ। তবে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০০ টাকার কেজির কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় মরিচ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, তেতুলিয়া, ছাতিয়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি ছিল। বাজারে তেল, ডাল, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০টাকা কেজিতে। এতে মরিচচাষীরা লাভবান হলেও হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে মরিচের দাম মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।

স্থানীয় কৃষকরা জানায়, পাইকাররা এখান থেকে কাঁচা মরিচ কিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে সরবরাহ করেন।

আমইল গ্রামের মরিচ চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার বেশি জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে জমি তৈরি, লাগানো, ফসলে খাবার, পোকা দমনে ওষুধ প্রয়োগ, পরিচর্যা শ্রমিকের মজুরিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজির মরিচ এখন হঠাৎ করে মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। মরিচ চাষ করে দাম কম পাওয়ায় তারা হতাশায় পড়েছেন।

কাঁচা মরিচ পাইকার ব্যবসায়ী সোহেল ও ফারুক হোসেন জানান, হাট বাজারে কাঁচা মরিচ হঠাৎ করে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মোকামে মরিচের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। মোকামে চাহিদা বাড়লে আবারও মরিচের দাম বাড়বে।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে সিমেন্ট সরবরাহ করবে বসুন্ধরা গ্রুপ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণে ২ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট সরবরাহ করবে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক ভিআরএম প্রযুক্তিতে তৈরি বসুন্ধরা সিমেন্ট।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিমেন্ট এবং চাইনিজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শানডং হাইস্পিড গ্রুপ এবং শিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড এর জয়েন্ট ভেঞ্চার এসডিআরবি- শিনোহাইড্রো জেভি এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারের ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার বাই পেই লং চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা সিমেন্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি অংশ নির্মাণে শতভাগ সিমেন্ট সরবরাহ করবে৷

বসুন্ধরা সিমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে.এম জাহিদ উদ্দিন জানান, বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির উৎপাদন ক্ষমতা, সরবরাহ ব্যবস্থা ও সর্বোপরি গুণগত মানের নিশ্চয়তা যাচাই সাপেক্ষেই চুক্তিটি সম্পাদিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য মেগাপ্রকল্পের মতো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে বসুন্ধরা সিমেন্ট৷

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ বসুন্ধরা গ্রুপ এবং সিমেন্ট সেক্টরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে শুরু ডিপিএলের সুপার লিগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তীব্র গরমের কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রতি রাউন্ডের পর দুদিনের বিরতি রেখেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ছয় দলকে নিয়ে শুরু হবে সুপার লিগ।

প্রাথমিকভাবে প্রতি রাউন্ডের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবারের আসর শেষ করতে চেয়েছিলো সিসিডিএম। কিন্তু আবহাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সিদ্বান্ত বদল করেছে সিসিডিএম। কারণ, প্রচন্ড গরমের কারণে খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্পিং ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

এদিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চলতি ডিপিএলে অংশ নিচ্ছে। এজন্য যে কোনো সময় বড় ধরণের ইনজুরিতে পড়তে পারে তারা।

সুপার লিগের টিকিট পাওয়া ছয়টি দল হলো...

১। আবাহনী লিমিটেড

২। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব

৩। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৪। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব

৫। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

৬। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে আবাহনীর মুখোমুখি হবে প্রাইম ব্যাংক এবং বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলবে শাইনপুকুর। দিনের অন্য ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামালের প্রতিপক্ষ মোহামেডান।

এদিকে, ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রেলিগেশন লিগে খেলবে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, সিটি ক্লাব এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এই পর্বে দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। সব ম্যাচ শেষে টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাদ পড়ে যাবে। রেলিগেশন লিগেও প্রতি ম্যাচের পর দুদিন করে বিরতি রাখা হয়েছে।


আরও খবর



বায়ুদূষণে ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাজধানী ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকাতেও বাড়ছে বায়ুদূষণ। দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলার পর ঢাকায় বৃষ্টিপাত হলেও বায়ুমানে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বৃস্পতিবার (০৯ মে) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা দূষণের দিক থেকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকাতে ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। এছাড়াও ১৩৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং যার স্কোর ১২৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ১৯ মার্চ জানিয়েছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান আগে থেকে থাকলেও, নতুন করে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এ তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে সরিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার’ বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। পাকিস্তানের বাতাসে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে এই পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।


আরও খবর



সুন্দরবনে যাতে আর আগুন না লাগে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এজন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শয়েরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সবগুলো মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা কমপ্লিট করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।


আরও খবর



কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর